চোখের সাম্রাজ্যবাদ
তোমার চোখে তাকাই—খুঁজে পাই জল;
সে জলে নামি; সাঁতরে পার হতে চাই
পারি না। চেষ্টার পর চেষ্টা, তবুও না..
জল আমাকে ভাসায়—ভালোবাসায়।
ভালোবাসায় ভেসে এবার স্বপ্ন দেখি
স্বপ্ন নিয়ে যায় সেই চোখেরই মায়ায়।
মায়ায় পড়ে ছায়া খুঁজতে থাকি;
খুঁজে পাই জাদুবলের আগুন;
যে আগুনে ফাগুনের পবনে
ব্যথারা বেড়ে উঠে দ্বিগুণ।
ব্যথায় কঁকিয়ে কঁকিয়ে তাকাই সেই দিকে—
যে দ্বি-চোখ আমারে করুণার ছলনায় রাখে।
সন্ধ্যেবেলার স্বরগ্রাম
আলগোছে আলপথ ছুঁয়েছে প্রাগৈতিহাসিক পা
জমিনে পড়ে থাকা বয়স্ক স্তম্ভ কিশোর হবার
ক্ষুধায় অন্ধকারের মতো দীর্ঘ হয়ে উঠছে।
নাম না জানা প্রেমিকা কবিতার সজনে পাতায়
উবুজুবু অবস্থায় মিশ্র ভগ্নাংশে বেড়ে উঠছে;
জীর্ণ যন্ত্রণা শীর্ণকায় হরণ করেছে অধিকার।
বেমালুম অস্বীকারের উপায় ভূমিষ্ঠ হয় নয়া সন্ধ্যায়
হে বিদেহী প্রভাতী, আসো; গ্রহণ করো ভ্রষ্ট আমাকে
চোখে চোখ রেখে চোখ হতে মুছো কাজলের আলপনা-
দেখেও দ্যাখো কিম্বা না দেখেও দ্যাখো, উফ্...যন্ত্রণা!
ক্যাচাল
প্রগাঢ় অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছায়া সমাজ
ছায়া সরে যায় আলোর পথ ধরে।
টুকটাক চুপচাপ প্রতীক্ষায় শুয়োরেরা
লোভে পড়ে লুটে খাচ্ছে, লুফে নিচ্ছে..
বাগানবাড়িতে মজমা,
নার্সারিতে রক্তের হোলি উৎসব
বিধিবাম বিধবামুখী শিশুর শৈশব।
এলেবেলে ভাঙা স্বরে উড়ন্ত চিৎকারে
স্পিকার ভেঙে পড়েছে কুকুরের চিয়ার্সে
দন্তস্য দন্তক্ষয়ে ঝুলে আছে চাদরে।
সন্ধ্যেবেলার স্বরগ্রাম ও অন্যান্য কবিতা
ইস্রাফিল আকন্দ রুদ্র
ইস্রাফিল আকন্দ রুদ্র
মন্তব্য