পার্কোর
শব্দগুলো লাফিয়ে পড়ছে
এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিঙে
রেলিঙে, ছাদে, কার্নিশে,
প্রাচীরে, পাথুরে উঠোনে
শব্দেরা দৌড়াচ্ছে দিগ্বিদিক
ছুটে চলছে, ডিগবাজি খাচ্ছে
অহেতুক তাকিয়ে রয়েছি
রোলটানা বাংলা খাতার তোলা
শব্দবন্ধ বহুতল ভবন যেন
এক-একটি ঢাউস সাইজের বই
নাকি ভাঙাচোরা কোন ইমারত
বাতিল অচেনা শহরের
থমকে যাওয়া দুটি চোখ
একজনের পিছু নিয়ে
অন্যজন লাফিয়ে পড়ছে
মুহূর্তেই হারিয়ে যাচ্ছে আড়ালে
সম্পর্ক
কবরস্থানে গেলে
মোটামুটি সব
আত্মীয় স্বজনের সঙ্গেই
দেখা হয়
অবশ্য তা শুধু
এদের কারও মৃত্যুতে
তরমুজ
সবুজ জমিনে
রঙ বদলানো
পোকার মতোন
মিশে আছে দেখ
অ্যাম্বুশরত
সৈনিকদল
চটুল বাতাসে
নড়ছে মাথার
খাকি হেলমেট
এভাবেই ধরা
পড়ে যেতে হয়
ধরা পড়ে যায়
বিপ্রতীপ কোন
গুলি মুহূর্মুহু
না ঝড়ো হাওয়া
আচমকা এসে
ঝাঁঝরা করেছে
নিহত শরীরে
লাল হয়ে আছে
তরমুজ ক্ষেত
মাণিকলতা
মাত্র ক’দিন
বাড়ির বাইরে ছিলাম
তাতেই দখল হয়ে গেছে
ভেতর-ঘরের দেয়াল।
সবুজ জানালা,
বারান্দার রেলিঙে
কিলবিল করছে
একগুচ্ছ দীর্ঘকায়
ফণা তোলা সাপ।
চেরনোবিলের
পরিত্যক্ত ভবনের
গাছগুলোর মতো
পরিপূর্ণ মালিক হয়ে
উঠেছে তারা।
তবে আর কার
উপর ভরসা করে
রেখে যাবো
পোষা বিড়ালটাকে,
এলোমেলো বসতঘর
আবেগি সংসার,
কোথায় রেখে যাব
শখের বউ-বাচ্চা
নিশ্চিন্তে সবকিছু
কী যে বাড় বেড়েছে,
এতো বড় নিমোক হারাম
একদম না থাকলে তো
সবকিছু শেষ করে দিবে!
মাণিকলতা ও অন্যান্য কবিতা
ফুয়াদ হাসান
ফুয়াদ হাসান
মন্তব্য