ফুলেরা গন্ধ ছড়াচ্ছে
চিরকাল হারিয়ে গেছে চোখের জলে
আমি জমাচ্ছিলাম যাহা
অসামান্য দারুণ ভালোবাসা
বিদায় জানাবার আগে
কত কত চিৎকার কিংবা ধরো বিষাদ
শ্বাসকষ্টের মতন ফিরছে কিছু প্রশ্ন
নিরুত্তর থেকে ভেবেছি
এইসব বুঝি নিয়ম
কোন উদ্ভাস নাই!
আর ভেতরে কেবল বড় হয়ে ওঠছে
ছেড়ে যাওয়া মানুষের কল্পনাশক্তি
ফুলেরা গন্ধ ছড়াচ্ছে
আমি অবাক হয়ে দেখছি, কারো উপস্থিতি ছাড়া
এমন একটা বারান্দা
কেমন এই পরিপূর্ণহীনতায়!
বাক্যালাপ
বহুবার পালাতে চেয়েছি, পরিনি
পালাতে গিয়ে জেনেছি-
যাওয়া যায় না বেশিদূর
বহুবার এইসব ভাবতে গিয়ে জানতে পেরেছি
পালানো একটা মিথ
যে মিথে আমি কেবল আমার
ভ্রমণটুকু লিখে রাখছি
খোশদিলে মিশে যাচ্ছে যেন অন্য কারো পাপ
মন খারাপের উদ্দেশ্যে
যতবার মুছে ফেলি মুদ্রার স্বভাব
ততবার চোখে থাকে নাচ
ছায়াবৃত্ত জলের স্বর
উঁচু তাল গাছে, গোলাকার মুখ ধরে
হাওয়ায় কাঁপে যে বাবুইয়ের ঘর
সম্মোহনের মতো
তাতে পাখিরা লিখে রাখে 'হাওয়া অকারণে আসে'
হাওয়া কী প্রেরণা! সবুজ চেয়ে থাকে যার দিকে
এদিকে বয়স তোমার পাড়ায় পা রাখছি
অথচ কেন এত পছন্দ করছি আয়ূ
বসন্ত প্রার্থনার হৃদভাষ্যকলা।
আশ্চর্য জীবন
আসবে কি আসবে না
এই দ্বিধা নিয়ে যে অনুলাপ ছড়িয়ে গেছে
ছোট ছোট পুর্তলিকা ফুলের পরে
তাতে কেন চোখ লেগে থাকছে
তারপর আমি তাকে আশ্চর্য জীবনের ভেতর দেখছি
যেখানে একটি কিশোরের মুখ
ক্ষয়সন্ধ্যার গান হয়ে জড়িয়ে ধরছে বুক
সেখানে আমি কতটা নিকটবর্তী হতে পারছি
কতটা অন্ধকার ছাপিয়ে পাহারারত লোকটা
সূর্যমুখীর মতো হেলে ঘুমাচ্ছে
বাক্যালাপ ও অন্যান্য কবিতা
শুভ্র সরকার
শুভ্র সরকার
মন্তব্য