বেড়ালের চোখে সমূহ আহ্লাদ নিয়ে
প্রেমিকা ভালোবাসে সুগন্ধি রুমাল
আমার শুধুই বিরক্তি বাড়ে।
তবু কেউ কেউ গোলাপ ভালোবাসে;
গোলাপে কী আছে বলো!
অসীম সৌন্দর্য তো তোমার পায়ে
রূপসী আঙুলগুচ্ছে।
কিছু কি লাভ হয় এভাবে
তুচ্ছ সমনে জীবন কাটিয়ে?
চাপা গুঞ্জনের হৈ চৈ নিয়ে কারা যেন
পুরোটা জীবন পার করে দিচ্ছে!
ঘুমের ভেতরে ওরা খায়, হাঁটে, স্বপ্ন দ্যাখে
ঘুমের ভেতরেই মহুপাড়া পৌঁছে যায়।
সংঘ ভেঙে যদি ছায়ার ভেতরে ঢুকে যায়
সব, কী হবে বলো লাভ-লোকসান?
অসীমের দিকে যাত্রা হবে অনিবার্য;
বাড়িতে ফিরবে লোকে
বাড়িতে পৌঁছবে না।
নিঃসঙ্গ মানুষগুলো সারিবদ্ধ হয়ে আছে
একা!
স্মৃতির উঠোন ধুলোবালিময়
পেরোনো পথের বর্জ্যে।
স্বজাতি পেরিয়ে গেলে
গেরস্থ বাড়ির প্রাণীরা
বাঁধা থাকে শুধু স্মৃতির গোলাঘরে।
মানুষই হরণ করেছে মানুষের সুখ।
আহা জীবন
কী বিচ্ছিন্নতাপরায়ণ!
তীব্র স্বরে ডেকে যায় নিঃসঙ্গ শালিক।
মানুষ হিসেবে এইসব মৃদুমন্দ বেদনাকে
বালিশে মুড়িয়ে রেখে
তুমি একাই যেতে পারো সমুদ্রনিকটে।
বহমান ছেড়ে নতুন গতির খোঁজে... ‘ফলাফল ছাই’
সমাপ্তে দেখবে ভূমে যাপনের অধিক কোনো যৌনতা নাই।
বয়স্ক তারাদের কাছে কতকিছু
শিখতে হবে এখনও। ওদের তো
আরও বিচিত্র গতিপথ। তবু ওরা
এই বিষয়ে কোনও স্মৃতিকথা লেখে নাই;
রাতপ্রহরীর সাথে তুলনা করা হলেও
কোনো প্রতিবাদ করে নাই।
নিঃসঙ্গ বৃক্ষের শহরে
বহুদূরে আমিতুমি
চেনাভূমি কতদূর
ট্র্যাফিক
সিগন্যাল
হুইসেল
চিৎকার
লাঠিপেটা
মারধর
ধরপাকড়
অস্থির
রৌদ্র
মগজে কিলবিল করছে বলে
লাফিয়ে পড়েছি বৃত্তরেখা ছিঁড়ে
যেন বিক্রি হবো নদীতে পাহাড়ে।
স্মৃতির ভাঁড়ারে কতো জমাটবদ্ধ ছবি
অতীতে বলা হয় নাই, অপ্রকাশিত সবই।
দেয়ালে টাঙানো ছিলো সুরেলা সিংহাসন
অদৃশ্য যুদ্ধক্ষেত্রে যাপিত আমাদের প্রতিটি জীবন।
বাধ্যভাবে, হাসপাতালে জন্ম নিয়ে
পাগলাগারদে ঘুমানোর নিয়ম।
প্রতিটি সকালে যখন ঘুম ভেঙে যায়
দেখি, বেঁচে আছি!
নিজেকে এভাবে দেখে আমার হাসি পায়।
কী নির্মম এই বেঁচে থাকা; যেখানে জীবন
চাওয়া-না চাওয়ার উর্ধ্বে বহন করতে হয়।
কথাসব শুনে প্রমিতমেজাজি তুমি
হতে পারো বিরোধমুখর; বাদ দাও; বেশ তো
নদীর কিনারে বর্ণিল বৃত্ত হয়ে বসে আছি।
দ্যাখো দ্যাখো দ্যাখো
জলের তরল কাণ্ড
ঢেউয়ের ছদ্মবেশে অরোধ্য হাঁটাচলা।
‘নদীও বন্দী ফ্রেমে?’
ঝিনুকের ছবি পাশজুড়ে;
সাঁতারু নামে না কোনও ফ্রেমবন্দী নদীতে।
জলজ রেলগাড়ি ছেড়ে
সরু আলপথ
চলো হেঁটে যাই
জ্ঞানের সীমানা পেরিয়ে।
ভোররাত অবধি
সেইসব হাঁটাপথ
অনুবাদ করি নীলাভ ব্যাঞ্জনায়।
বানান ভুল হলে
কাছের মানুষও কাচের হয়ে যায়;
উপরে তার চন্দ্রবিন্দু থাকে না।
স্মৃতির খাতায় নাম লেখানোর পরে
গতিপথ রুদ্ধ হয়ে যায়। পুরোনো গতি
ফিরে আসে পুনরুত্থিত হয়ে।
আক্ষেপ জন্ম দেয়া
প্রতিটি অপেক্ষার পেছনে থাকে
অভিন্ন অজুহাত।
অপেক্ষা ভুলিয়ে দিতে
বোকামতো
লম্বা চুলের মেয়েটি
একদিন আড়ালে ডেকে বলেছিলো
দেখো, মানুষের আছে তিনটি হাত;
আমাকে বোকার মতো তাকিয়ে থাকতে
দেখে বলেছিলো, গোপন হাতটি থাকে হৃদয়ে।
সেই থেকে আমি হৃদয়কে সম্মান করি;
ও হৃদয় আমার
তুই তো হাত লুকানোর গোপন কুঠুরী।
জলের গভীরে ছিলো মেয়েটির বাড়ি
মৎস্যকুমারী
ছেলেটা নদীতীরে থাকে
ছবি আঁকে
জলের গভীর থেকে বেরিয়ে আসতো মেয়ে
চমকিয়ে
তখন ছিলো পাতা ফোটানোর দিন
রঙিন
গভীর, সহজ সুরে দর্শন জাগে
অনুরাগে
স্মৃতির কোটরে অজুহাতহীন
অধিক সময়ই ছিলো অবসর
তবু বলার মতো কোনো কথাই ছিলো না
আমাদের। ইথারবন্দি কথাগুলো
বাজছিলো পুনরাবৃত্তে।
শুকনো নদীর দিকে চেয়ে বেড়ে গেলে
শূন্যতা, আত্মহননই মৌলিক
নিয়তি হয়ে চুপচাপ বসে থাকে চিলেকোঠায়।
জীবন বন্দী ক’রে মৌল আঙিনায়
বোকাচন্দ্র ধর্মরথে চেপে অমরত্ব চায়।
জেনেও জানে না কেন দুরন্ত লাটিম
ধর্মের সীমানা আছে, মানুষ অসীম।
জীবনপুরাণ
সাম্য রাইয়ান
সাম্য রাইয়ান
আহা
উত্তরমুছুনদারুণ দারুণ দারুণ
উত্তরমুছুনজীবনে এরকম একটি কবিতা লিখতে পারলে আর কিছু লাগে না
উত্তরমুছুন