জোকার ও মুখোশ
এবং বেহালাবাদকের হাত ফসকে উড়ে গেছে মৃতমেঘের মমি
এইসব মেঘেদের চুমুকরোজ্জ্বল অলস পদ্ধতি শেখায় কাম ও কলা
সিঁড়িহীন দ্বিতল উপতক্যার ভাঁজে কর্পোরেট হাসি
ক্রীতদাসের হাসি যার আজও কোনো বাজারমূল্য নেই
হাসতে হাসতে যারা হাসতে ভুলে গেছে
তারা চাপা হাসি মাপা কান্নার মধ্যে লুকিয়ে ফেলে জোকারের পোশাক
পৃথিবী নামক বেহালাবাদক ছেলেটি
এখনো পোশাকের আড়ালে খোঁজে বিষাদের দিনরাত্রি
চোখের প্রতিফোঁটা শিশিরে ভেজে শুকনো ব্যবস্থাপনা
এখানে মুখোশ আর পৃথিবী অপেক্ষা করে একে অপরের শূন্যতায়
দেজা ভ্যু
কখনও যাইনি ধরলার তীরে
তবু মনে হয় গিয়েছি নিযুতবার
এ কেমন গ্রাম!
কেবল গভীরে টানে
তীব্র কুড়িগ্রাম...
কাছেই পায়রা নদী তবু মন পড়ে আছে ধরলার জলে
গাভীর রঙের মতো সন্ধ্যা নামে
তোমার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে বুঝেছি
ট্রেন কেন দক্ষিণে আসে না!
মেঘদূত
মেঘভর্তি খাম উড়ে যাচ্ছে উত্তরের দিকে
মনসুন মেঘ বৃষ্টির অনুবাদ করে অলোকাপুরী থেকে রামগড়ের দিকে
কিন্তু বিরহী যক্ষ আজ নিজেকে হারায় শূন্যতার প্রতিশব্দে
অ ত এ ব
শূন্যতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো এই বেলা
জাবরকাটা সন্ধ্যার কাছ থেকে জেনেছি প্রতিশ্রুতি সবসময় মিথ্যে
নিজের ভেতর টোকা দিয়ে দেখেছি আমি ছাড়া কেউ সাড়া দেয় না
শূন্যতা নিজেই বিজনের রক্তমাংস
নিজের আয়নায় দ্যাখে
সব পাতা ঝরে যাবার পর
তখনও ডালে একটি পাতা রয়ে গেছে
বৃষ্টির বিষাদ তাকে ছিঁড়তে পারে নি
কেড়ে নিতে পারে নি কোনও একক শূন্যতা
তার একাকী জীবনের শেষ যুদ্ধকে!
দেজা ভ্যু ও অন্যান্য কবিতা
ইহিতা এরিন
ইহিতা এরিন
মন্তব্য