রৌরব
হে প্রেম, কুক্ষিগত রৌরবের সংসার
শেখাও বর্ণপরিচয়—আগুনে-আগুনে
নিত্য সংহারে
উঠুক রব অ এ অনল, আ এ আগুন...
উঠুক শোক নাভিপদ্মমূলে—
জ্বালাও জ্বালাও বিপন্ন আলোকে সমস্ত সম্ভার
অঘ্রাণের দিন। পরশ্রী। ফাগুন।
আঁকো অযুত নখর তার ললাট-চুমে
তূণীরে থাক সময়, ঘুণেধরা শরীর থাকুক জাজিমে...
যদি তাতেও না কাটে ঘোর, মৌতাত—সমুদ্রের লোনা
ভেবে দেখো, সে কোনো মানব ছিল কিনা
কলোনি
তোমাকে ছুঁতে চেয়ে সন্ত হল যারা
আমি তাদের কেউ না
যারা কাফনে ঢেকেছে তোমার শরীর
তাদের আমি দীর্ঘশ্বাস পাঠালাম
এবং, ইত্যাদির বাহানা ছাড়িয়ে
কে জানে আজ কতদূরে
আবারও কি নীল ছুঁবে চোখের পাতা
স্মৃতির সফর পেরিয়ে একটা ফড়িং
সর্বাঙ্গে জড়িয়ে নেয় শীত
কুয়াশা-চাদরে ঢাকে বিষণ্ণ কলোনি
সংসার
শাক্তপদাবলি থেকে নেমে এল ক্ষুধা, আমরা বাবাকে চিনলাম
স্রোতঃস্বিনী শরীরে এল স্নেহ-প্রেম-শাসন-সমস্ত সংসার
সম্ভ্রমে চিবুক ছুঁলো মাটি
আমরা ‘বাবা’ ডাকলাম
অতঃপর দুধেল শরীর বেয়ে নেমে
নেয়ে ও ঘেমে
ফিরলাম আমি, ক্ষুধার সন্ততি
শূন্যগর্ভে আমাদের মুখ, শূন্য আমাদের মা
বানপ্রস্থ দিনের শেষে শূন্যতা তবু ধরা দিচ্ছে না
কালের ভ্রুকুটি, কালের আঁধার। শরীর খাচ্ছে আলো
আজন্ম ক্ষুধার পাশে শুয়ে মা আমাদের সংসার চেনাল
রৌরব ও অন্যান্য কবিতা
পিন্টু ঘোষ
পিন্টু ঘোষ
মন্তব্য