মধ্যমেধার বৃষ্টিপাত
প্রীতির বহর দেখো, দেখো অনুসরণ
দেখো কার্যবাহিতার বিশুদ্ধ দর্পণ, খুলে ফেলো বাঁশের বঙ্গীয়করণ
দেহাতি যুদ্ধে মেশাও রঙ, রাত দখল দিন দখলের ত্রিমাত্রিক বিবাহবন্ধন
অনুশাসনে না থাক, খুন হয়ে যাক ইস্টিকুটুম, শুশ্রূষার পাঞ্জালড়াই
দ্ধন্দ্বে থাকুক প্রকৃতি, খড়্গ উঁচিয়ে হাঁটছে জনতা, মুখস্ত মডার্ন মিছিল।
উঠে-আসা ফলকে প্রতিবাদের ফসল, স্বতন্ত্রে অজস্র কণ্ঠস্বর
স্বদেশ নয়, প্রাচ্য নয়, সমগ্র বিশ্বে আত্মভরী আওয়াজ: আগামীকালের
ধনতন্ত্রের নিদান বিচারব্যবস্থায় কুঠারাঘাত। ভাঙুক দেশ, ভাঙুক সীমানা
মানচিত্রে মিশে যাওয়ার পদচিহ্ন এক হোক।
বাইনারি অস্তিত্বে হে প্রান্তিক, কথক সহবাসে ইতিহাসের
পুনরাবৃত্তি নয়, নতুন ব্যবহারে ক্ষমতাধর পতনের নির্মাণ সুস্থ হোক
চামড়ার গভীরে ঢুকে পড়ছে শৃগাল গুঞ্জন , টেনে বের করো
যত আগামীর আবিস্কার, আত্মবিজয় সুলভে রোগ সেরে যাক অনাস্তা প্রস্তাবে
যা কিছু ঘটছে, যা কিছু ঘটবে ঐতিহ্যের স্পেস টাইমে ভিন্ন মেজাজ বিবৃত হোক।
প্রকৃত প্রস্তাবেরা
প্রতিদিন প্রকৃত প্রস্তাবের মৃত্যু হয়
ভাবনাগুলি আলবাট আইনস্টাইনের হাত ধরে ফুটপাতে এসে দাঁড়ায়
জবর দখল করা নিঃসঙ্গতায় গন্তব্যের ঠিকঠিকানা কামান দাগায় দিগন্তের উদ্ধৃতিতে
কে বলে দেওয়ালগুলোর কোনো নাম নেই
দু:সময়ের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে: রবীন্দ্রনাথ, আইজাক নিউটন, বিঠোফেন, ভাস্কো দা গামা
আর সেই বিচ্ছিন্নতার কার্ল মার্কসরা
প্রেরণার ভিতর চোঁচা দৌড় মারছে ক্রুদ্ধ অমনিবাস
প্রক্রিয়াটা সমান্তরালভাবে রূপকথার গল্প বলছে: ঝলসানো বিপরীত ক্রিয়ায়
দরজা খুলে যাচ্ছে
ভিতরে প্রবেশ করছে মধ্যমেধার গণিতবিদরা
প্রকৃত প্রস্তাবেরা সময়ের চেয়ার ধরে গণসংবর্ধনা নিচ্ছে।
দুইটি কবিতা
শ্যামল রক্ষিত
শ্যামল রক্ষিত
মন্তব্য