অনুবাদ। সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। কিন্তু ‘অনুবাদ সাহিত্য’ এমত শব্দবন্ধ আমি বিশ্বাস করি না। অনুবাদ কর্ম বলা যায়। মূল সাহিত্যকে অনুবাদের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। পৌঁছে দেওয়া যায়। একজন পাঠক তিনি যে প্রান্তেই থাকুন না কেন অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্ব সাহিত্যের পাঠক হতে পারেন। আবার একজন লেখক বা পাঠক যে ভাষায় পাঠ করেন বা লেখেন সেই ভাষার বাইরেও তার নিজ দেশের নানান ভাষার সাহিত্য কর্ম সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন একমাত্র অনুবাদের মাধ্যমেই। অনুবাদ অত্যন্ত শক্তিশালী একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে পৃথিবীর সব দেশের সাহিত্যেই।
কিন্তু মজাটা হচ্ছে একজন অনুবাদক কিন্তু কখনোই একজন সাহিত্যকর্মীর ভূমিকা পালন করতে পারেন না। অনুবাদক শব্দটি অনেকটাই link language-এর মত।
যদিও এটা খুব দুর্ভাগ্যের কেননা একজন অনুবাদক কিন্তু অত্যন্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মূল সাহিত্যকর্মকে ভাষান্তরিত করে থাকেন।
২.
আমি নিজে বাংলা ভাষায় লেখালেখি করি। মূলত লিটিল ম্যাগাজিন আমার প্রকাশের জায়গা। কবিতা। গদ্য। লোকসংস্কৃতি নিয়ে নিজের মত কাজ করি।
পাশাপাশি সামান্য অনুবাদ এর চেষ্টাও করে থাকি। পৃথিবীর নানা দেশের কিছু কবির কবিতা অনুবাদ করার পাশাপাশি আমার নিজের লেখা বাংলা কবিতাও মাঝে মাঝে অনুবাদ করে থাকি। কেননা বিশ্বের কয়েকটি দেশে আমার কয়েকজন সৃজন বন্ধু আছেন যারা আমার কবিতা পাঠ করতে চান। পশ্চিমবঙ্গের কবিতা পাঠ করতে আগ্রহ বোধ করেন। আমার লেখার পাশাপাশি এখানকার কিছু কবিতাও অনুবাদ করে তাদেরকে মেইল করে পাঠাতে হয়। আমার বন্ধুরাও তাদের কবিতা ইংরেজি অনুবাদ করে আমাকে পাঠান। এভাবে একটা পাঠ বিস্তৃতি ঘটে থাকে।
কিন্তু অনেক সমস্যা ফেস করতে হয় আমাকে কবিতা অনুবাদ করতে গিয়ে এবং বন্ধুদের অনূদিত কবিতা পাঠ করতে গিয়ে।
৩.
অনুবাদ কখনও মূল ভাষাকে অধিগ্রহণ করতে পারে না। মূল ভাষার যে সুর-স্পন্দন, অনুবাদে সেটাকে পুরোটা পাওয়া যায় না। সম্ভব নয়। অনুবাদ তো নানাভাবেই করা হয়। করা যায়। যেমন ভাবানুবাদ, আক্ষরিক অনুবাদ, দৃশ্যকল্প অনুবাদ।
প্রশ্ন সেখানে নয়। আমি অনুবাদ করতে গিয়ে বা অনুবাদ পাঠ করতে গিয়ে যে সমস্যাগুলো লক্ষ্য করেছি সেগুলো একটু বলি। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই আমি সমস্যাকে বুঝতে চেষ্টা করি।
আমি যে অঞ্চলে বসবাস করি সেই অঞ্চলে, মানে
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরপ্রান্তের কুচবিহার জেলা; সেখানে গ্রামাঞ্চলে নদীর পারে পারে বিশাল বিশাল ফাঁকা মাঠ রয়েছে। আঞ্চলিক ভাষায় যেগুলিকে বলা হয় ‘নিধুয়া পাথার’। হঠাৎ করে হাওয়া বাতাস এলে সেই মাঠে একধরনের ঘূর্ণি তৈরি হয়। সেই ঘূর্ণিকে বলা হয় ‘বাওকুমটা বাতাস’। এখানকার লোকগানে এই বাতাসের কথা আছে।
তো, আমার একটি কবিতায় লাইন রয়েছে—
বাওকুমটা বাতাসের এই মায়াখোলা চুলের ওপর নেমে আসা মাঠের ম্যাজিক
আমি যখন এই লাইন দুটি ইংরেজিতে অনুবাদ করি
আমি কিন্তু কিছুতেই বাওকুমটা বাতাস শব্দটির কোন সার্থক ইংরেজি শব্দ খুঁজে পাইনি।
সেটা পাওয়া সম্ভবও নয়! কেননা বাওকুমটা বাতাস শব্দবন্ধ জুড়ে যে বুক নিংড়ানো মায়া, ম্যাজিক সেটা আমি কোন ইংরেজি শব্দ দিয়েই বোঝাতে পারবো না। এটা একদম আঞ্চলিক এক নিজস্ব ভূগোলের বৈশিষ্ট্য।
আমি আমার যে বিদেশি বন্ধুকে কবিতাটির অনুবাদ পাঠালাম তিনি কেবল একধরনের বাতাসের কথা জানলেন। কিন্তু ম্যাজিকটা কিন্তু তার কাছে পৌঁছল না।
এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করবো কীভাবে! পাশাপাশি আর একটি উদাহরণ দিই বিষয়টি বোঝাবার স্বার্থে। বাংলাদেশে একটি ভাষার নাম ‘মান্দি ভাষা’। সেই ভাষায় অনেকেই কবিতা গল্প উপন্যাস লিখছেন।
আমার বন্ধু কবি বচন নকরেক সেই ভাষার একজন সুপরিচিত লেখক। তিনি আমাকে সেই ভাষার বেশ কিছু কবিতা বাংলায় অনুবাদ করে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে সেই ভাষাভাষী মানুষদের জীবনের ছন্দ আর লোকায়ত প্রেক্ষিত জুড়ে জুড়ে ছিল। পরবর্তীতে আমি বচনের সঙ্গে তাদের গ্রামে গিয়েছিলাম। তাদের লোকজীবনের স্বাদ নিয়েছিলাম। পাশাপাশি মিলিয়ে নিচ্ছিলাম কবিতার সঙ্গে সবকিছু। কিন্তু অকপটে বলি মুলের স্বাদ আমি খুঁজে পাইনি।
বচন নকরেক একটি কবিতায় মান্দি সমাজের মাছ ধরবার নাচের ছবি তুলে এনেছিলেন। আমি কিন্তু তাদের সেই নাচ দেখেছিলাম। কিন্তু কবিতার অনুবাদে কিছু মিসিং লিংক আমাকে পীড়া দিয়েছিল।
আমি যে অঞ্চলে বসবাস করি সেই উত্তরবঙ্গের অন্যতম একটি ভাষার নাম রাজবংশী ভাষা। এই ভাষার সাহিত্য চর্চা খুব উর্বর।
এই ভাষার একজন কবির কবিতা এখানে তুলে দিচ্ছি।
সারিন্দা বাজায় কায়স্বাগত বর্মাআন্দার রাইতোত বনুয়া পখিটা কান্দেবট পাকিড়ির গোড়োত ভাঙ্গা কালির মন্দিরোতসারিন্দা বাজায় কায়?কতযুগ আগোত বট পাকিড়ির বিয়ো দিছেদ্বিজেন ব্যাপারী, কত মানসিক খোয়াইছেবাজনার তালে, নাচের তালে সগায় এক হয়া গেইছেকত আমোদকত গান কীর্তন হইচে ওটিএলা সাপ আর আন্দারের ভাসাওটি সারিন্দা বাজায় কায়?বনুয়া পাখিটা এলাও কান্দেসারিন্দা বাজায় কায়?
সারিন্দা: এই অঞ্চলের লোকবাদ্য, তীব্র এক মরমিয়া সুর সেই যন্ত্রে
ব্যাপারী: গ্রামীণ সমাজের ধনবান ব্যাক্তি
বনুয়া পাখি: বনের পাখি বিবাগী স্বভাবের
এই কবিতাটি আমি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে এখানে রাখলাম।
অন্ধকার রাতে বিবাগী পাখির কান্নার সুরবট পাকুড় গাছের কাছে ভাঙ্গা কালি মন্দিরেকে বুঝি সারিন্দা বাজায়।অনেক বছর আগে দ্বিজেন ব্যাপারীবট পাকুড় গাছের বিয়ে দিয়েছিলনাচ গানে আর ভোজসভায়কত মানুষ উচ্ছল হয়ে পড়েছিল সেদিনকত আনন্দ।কত গান, কীর্তনের আসরএখন অন্ধকার এর সাপের বাসা কেবলবিবাগী পাখি উদাস সুরে কাদঁছেআর কে যেন সারিন্দা বাজিয়েই চলেছে।
উত্তরাঞ্চলের বাইরের বাংলা ভাষার পাঠকেরা হয়তো এই অনুবাদে আনন্দ পাবেন। কিন্তু সারিন্দার বুক নিংড়ানো সুরের স্পর্শ কি সেই পাঠকেরা পাবেন! সেই সুরের, মাটির সুরের অনুবাদ কি সম্ভব! এখানেই তো অনুবাদকর্ম সংকটের সম্মুখীন হয়।
৪.
আসলে এই সমস্যাগুলো থাকবেই। কিন্তু অনুবাদের মাধ্যমের গুরুত্ব স্বীকার করতেই হবে। অনুবাদ মূলের নিরঙ্কুশ স্বাদ হয়তো দেবে না। কিন্তু অনুবাদ সৃজনকর্মের বৃত্তান্তটি অবশ্যই পাঠকের কাছে পৌঁছে দেবে। দিতে সক্ষম। আমি নিজেও বরাবর বিদেশি সাহিত্য পাঠের জন্য অনুবাদের কাছেই গিয়েছি। এবং খালি হাতে কিন্তু ফিরে আসি নি। অনেক অনুবাদকর্মই আমাকে তৃপ্ত করেছে। যে দেশ আমি দেখিনি, যে ভাষা আমি শুনিনি, যে লোকসংগীত আমাকে জড়িয়ে ধরেনি, যে সমস্ত গাছের ছায়া আমার মননে ছায়া ফেলেনি আমি কিন্তু শক্তিশালী অনুবাদে সেই সব নিজের মেধা মনন অনুভবে বহন করতে পেরেছি।
আমি ল্যাটিন আমেরিকা দেখিনি, আমি ইস্পাহানী ভাষায় কাউকে কথা বলতে শুনিনি, আমি আমাজনের নীল জল, রেইন ফরেস্ট কেবল ছবিতেই স্পর্শ করতে পেরেছি।
কিন্তু মার্কেজের কলাবাগিচা আমারই দেখা তোর্সা নদিদেশের কলাবাগান হয়ে গেছে। বুয়েন্দিয়া পরিবার আমার জনপদের পুরাতন জোতদার পরিবার বলেই মনে হয়েছে।
গুয়াতেমালার লোকসমাজে প্রচলিত মিথ কখন যেন আমার উত্তরের জনপদের লোকবিশ্বাস লোকগল্পের রূপে রূপান্তরিত হয়ে গেছে।
এখানেই কিন্তু শক্তিশালী অনুবাদকর্মের জিতে যাওয়া।
৫.
পৃথিবীর সৃজনভূম জুড়ে প্রচুর অনুবাদক রয়েছেন। তারা নিজ দক্ষতায় কাজ করছেন। কিছু অনুবাদক রয়েছেন যারা তীব্র পেশাদার। সৎ।
অনুবাদকরা দুই ধারায় বিভক্ত।
একদল আছেন যারা মূল ভাষা থেকেই সরাসরি অনুবাদ করেন। আরেকদল মূল সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদকে অবলম্বন করেই অনুবাদ করে থাকেন। তবে আমার মনে হয় মূল থেকে যে অনুবাদ সেটা অনেক বেশি জীবন্ত। স্পর্শময়।
সারা পৃথিবী জুড়ে এত এত সাহিত্য সৃজন জায়মান। আমাদের পক্ষে তো অনুবাদের মাধ্যম ছাড়া সেই সৃজনের সাথে পরিচিত হওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়।
৬.
আসলে বিশ্ব সাহিত্য বলুন, নিজের দেশের বিভিন্ন ভাষার সাহিত্যকর্ম বলুন অনুবাদের মাধ্যম ছাড়া আর কোনভাবেই সেটা জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি নিজে দেশীয় ও বিশ্বের সাহিত্যের যতটুকু পাঠ নিয়েছি সেসব তো অনুবাদের মাধ্যমেই। কেবল ইংরেজি সাহিত্য ইংরেজিতে পাঠ করেছি।
আমাদের দেশের নানান ভাষা, তামিল তেলেগু উর্দু ওড়িয়া অসমীয়া হিন্দি ভোজপুরি ভাষার পাঠ তো অনুবাদের সুবাদেই।
সৌভিক দে সরকার, অমিত চৌধুরী, জয়া চৌধুরী, বেবি করফর্মা, প্রদীপ কুমার রায়, বিশ্বজিৎ সেন, ইমরান হুসেইন, নজর মাহমুদ, শ্যামলী সেনগুপ্ত এদের অনুবাদে কিন্তু মুলের স্বাদ পেতে সমস্যা হয় নি। মূল স্প্যানিশ ভাষা থেকে সরাসরি অনুবাদ করেন জয়া চৌধুরী। তার অনুবাদে আমি মূল লেখার কথনবিশ্ব বেশ ছুঁতে পারি।
Rhyabo-র কবিতা প্রথম পাঠ করেছিলাম লোকনাথ ভট্টাচার্যর অনুবাদে। এরপর অনেকের অনুবাদে Rhyabo পড়েছি। কিন্তু লোকনাথ ভট্টাচার্যের অনুবাদকেই এগিয়ে রাখবো। বুদ্ধদেব বসুর অনুবাদে পড়েছিলাম বোদলেয়ার। সেই মুগ্ধতা আজও রয়ে গেছে। আলোকরঞ্জন দাশগুপ্তর অনুবাদে কিছু জার্মান ভাষার কবিকে পাঠ করেছি। অনুবাদের মধ্য দিয়েই পড়েছি ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকা, বেলজিয়াম আরো কত দেশের কথাসাহিত্য।
এখন অনেক তরুণ অনুবাদক কাজ করছেন সারা পৃথিবী জুড়ে। তারা ভাষাশিক্ষা সেরে অনুবাদের কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমাদের দেশেও এটা লক্ষণীয়। সার্থক অনুবাদ কিন্তু পাঠককে মূল সাহিত্যের এসেন্স প্রায় পৌঁছে দিতে পারে। মার্কেজ, কারপেন্তেয়ার, হুয়ান রুলফো, ডেরেক ওয়ালকট এদের লেখার ম্যাজিক আমি ছুঁতে পেরেছি সফল অনুবাদের মধ্য দিয়েই।
কাজেই অনুবাদ ছাড়া বিশ্বসাহিত্যের খোঁজ খবর পাওয়া সম্ভব নয়। এটা মেনে নিতেই হবে।
৭.
পৃথিবীর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ছাড়াও আরো কিছু মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার চালু আছে। ইওরোপ আমেরিকা আফ্রিকার দেশগুলি থেকে অনেক শক্তিশালী লেখকেরা সেই পুরস্কারগুলি পান।
আড়ালে থাকা, অনালোকিত কিছু সাহিত্যিক এভাবেই বিশ্বের পাঠকের কাছে পরিচিত হয়েছেন। সম্ভ্রম আদায় করে নিয়েছেন। আর তাদের সাহিত্যকর্মগুলি কিন্তু দক্ষ অনুবাদকদের অনুবাদের মাধ্যমেই পুরস্কার কমিটির কাছে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা রয়েছে।
আসলে ওইসব অঞ্চলে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত বিপণন ব্যবস্থা, সরকারি বেসরকারি এজেন্ট ও পেশাদারিত্ব।
আমাদের এশিয়া মহাদেশ, ভারতীয় উপমহাদেশ এইক্ষেত্রে অনেক অনেক পিছিয়ে রয়েছে। অথচ আমাদের এই উপমহাদেশে এমন অনেক সাহিত্য রচিত হয়েছে যা আন্তর্জাতিক মানের। কিন্তু আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার তাদের ভাগ্যে জোটেনি।
অনুবাদকের অভাব নেই। রয়েছে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে পেশাদার বিপণন ব্যবস্থা। হয়তো আগামীতে এই ছবি পাল্টাবে।
৮.
ডেরেক ওয়ালকট এর একটি কবিতা এখানে তুলে দিলাম—
The StarIf, in the light of things, you fadeReal, yet wanly withdrawnTo our determined and appropriateDistance, like the moon left onAll night among the leaves, mayYou invisibly delight this house;O star, doubly compassionate, who cameToo soon for twilight, too lateFor dawn, may your pale flameDirect the worst in usThrough chaosWith the passion ofPlain day.
এই কবিতাটির বাংলা অনুবাদ পড়ি রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুবাদে—
তারাযদিও বস্তুগত আলোর ভিড়ে তুমি ফ্যাকাসেঅথচ নিখাদ,তবু স্বেচ্ছায় প্রত্যাহার করে নিতে হয়আমাদের স্থির ও প্রকৃত দুরত্বরেখাযেভাবে ওই চাঁদ পড়ে থাকেপল্লব রাশির ফাঁকফোকর দিয়ে সারারাততোমার অদৃশ্য উচ্ছাস ফেনিয়ে ওঠার মতো হয়ও তারা, দ্বৈত সংবেদে বিমূর্ত তুমি গোধূলি ঘনিয়ে ওঠার আগে থেকেভোর হওয়ার পরও সহজে মোছোনি, তোমার বিবর্ণরশ্মিতেআমাদের কদর্যতা উন্মোচিত হয়েছে সমূহকোলাহল পার হয়েএকটি নিছক দিনেরআর্তিকে অবলম্বন করে
এভাবেই বিশ্বসাহিত্যের পাঠ নিতে পারেন পাঠক এই অনুবাদ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়েই। অনুবাদ সাহিত্য বলে কিছু হয় না। কিন্তু সাহিত্যের বিস্তারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এই অনুবাদকর্মই। এটাই জরুরী ও অনস্বীকার্য সত্য।
অনুবাদকর্ম: সীমা, পরিসীমা, সীমাবদ্ধতা
সুবীর সরকার
সুবীর সরকার
মন্তব্য