সে ঘুমের মধ্যে ফের স্বপ্ন দেখেছিলো- বিস্তীর্ণ পথ জুড়ে হেঁটে চলেছে; সন্তর্পণে। পদক্ষেপগুলো উৎকণ্ঠাহীন, কিন্তু শনাক্ত করতে পারে পরিপার্শ্বের অশুভ ইঙ্গিতগুলোকে। চিহ্নগুলোর পরতে পরতে হোঁচট খাওয়ার ইশারা; বিচ্যুতির দিকে ধাবিত হওয়া- সভ্যতার প্রথম সংকেত, প্রলোভনে সাড়া দেওয়া, মৃত্তিকা, বায়ু, জল ও আগুন- সত্তার সমর্পণ ও আত্মস্থ হওয়া মননের প্রথম মুগ্ধতা, উন্মুক্ত জমি থেকে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় নগরের গোড়াপত্তন- পাঠ্যবইয়ের পরম্পরাবর্জিত ইতিহাসে ব্রাত্যজনের অনুক্ত ক্রন্দন যুগপৎভাবে দীর্ঘঃশ্বাস হয়ে থাকে ও ঘুরপাক খায় পুনরুজ্জীবিত হবার শক্তি নিয়ে- মিলিয়ে দেখতে গেলে বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকেনা। শৈশবে বাবার সাথে হাঁটতে গিয়ে হাটে মিছিলের শ্লোগান শুনেছিলো- সারি সারি মানুষ নিঃশঙ্ক চিত্তে অগ্রসর হচ্ছে। এতোগুলো বছর পরে এসে অনুধাবন করে, অধিবাসী হবার দাবি নিয়ে মানুষ কদাচিৎ সামনে এসে দাঁড়াতে পারে, যখন পারে, তখন আঙ্কিক হিসাবনিকাশ গৌণ। অনির্ণিত কিন্তু ঈপ্সিত পথের বাসনা ক্ষেত্র্সমূহকে প্রসারিত করে, রৈখিক দিগন্তে আবীর মাখিয়ে উজ্জ্বল করে, যূথবদ্ধতার টটেমগুলোর অনিবার্যতা ফের সাক্ষ্য দেয়- জনকৃষ্টি থেকে উৎসারিত আলোর সম্ভবপরতা বিকল্পহীন।
অটো থেকে নেমে ভাড়া দিতে দিতে ভাবনাগুলো দানা বাঁধতে বাঁধতে ভেঙ্গে গেলো তাসনিমের। কিঞ্চিৎ বিষণ্ণ হলো। ভাবলো, অনেকদিন পরে নিমগ্ন হয়ে এমন সব বিষয় নিয়ে ভাবার সুযোগ পেয়েছিলো যেগুলো বাধ্যবাধকতার কাছে বন্দী নয়। আগেও লক্ষ করেছে সে, স্নায়বিকভাবে সংকল্পবদ্ধ না হলে মৌহর্তিক ঝঞ্ঝাট ভাবনাগুলোকে ঘনবদ্ধ হওয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। অনতিক্রম্য জৈব প্রয়োজনগুলোর দাবি সীমাহীন। স্রেফ পূরণেই সন্তুষ্ট থাকেনা, স্থির মননের প্রতি নিরন্তর বিরূপতায় মুখর। সত্তার কাছে তাদের চাওয়া থাকে নিজেদের প্রশ্নাতীত সার্বভৌমত্বের নিশ্চয়তা। কাঁধের ব্যাগ সাবধানে নামিয়ে তাসনিম বাস খুঁজতে লাগলো। অফিসের ক্যামেরাটার কোনো ক্ষতি হওয়া যাবেনা। দেখেছে, ঝুঁকিহীন হতে যারা প্রলুব্ধ করে, যে কোনো অবিমৃষ্যকারিতার বিষয়ে ব্যক্তিগত পরিসরে তারাই সবচেয়ে সতর্ক। সাত বছর হলো তাসনিম গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে। নিজের দেখাগুলো অনেকের সাথেই মিলিয়ে নিতে চেয়েছে, সে মনে করে তার পার্থিব আকাঙ্ক্ষার সীমারেখা সংকুচিত। তার মূল ঝোঁক আপন চিন্তাগুলোর সংশ্লেষের নির্যাসটুকু বের করার প্রতি। আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক সকল মেলামেশার কেন্দ্রে থাকে নিজের দেখাগুলোর পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ খুঁজতে থাকা। বিবিধ ঝুঁকি নিয়ে অগুনতিবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, তবু সে নিয়ে অনুশোচনায় ভোগেনা। তার বিশ্বাস, প্রকৃতির বৈরীভাব শনাক্ত করতে পারার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ তার যথার্থ প্রত্যুত্তরের জন্য ধারাবাহিকভাবে নির্মাণ করা। সংসারের গলিঘুপচি ঘুরে ঘুরে অন্তর্গত গ্লানিবোধের নিষ্কৃতি ছাড়া বাঁচবে কীভাবে ভাবে, ভেবে অসহায় অনুভব করে। দিনকে দিন যন্ত্রণা বাড়ছে বৈ কমছে না। নিজেকে যতোখানি সম্ভব স্থির ও সংহতভাবে তৈরি করতে চেয়েছে। বোঝে, অবিরাম অন্যের কাছে নিজেকে প্রমাণ দিতে চাওয়ার ফাঁদ কতোখানি গভীর। বিবিধ টানাপোড়েনে সে জর্জরিত। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার খরচ দিন দিন বেড়ে চলেছে। বড়ো ভাই জামান স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বাসায় থাকে। সংসারের খরচ বহন করা দূরে থাক, উল্টো তাকেই তাসনিমের টাকা দিতে হয়। জামানের সংকটগুলোকে সে নৈর্ব্যক্তিকভাবে দেখার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো কুলকিনারা খুঁজে পায়না। ব্যবসায় উত্তরোত্তর উন্নতি করছিলো। পরিপার্শ্ব, পরিজন সকলে তাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলো। জামান ছিলো উৎকৃষ্ট রোলমডেল। অনুসরণীয় দৃষ্টান্তের প্রতিভূ হওয়াটা সন্তুষ্টির পথে বাঁধ সাধলো। অহমিকার প্রাবল্যে ঘরের প্রতি জামানের মনোযোগ কমে গেলো। স্ত্রী নাজনীন বুঝলো, বৈষয়িক মনন ক্রমশ সরে যাওয়াকে অনিবার্য করে। আট বছর বয়সী মেয়ে তানিয়াকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। সংসারের অনতিক্রম্য দায়িত্বের মারপ্যাচে জড়িয়ে পড়লেও ভেতরে ভেতরে হৃদয়বত্তার অন্বেষণের অমোঘ সুতাটুকু রয়ে গেলো। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বারান্দায় বসে গুনগুন করে গান গাইতো। অন্তর্গত বেদনার স্রোত পরিবর্তিত গতিপথে প্রবাহিত হলো। পাশের বাড়িতে তানজিন নামে এক অল্পবয়স্ক গৃহবধু থাকে। স্বামী প্রায়ই অনেক রাত করে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে। সংকটের সাদৃশ্য টের পেলে তা পীড়িতদের পরস্পরের নিকটবর্তী করে তোলে। নাজনীনের প্রথমে সন্দেহ হতো। নিজের প্রতি। ভাবতো, জামানের ওপরে প্রতিশোধ নিতে তানজিনের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। সময় অতিক্রান্ত হয়। তানজিনের সাথে নাজনীনের সমাজকর্তৃক অননুমোদিত ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে সংসারে প্রভূত জটিলতা। বাবা-মায়ের নিরন্তর কলহ তানিয়াকে সদাসন্ত্রস্ত রাখে। আশ্বিনের এক সন্ধ্যায় রাজনগর হোটেল থেকে জামানকে হত্যামামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে। মামলার নিষ্পত্তি হয়না। ঝুলে থাকে। জলের মতো টাকা খরচ হয়। জেলবাসের পর থেকে জামানের কণ্ঠস্বর ও চড়া ব্যক্তিত্ব উভয়ই স্তিমিত হয়ে আসে। সর্বদা ভীত ও শঙ্কিত থাকে। আট মাস পরে মামলার রায় হয়। বেকুসুর খালাস হবার পরে জামান আবিষ্কার করে, হাতে টাকাকড়ি কিছু অবশিষ্ট নেই। ইমপোর্ট – এক্সপোর্টের ব্যবসায় যুক্ত হবার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনযাপনে কিছু পলিসির পরিবর্তন করে। ঘরে বিশেষত তানিয়াকে প্রচুর সময় দেয়। জীবনের প্রতি নাজনীনের অভিযোগ কমে এসেছিলো, কিন্তু অপরাধবোধের তীব্রতায় স্বভাবে বৈপরীত্য দেখা দেয়। গভীর রাতে দুইবার তানিয়াকে গলা টিপে হত্যা করতে উদ্যত হয়েও পারেনা। কন্যার মুখে তানজিনের ছায়া অবলোকন করে ছিটকে সরে আসে। একই ঘরে ঘুমালেও জামানকে শরীর স্পর্শ করতে দেয়না। একদা নাস্তিক জামান ক্রমশ ধর্মের দিকে ঝোঁকে। আপন ছোটোভাই সজলকে ধর্মের প্রতি মনোযোগী করতে পর্যাপ্ত প্রচেষ্টা নেয়। তাসনিম ও জামান যা জানতোনা, তা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী থাকাকালীন সজল সকলের অগোচরে ধর্মভিত্তিক একটি ছাত্রসংগঠণের সদস্য হয়। সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকা সরকারের পতনে ছাত্রসংগঠণটি দেশব্যাপী বিপুল ভূমিকা পালন করে। অভ্যুত্থানের পরে খ্যাতিমুখী সজলের বর্ধমান আত্মম্ভরীতা পরিবারের সকলকে হতভম্ব করে দেয়। প্রথমে তাসনিমের চাকরী করাকে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে প্রশ্নবিদ্ধ করে। পরবর্তীতে ভাবী নাজনীনের চলাফেরা ও দৃষ্টিভঙ্গীর বিষয়ে জোর গলায় নিজের আপত্তির কথা জানায়। তাসনিম চাকরী বদল করে উখিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। এসকল বিচিত্র পারিবারিক সংকটে তাসনিমের মা আয়েশা খাতুন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে অতঃপর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। বাস দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলে। দুলুনিতে তাসনিমের অন্যমনস্কতায় ছেদ পড়ে। সিগারেটের তীব্র তৃষ্ণা অনুভূত হলেও ধরাতে পারেনা। অফিসে প্রচুর সময় কাটায়। প্রায়ই নিজে থেকে ওভারটাইম দেয়। ফলে কর্মস্থলে তার অপরিহার্যতা সন্দেহাতীত। সজলের কথা মনে পড়লে তাসনিম ফের বিস্মিত হয়। অভ্যুত্থান চলাকালীন সজলের চোখেমুখে যা দেখেছিলো ভেবেছিলো এটা অল্পবয়সে এমন অভিনব দুঃসহ অভিজ্ঞতার আকস্মিক প্রতিক্রিয়া। কিন্তু যতো দিন যেতে থাকলো, অনুজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভীত হবার সাথে সাথে নিজের মনেও কিছু প্রশ্ন এলো। উপযুক্ত বীক্ষণের সন্ধান করতে থাকাটা বর্তমান সময়ে কতোখানি যৌক্তিক? চারপাশে যা দেখছে, অবিশ্বাসের পারদ ক্রমশ চড়া হচ্ছে। যে যেখানে যেমনভাবে পারছে, নিজেরটা গুছিয়ে নিচ্ছে। শরতের সন্ধ্যা থেকে শুরু করে শিশুর হাসি; কিছুই মানুষকে জাগতিক উন্মত্ততা থেকে বিস্মৃত করতে সক্ষম হচ্ছেনা। হতে পারে তার ভাবনাগুলো এলোমেলো কিংবা ভেতরে ভেতরে বিদ্বেষপূর্ণ হয়ে উঠছে- কিন্তু বিপরীত সত্যের দেখা পাবে তেমন উপাদান কোথায়? দশ মিনিটের বিরতির জন্য বাস থামে। হাতমুখ ধুয়ে তাসনিম খেতে বসে। পরশু অফিসে ডেডলাইন সাবমিশন। সহকর্মী চৈতিকে কাজের সবটুকু গুছিয়ে দিয়েছে। ফিল্ডে গিয়ে রিপোর্টের ডেটাগুলো নিয়ে এসে বিল-ভাউচারগুলো ক্লিয়ার করবে। সদ্যবিবাহিতা চৈতি উটকো সংকটে অফিসে আত্মবিশ্বাসহীন থাকে। তার কলেজে পড়া দেবর তাকে পাঁচ পৃষ্ঠার এক প্রেমপত্র লিখেছে। এর মাঝেই একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে। স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির কেউই তার কারণ সম্পর্কে অবগত নয়। খাওয়াদাওয়া সেরে তাসনিম বাসে ওঠে। বিয়ের জন্য মা অনেক চাপ দিচ্ছে। রাতে ওষুধ ছাড়া তার ঘুম হয়না দুই বছর হলো। মায়ের চোখের ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। ডান চোখে বলতে গেলে কিছুই দেখেনা। মায়ের নিশ্চিত ধারণা, তার অবর্তমানে তাসনিমের বিয়ের ব্যবস্থা করার কোনো সামর্থ্য বড়ো ভাই হিসেবে জামানের নেই। রাত ঘনীভূত হয়। ভাগ্য আর দুর্ভাগ্যের ফারাক করতে পারা দিনকে দিন দুরূহ হয়ে যাচ্ছে। তাসনিম ফিল্ডে গেলেই কাজের প্রয়োজনের বাইরেও প্রচুর ছবি তোলে। তুলে নিজের কাছে রেখে দেয়। এখনো পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানের সাড়ে তিনহাজারের মতো ছবি তার সংগ্রহে আছে। একেকটি ছবি তাকে পূর্ণতার অনুভূতি দেয়। দিন ও রাতের সাদৃশ্য এবং বৈপরীত্যের সূক্ষ্ণতম দিকগুলো খুব বেশী মানুষ তার মতো করে বোঝেনা বলে তার বিশ্বাস। বিশ্বাস- আত্মিক উত্তরণের পথে প্রথম বন্ধু। গতিশীল চিন্তাপ্রক্রিয়ার অকৃত্রিম মিত্র। উপযুক্ত মনন নির্মাণের অনিবার্য অনুষঙ্গ। আকাশের উজ্জ্বলতম তারাগুলোকে চিনিয়ে দিতে কার্পণ্য করেনা।
বাস গন্তব্যে পৌঁছালে কাঁধে ব্যাগ আঁকড়ে ধরে তাসনিম বাস থেকে নামে। নেমে নির্বাক হয়। কার্তিকের রাত। তবুও আশ্চর্য নীল। আভিজাত্যের চাইতেও সৌকর্যের অবয়ব অনেক বেশী প্রস্ফুটিত। অন্তঃস্থ তারাগুলো অন্তর্গত শক্তিতে বিশ্বাসী ইঙ্গিত দিচ্ছে। ক্যামেরাটা বের করে দ্রুতগতিতে কয়েকটি ক্লিক করলো। ছবিগুলো একবার দেখে নিয়ে চারপাশে তাকালো। মুদি দোকানের হালকা নীল আলোকেও গাঢ় বলে মনে হচ্ছে। বাতাসের মৃদু ঝাপটা শরীরে এসে লাগলো।
অন্তর্গত বিশ্বাসগুলো আকাশে গাঢ় নীল হয়ে ঘনবদ্ধ হচ্ছে।
অক্ষয়
প্রমিথ রায়হান
প্রমিথ রায়হান
''মানুষ মেরেছি আমি— তার রক্তে আমার শরীর
উত্তরমুছুনভ’রে গেছে; পৃথিবীর পথে এই নিহত ভ্রাতার
ভাই আমি; আমাকে সে কনিষ্ঠের মতো জেনে তবু
হৃদয়ে কঠিন হ’য়ে বধ ক’রে গেল, আমি রক্তাক্ত নদীর
কল্লোলের কাছে শুয়ে অগ্রজপ্রতিম বিমূঢ়কে
বধ ক’রে ঘুমাতেছি— তাহার অপরিসর বুকের ভিতরে
মুখ রেখে মনে হয় জীবনের স্নেহশীল ব্রতী
সকলকে আলো দেবে মনে ক’রে অগ্রসর হ’য়ে
তবুও কোথাও কোনো আলো নেই ব’লে ঘুমাতেছে।
ঘুমাতেছে।
যদি ডাকি রক্তের নদীর থেকে কল্লোলিত হ’য়ে
ব’লে যাবে কাছে এসে, ‘ইয়াসিন আমি,
হানিফ মহম্মদ মকবুল করিম আজিজ—
আর তুমি?’ আমার বুকের ’পরে হাত রেখে মৃত মুখ থেকে
চোখ তুলে সুধাবে সে— রক্তনদী উদ্বেলিত হ’য়ে
বলে যাবে, ‘গগন, বিপিন, শশী, পাথুরেঘাটার;
মানিকতলার, শ্যামবাজারের, গ্যালিফ স্ট্রিটের, এন্টালীর—’
কোথাকার কেবা জানে; জীবনের ইতর শ্রেণীর
মানুষ তো এরা সব; ছেঁড়া জুতো পায়ে
বাজারের পোকাকাটা জিনিসের কেনাকাটা করে;'' -
(১৯৪৬-৪৭/জীবনানন্দ দাশ)
গ্রেট গল্প রায়হান
উত্তরমুছুন