পুরাতন প্রেমিকের কবিতা
তাহারে কিছু বলার ছিল
এই কথা ভেবে ভেবে আর বলা হলো না,যদিও
খুব চেষ্টা করেছি মনে রাখার;
অথচ জেগে থেকে জপ কোরে ভুলে গেছি।
হে নিদ্রিত পবিত্র রমণী
ঠিক মাঝরাতে আপনার প্রেমিক ঠিক কতটা আপনার?
সে কথা ভেবে দেখবেন কখনো...
আমি আপাতত বালিয়াড়ি দ্বীপে আমার প্রেমিকার নাম লিখবো
তারপর একটা সিগার ধরিয়ে অনেকক্ষণ নক্ষত্র গুণবো
সবশেষে স্বপ্নে আঁকবো: আমরা হেঁটে যাচ্ছি
সেখানে নীল আর কাঁকড়ের প্রণয়
বালি আর সাগরের ভালোবাসা
আলো আর আঁধারের কোলাহল
আমরা হেঁটে যাচ্ছি...বাসন্তী-রঙে সমুদ্রসন্তানের মতো...
ভিতরে প্রেমের
ভিতরে ফুলের হাসি নিয়ে
যেন-বা তীব্র সুবাস আছে,
এরকম লাল ঠিক বুকে
ফাগুনে মৃদুমন্দ আগুনে
তাকে চাই আর পাশ ফিরে
শুই। আরো দেখি তীব্র থেকে
তীব্রতম প্রেম খুব ধীরে
আমাদের দেহে দেহ মেলে।
তারপরে ভিতরে প্রেমের
নামে দেবতার মুখ মুছে
মৃদু হয়ে গিয়ে শয়তান
ফিরে আসে, সৃষ্টিছাড়া যেন
আরো অধিক সৃষ্টির কামে
ভালোবেসে ত্রাস চলে আসে।
একটা গল্প হতে পারতো
গাড়ির তীব্র সাইরেনে চমক ভাঙে। কোনো ভাবনা নেই। একেবারে নির্লজ্জ। নিপাট চিন্তাহীন। কোনো অতীত অথবা ভবিষ্যতের ছবি নয়। বর্তমানের হাড়-কঙ্কালে ফেঁসে গেছে চিন্তামণি। ফেঁসে গেছে চিন্তামণি? মানে কি আমি? এমনকি যে সূর্যের আলোকে দেখে বর্তমান বলি, বাস্তবে তা-ও ৮ মিনিট পূর্বেকার নিক্ষিপ্ত প্রেম। তবে কি সকল প্রেমই অতীতের শিলালিপি? সেই সব বসন্তে ডিওডোরেন্ট গন্ধমাখা দিনও চলে গেছে। না-পাওয়ার যাতনা নিয়ে ভাবি, তাকে পেলে জীবনটা হয়তো অন্যরকম একটা গল্প হতে পারতো।
ভিতরে প্রেমের ও অন্যান্য কবিতা
অসীম নন্দন
অসীম নন্দন
মন্তব্য