অ নাগরিক ও রাষ্ট্র বিচার অথবা না দাঁড়াবার জায়গা
সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ
সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ
রাষ্ট্র বললেই মনে পড়ে স্বাধীনতা দিবসের
সাঁজোয়া বাহিনী
রাষ্ট্র বললেই মনে পড়ে রেসকোর্সের কাঁটাতার
কারফিউ , ১৪৪-ধারা
রাষ্ট্র বললেই মনে পড়ে ধাবমান খাকি
জিপের পেছনে মন্ত্রীর কালো গাড়ি
কাঠগড়া , গরাদের সারি সারি খোপ
কাতারে কাতারে রাজবন্দী;
রাষ্ট্র বললেই মনে হয় মিছিল থেকে না-ফেরা
কনিষ্ঠ সহোদরের মুখ
রাষ্ট্র বললেই মনে হয় তেজগাঁ
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা
হাসপাতালে আহত মজুরের মুখ।
রাষ্ট্র বললেই মনে হয় নিষিদ্ধ প্যামফ্লেট
গোপন ছাপাখানা , মেডিক্যাল
কলেজের মোড়ে ‘ছত্রভঙ্গ জনতা-
দুইজন নিহত , পাঁচজন আহত’- রাষ্ট্র বললেই
সারি সারি ক্যামেরাম্যান , দেয়ালে পোস্টার!
রাষ্ট্র বললেই ফুটবল ম্যাচের মাঠে
উঁচু ডায়াসে রাখা মধ্য দুপুরের
নিঃসঙ্গ মাইক্রোফোন
রাষ্ট্র মানেই স্ট্র্রাইক , মহিলা বন্ধুর সঙ্গে
এনগেজমেন্ট বাতিল ,
রাষ্ট্র মানেই পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত
ব্যর্থ সেমিনার
রাষ্ট্র মানেই নিহত সৈনিকের স্ত্রী
রাষ্ট্র মানেই ক্রাচে ভর দিয়ে হেঁটে যাওয়া
রাষ্ট্র মানেই রাষ্ট্রসংঘের ব্যর্থতা
রাষ্ট্রসংঘের ব্যর্থতা মানেই
লেফট রাইট , লেফট রাইট , লেফট
বাংলাদেশের শহীদ কাদরী , বঙ্গভাষার কবির দৃষ্টিতে রাষ্ট্র এই ভাবে প্রতিভাত হয় ;কবির দর্শনঃ রাষ্ট্র মানে লেফট রাইট লেফট।
প্লেটো তার আদর্শ রাষ্ট্রে তৎকালীন কবিকুলের কোন জায়গা রাখেন নি ;তার কল্পিত নগর রাষ্ট্র হতে নির্বাসনে পাঠাতে চেয়েছিলেন। তৎকালীন গ্রীক নগর রাস্ট্রসমূহের আর্থ-সামাজিক -রাজনৈতিক অবস্থা দিয়ে তার বিবেচনা বোধ গঠিত হয়।
কবি ও কবিতা সম্পর্কে গ্রীকরা মনে করত যে , কবি ও কাব্যিকতা এক প্রকার দৈব সত্ত্বা বলে তা সব কিছুর উর্দ্ধে ;এ ধারণা প্লেটোর স্বাধীন চিন্তার বিরোধী , যেহেতু তার মতএকজন স্বাধীন চিন্তার মানুষের কাছে কোন কিছুই যুক্তি-তর্কের উর্দ্ধে নয়। গ্রীক মহান কবি হোমার নিঃসন্দেহে কালোত্তীর্ণ কবি। হোমারকেও জগৎ-এর সর্বোত্তম ভাবতে তার অভিন্নতা থাকতে পারে। নিজ মতানুসারে আদর্শ রাষ্ট্রে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছেন দার্শনিক রাজাকে ;যিনি হবেন জ্ঞানী ; হবেন প্রখর নেতা ;তিনি হবেন বীর , বিচক্ষণ ও সাহসী। সেই সময়ে প্রতিটি গ্রীক নগর রাষ্ট্রকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের আক্রমন মোকাবেলা করতে হতো। ‘
তাই তার আদর্শ রাষ্ট্রে একজন জ্ঞানী বীর দরকারী ; রাষ্ট্রকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে আর দরকার ছিল সৈনিক শ্রেণী , -- সৈনিক শ্রেণীর সহায়তায় রাষ্ট্রকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা শুধু নয় , রাষ্ট্রের সব শ্রেণীর মানুষের জন্য ন্যায় প্রতিষ্ঠাও হবে অন্যতম।তখন কবিতা কোনও কর্মে অপ্রয়োজনীয় এবং কবি যথা বহিষ্কৃত তথা নির্বাসিত।
প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রেও এই ভাবে নাগরিকগণ হতে বহির্ভূত অ নাগরিকত্বের ধারণা ও ভাবনা ছিল।
আধুনিক রাষ্ট্রের প্রাক -ধারণা পর্বে ভাগ ও বিভাজনের রাজনীতি থেকে বিতাড়িতকরণ পর্যন্ত এমন একটি প্রক্রিয়া যে কোনও উদগত রাষ্ট্রের মধ্যে অন্বিত হতে দেখা গেল।
আঞ্চলিক বসবাস ও বিভক্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে শৃঙ্খলা ও বিন্যাসের জন্য ক্ষমতাশালী অংশ এগিয়ে এসেছিল রাষ্ট্র গঠনের সূচনায়।এক অঞ্চলের বসবাসকারীর সঙ্গে অন্যান্য বসতির সংঘর্ষ ও সম্পর্কের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় চরিত্রের স্পষ্টতা দৃশ্যমান হয়।প্রবিষ্ট হয় অভ্যন্তরীণ নিয়মানুবর্তিতা , শৃঙ্খলা , শাসন ও শোষণ।
হরপ্পা ছিল এক নগর রাষ্ট্রের সভ্যতা।নগর রাষ্ট্র যুদ্ধ ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে বৃহৎ রাষ্ট্র বিন্যস্ত করে।বৃহৎ রাষ্ট্র গঠন করেছে সাম্রাজ্য।পরিবার থেকে সমাজ , সমাজ থেকে রাষ্ট্র বর্ধিত হয়ে এই সাম্রাজ্য।
দেশ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন এবং সাম্রাজ্যের ভাঙাগড়ার ইতিহাস হয়ে ওঠে মধ্যযুগের পৃথিবী।শক্তিশালী জাতি রাষ্ট্র গঠনের আধুনিক পর্বে এসে নতুন করে ভিন্ন চরিত্রে সাম্রাজ্য গঠনের নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়।
আধুনিক সাম্রাজ্যের চরিত্রে নতুন মাত্রা যোগ হলে জাতি রাষ্ট্রের সাম্রাজ্যে দখলকৃত অঞ্চল ভিন্ন এক পরাধীন রাষ্ট্র হিসেবে এক দেশ ধারনার বিপরীতে উপনীত হয়ে আর্থ-সামাজিক-রাজনীতিক ভিন্নতার ভেতর দিয়ে পরিচালিত হল।
কার্যত শক্তিশালী জাতি রাষ্ট্র কোনও দুর্বল রাষ্ট্রকে গ্রাস করলে নিজস্ব ব্যবস্হাপনায় সামরিক নিয়ন্ত্রণ , আর্থিক লুণ্ঠন এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসন পরিচালন করে।বিশ্বে এভাবে এক অঞ্চল হতে নিষ্ঠুর আহোরণের মধ্য দিয়ে অন্য অঞ্চলকে রিক্ত করে ফেলা হতে লাগল।লুণ্ঠিত হল সম্পদ।রাষ্ট্রের ভেতর রাষ্ট্র শোষণের গতিপথ তৈরি করল।এক রাষ্ট্র হয়ে পড়ল অন্য রাষ্ট্রের উপনিবেশ।উপনিবেশিকতার নাগপাশে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক-রাজনীতিক বৈশিষ্ট্য বিপর্যস্ত ও মনুষ্য-প্রাণ বিদারক হয়ে উঠল।
এই পথ ধরে ইয়োরোপীয় রাষ্ট্র হয়ে উঠল শক্তিশালী ও পরাক্রম। বাকি বিশ্ব দুর্বল ও পরাধীন।একদিকে অগ্রগতি , অন্যদিকে পরাধীনের পশ্চাদপদতা।আধুনিক বিশ্ব তখন উন্নত-অনুন্নত , সবল-দুর্বল , শাসক -শাসিত , শোষক-শোষিত।
রাষ্ট্র মানব সমাজে সৃষ্টি করেছে যুদ্ধ।প্রাক-রাষ্ট্র পর্বের পর যুদ্ধ হয়েছে জন্মিত রাষ্ট্রের সুনিশ্চিত ইচ্ছায়।সমস্ত সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র দ্বারা অন্য রাষ্ট্র হয়েছে আক্রান্ত ও লুণ্ঠিত।
রাষ্ট্রের অবস্থান , আয়তন , চরিত্র ক্রমাগত বদলে গেলেও রাষ্ট্র বিলুপ্ত হয়ে যায় নি।বিশ্ব মানব রাষ্ট্রের আচরণে অপমানিত হয়েছে।তবেও অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক সমন্বয়ে বিভিন্ন শ্রেণী , বর্গ ও সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে ভূমিকা পালনের সম্ভাবনা ও সুযোগের সুবাদে রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে , বহির্জগতে তেমনি অন্য রাষ্ট্র হতে আত্মরক্ষার সুসমাচার রয়েছে।
এই রকম নানা বিনিময় ও কখনও জবরদস্তি রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য নির্মাণ করেছে অপরিহার্য অবস্হান ;রাষ্ট্র এক প্রতিষ্ঠান।তবে অসম রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও সম্পদ আহরণের নির্লজ্জ্ব প্রকাশ ও বিকৃতি যুদ্ধের ভ্রু-কুটিকে লঙ্ঘন করতে পারে না।এছাড়া রাষ্ট্রের ধনিক-বণিক লুটেরা ক্ষমতাবান অন্তর্হিত মুষ্টিমেয়ের জন্য রয়েছে প্রাণপাত ও সুরক্ষাসহ মদদ ও স্ফীতি প্রদান স্বয়ক্রীয়।সারা পৃথিবী ব্যাপী বিভিন্ন ধরনের শাসন ব্যবস্হাঃ সমরতন্ত্র , স্বৈরাচারী গণতন্ত্র , রাজতন্ত্র , ধর্মতন্ত্র এই কিঞ্চিতকরক রক্ষক ও ভক্ষকদের আজ্ঞাবহ ও স্বার্থরক্ষক।ব্যতিক্রম সমাজতান্ত্রিক বলয়ও কেবলই দূরের বাতিঘর।
রাষ্ট্রের গতিবিধি ও প্রকাশ যেনবা চলে অন্ধ অশ্ব পৃষ্ঠে অথবা উদ্ভট উটের পিঠে , যেভাবে যতখানি তবু রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্র সম্পর্কে জনধারায় মত ছিল এই যে , প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাষ্ট্র শ্রেণী নির্বিশেষে সমস্ত অধিবাসীর স্বার্থ রক্ষার নিরপেক্ষ সংগঠন।
রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের বিধিবিধানের উৎপত্তি সম্পর্কে একটি তত্ত্বের নাম হচ্ছে সামাজিক চুক্তির তত্ত্ব।রুশো মনে করেন , রাষ্ট্রের উদ্ভবের পূর্বে মানুষ ছিল চূড়ান্ত স্বাধীন।কিন্তু অচিরেই অনুভব করল , এমন স্বাধীনতা সুখকর নয় , নয় নিরাপদ।এক স্বাধীন ব্যক্তি অন্য স্বাধীন ব্যক্তির ওপর আক্রমন ও ধন-সম্পদ গ্রাস করতে পারে বলে মানুষ নিজেদের মধ্যে চুক্তি লিপ্ত হয়ে এক অর্থে নিজেদের শাসন ভার নির্বাচিত/মনোনীত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেয়ার মানসে অব্যবহিত পূর্বে সম্পদ ও ব্যক্তি রক্ষার নামে নিজ স্বাধীনতা হরনকারী সাধারন ইচ্ছার প্রকাশ রূপে রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে।তখন হতে মালিক শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র অর্থাৎ আইন-কানুন , বিধিনিষেধ , জারিজুরি , বিচার , দণ্ড , দমননীতির পুলিশ ও কারাগারের উদ্ভব ঘটে।রাষ্ট্র যন্ত্র ও সরকার এক নয়।যে সামাজিক চুক্তিকে শৃঙ্খলিত ও বরণ করে নেয়া হয়েছিল , সেই চুক্তিবলে গঠিত নির্বাচিত ও দখলকৃত /মনোনীত শাসক মণ্ডলীর দ্বারা রাষ্ট্র যন্ত্র পরিচালন সাপেক্ষ হলেও এই সরকার ও রাষ্ট্র কখনও একাকার হয়ে পড়লে মানুষের অধিকার কথা ভাষা হারায়।
রাষ্ট্র হচ্ছে অন্যতম সামাজিক সংগঠন।রাষ্ট্রের ভিত্তি হল মানুষের প্রকৃতি।রাষ্ট্রের সংজ্ঞা বহু।
আধুনিক রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের প্রদত্ত সংজ্ঞাসমূহ সমন্বয় করে বলা যেতে পারে , যেমনটি অধ্যাপক গার্ণার বলেছেন যে , রাষ্ট্র হল বহু সংখ্যক ব্যক্তি নিয়ে গঠিত এমন একটি জনসমাজ যা নির্দিষ্ট নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্হায়ীভাবে বসবাস করে , বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ হতে সর্বপ্রকারে মুক্ত এবং যেখানে এক সুসংগঠিত শাসন ব্যবস্হা বিদ্যমান---এই শাসন ব্যবস্হার প্রতি অধিকাংশ স্বভাবজাত আনুগত্য প্রকাশ করে।
রাষ্ট্রের সংখ্যা অসংখ্য হলেও রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের মতৈক্য রয়েছে যে , রাষ্ট্রের সাধারণ কতক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।
রাষ্ট্রের জন্য প্রথমত জনসমষ্টি প্রয়োজন।সংগঠিত জনসমাজ রাষ্ট্র গঠন করে।এই জন সমষ্টি শাসক ও নাগরিক ছাড়াও বিদেশী থাকে।যারা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে তাদের বলা হয় নাগরিক।বিদেশীয়দের আনুগত্য বহিঃরাষ্ট্রের প্রতি অথচ অস্হায়ীভাবে বসবাস করে ভিন্ন রাষ্ট্রে।
বিদেশীদের স্বভূমি অন্যত্র।নানা সূত্রে , বিশ্বায়নের করতলে কোনও দেশে বসবাস তাদের নাগরিকত্বের ভূষণ দেয় না।অ নাগরিক হতে তারা আলাদা।নাগরিকত্ব বিচ্যুতি বিন্যাসে নানা অজুহাতে তারা হয়ে ওঠেন অ নাগরিক ;তারা হয়ে পড়েন নিজ ভূমে পরবাসী।
রাষ্ট্রের জনসমষ্টির আয়তন সম্পর্কে কোনও প্রচলিত নিয়ম নাই।স্বল্প সংখ্যা সুশাসনের পক্ষে অপরিহার্য , এমন ধারণা বর্তমানে অচল ;আধুনিক যুগে পরোক্ষ শাসন , বিকেন্দ্রীকরণ , যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্হা , স্বায়ত্তশাসন পদ্ধতি , পরিবহন ও সংসরণ ব্যবস্হার অভাবনীয় উন্নতির ফলে দেখা গেছে , বিশাল জনসংখ্যা সুশাসনের অন্তরায় নয়।
জনসমাজ যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের অধিকারী হয় , ততক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্র গঠিত হয় না।প্যালেস্টাইনে প্রতিষ্ঠিত ও দখল কায়েম না করা পর্যন্ত ইহুদিরা সংঘবদ্ধ থাকলেও পৃথিবীময় ছড়িয়ে থাকার কারণে তাদের রাষ্ট্র ঘোষিত হয় নাই।প্রকৃতপক্ষে ভ্রাম্যমান রাষ্ট্র বলে কোনও কিছু কল্পনা করা যায় না।ইহুদি কর্তৃক প্যালেস্টাইনিদের নিরন্তর আক্রমন ও তাদের জন্য আত্মরক্ষার অধিকার হরণের ফলে দেশ হতে মুখ ফিরিয়ে অযুত সংখ্যক প্যালেস্টাইনিদের অন্যত্র আশ্রয় গ্রহণ , অভিবাসন ও স্হানানন্তর , শরণার্থী প্রবণতা ও প্রয়াস তাদের উপর প্রবর্তিত করেছে দেশহীনতা।
মানবসমাজ যখন বসবাস করে স্হায়ী পরিসরে তখন নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের সঙ্গে সম্পর্ক স্হাপনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ধন সম্পত্তির সংরক্ষণ ও নিজস্ব ব্যবস্হায় নিজেদের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা থেকে রাষ্ট্রের উদ্বোধন ঘটে।রাষ্ট্রের সর্বপ্রধান বৈশিষ্ট্য সার্বভৌমিকতাও ভূমিগত।রাষ্ট্রের ভূখণ্ড বলতে নদ-নদীসহ নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ছাড়াও রাষ্ট্রটি সমুদ্রবর্তী হলে সংলগ্ন সমুদ্রের কোনও অংশ যেমন থাকে তেমনই নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের বায়ু মণ্ডল রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার জন্য গুরুত্বপূর্। বিমান চলাচল ও তারহীন যোগাযোগের জন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমিকতার আলোকে বায়ু মণ্ডলও রাষ্ট্রের অপর জমিন।
রাষ্ট্রের পরবর্তী ও অপরিহার্য উপাদান হল শাসনযন্ত্র বা সরকার।সরকারই রাষ্ট্রকে পরিচালনা করে। তাদেরকে বলা যেতে পারে শাসক গোষ্ঠ। বাস্তবতার আলোকে সরকার ও রাষ্ট্রকে, শাসক শ্রেণীর দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যার্থ্যে পৃথক করা যাচ্ছে না।ব্যাপক অর্থে যে সমস্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তি-সম্প্রদায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে তারা শাসক গোষ্ঠী হয়ে পড়ে সরকার বলে প্রচলিত ধারণা সম্মত শাসন বিভাগ , নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগকে নিজ স্বার্থে পরিচালিত করে যেমন ইচ্ছা তেমন ও নিজস্ব মুষ্টিমেয়ের স্বার্থ অনুকুল কর্মকাণ্ড পরিচালন করতে থাকে।ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে তারা ক্ষুধার অন্ন কেড়ে নিতে পারে ;জনসমষ্টিতে ফাটল ধরিয়ে তাদের মনপুত না হওয়া জনগণের একাংশকে অ নাগরিক বানাতে পারে । রাষ্ট্রের নামে এইভাবে স্বৈর বলয়ে , নির্দিষ্ট অভিপ্রায়ে , রাষ্ট্রের সার্বভৌমিকতার ওপর ভিত্তি করে নানা অপনোদন সম্পাদন করে।
রাষ্ট্রের সার্বভৌমিকতা আবশ্যক এবং অপরিহার্য শর্ত।সার্বভৌম ক্ষমতা বোঝাতে অভ্যন্তরীণ চরম ক্ষমতাকে বোঝানো হয় ;তা'ছাড়া বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রাধীন হতে সর্বপ্রকার মুক্তাবস্হা বোঝানো হয়ে থাকে।
বর্তমানে অধিকাংশ রাষ্ট্র বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও নানা ধরনের সংগঠিত ও অসংগঠিত এবং স্বার্থ , ভোট বিজয়ে শাসনযন্ত্র কুক্ষিগত করার ছায়া অবলম্বন , সমাজের প্রথাগত রীতিনীতি , ধ্যানধারণা ও আইন কানুনের মূলনীতি ও ধর্মীয় ডংকাকে উপেক্ষা করতে অনিচ্ছুক রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা।
রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ চরম ক্ষমতা ও বহিঃ শক্তির অধীনতা মুক্তি , প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের সার্বভৌমিকতার দুই মেরু।প্রথমটিকে রাষ্ট্রের সার্বভৌমিকতা বলা যুক্তিযুক্ত।দ্বিতীয়টিকে বলা যায় স্বাধীনতা , যেখানে অবস্হান করে আরেক স্বাদ-হীনতা।
রাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য সরকার পরিরর্তনশীল।বিপ্লব , বিহিত পদ্ধতি(legal procedure) , বংশের বিলুপ্তির মাধ্যমে সরকার বদলায় তবে খোল নলচে বদলায় না। এই ভাঙাগড়ার মধ্যেও রাষ্ট্র , তার চরিত্র বিকৃতি ও অবিকৃতিসহ বহাল থাকে।
সাধারণের কাছে রাষ্ট্র , অর্থাৎ এক টুকরো মানচিত্র , সমগীত জাতীয় সঙ্গীত , দেশ বন্দনায় হিতকামী উচ্চারণ ও একটি পতাকার উড্ডয়ন ও নত মস্তক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন নয়।
রাষ্ট্র বলতে জল -হাওয়া-কাদামাটিকেও বোঝায়।
ও আমার দেশের মাটি তোমার ‘পরে ঠেকাই মাথা….এই মাটি যখন ছিঁড়ে যায় তখন কপোল ঠেকাবার মাটির বদলে এক অতল শূণ্যগামীতা বাস্তবতার নিদারুণ দাঁত ও করাতে অখণ্ডকে খণ্ড খণ্ড করে।
নাগরিকত্বের জন্য , জন্মসূত্রে গৃহীত বিবেচনা ছাড়াও থাকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে খোলা পথ , ন্যাচারালাইজেশানের মাধ্যমে উন্মুক্ত পথ , সিটিজেনশীপ বাই ডিসেন্ট , নতুন এলাকা রাষ্ট্রের অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে কিভাবে সেখানকার জনসমষ্টি নাগরিকত্ব পাবে সে ব্যাপারে বিবেচনা , নীতি , পদ্ধতি ও পথ।
এ সকল অবলম্বিত নীতি , পদ্ধতি ও পথে কাঁটা বিছিয়ে নাগরিকত্ব বনাম অ নাগরিকত্বের একটি চাল যেমন বিদ্যমান রয়েছে কোনও সভ্যতার দাবীদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রাচারে তেমনি উদ্বাস্তু মানুষের ঠিকানাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে করতে… জনগণনায় শরীক করেও ভোটদানের অধিকার মাড়িয়ে --ভোটার তালিকায় নাম না জুড়ে , কিংবা নাগরিক সুবিধা লাভের বিপরীতে হতমান অপমান বর্ষিত করে বে-নাগরিক করণ প্রক্রিয়াজাত হয়ে থাকে।--রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ চরম ক্ষমতা বর্ষিত হয়।জাতীয়তাবাদী চেতনা ফ্যাসিস্ট রূপ পরিগ্রহ করলে মাটির মানুষ , মা ও মাটি হারা , ভীত ও ছায়া নাগরিকে পরিণত হয়।গণহত্যার নামতা বলে ওঠে যে , বিভেদকরণ>ঘৃণা বচন>হিংস্রতা >পৃথকীকরণ > নির্মূলকরণ ও বিতারণ…
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ ১৯৫১সালে আন্তর্জাতিক শরণার্থী কনভেনশান প্রণয়ন করে।ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মতামতের কারণে নিগ্রহের কারণে ও ভয়-ভীতিজনিত যারা স্বদেশ ত্যাগ করেছে তাদের রক্ষার্থে এই কনভেনশান প্রথম আইনি দলিল।সে অনুসারে শরণদাতা কর্তৃক শরণার্থীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা বেআইন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক শরণার্থী অভিজ্ঞতার আলোকে শরণার্থীদের সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি হয়।১৯৪৮সালের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা সকল মানুষকে সম্মান , অধিকার ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে বিবেচনা করার বিষয়টি উঠে এসেছে।শরণার্থীও একজন মানুষ এবং তার মর্যাদা এ সম্মান পাওয়ার অধিকার রয়েছে।হত্যার মত অরাজনৈতিক গুরুতর অপরাধে দোষী অপরাধীদের ক্ষেত্রে শরণার্থী কনভেনশান প্রযোজ্য হবে না।শরণার্থী মর্যাদা নির্ধারণে যে কোনও রাষ্ট্রের একটি নিরপেক্ষ পদ্ধতি ও কাঠামো থাকতে হবে।এই মর্যাদা প্রদান করা হবে ধর্মীয় , রাজনৈতিক ও কনভেনশানে বর্ণিত অন্যান্য ভিত্তিসমূহ পর্যালোচনা করে নিগ্রহ ভীতি প্রমাণিত হলে।
প্রায়শ এই প্রক্রিয়ায় আমলাতান্ত্রিক জটাজালে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অস্হিরতা ও বিলম্বিত প্রক্রিয়া দেখা যায়।কখনও প্রক্রিয়াটি স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে।রাজনৈতিক মতলব হানা দেয়।
মানুষের অসহায়ত্ব ও অনিশ্চয়তার কারণে মানবিক প্রসঙ্গ গুরুত্ব অর্জনের দাবীদার।এসময় তাদের অরক্ষিত ও অনিশ্চিত অবস্হার প্রেক্ষিতে তাদের থেকে অবাঞ্ছিত ও অনাকাঙ্খিত ফায়দা ওঠানোর পর পরিত্যাগ করা হয়।তখন রাষ্ট্র মানে লেফট রাইট লেফট।
রাষ্ট্রের মর্যাদা কেবল উন্নয়ন ধারা ও মাথা পিছু আয়ের ওপর ভিত্তি করে নিরূপণ হয় না।সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সকলের ক্ষেত্রে মানবাধিকার সংরক্ষণে ভূমিকাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
কনভেনশান অনুযায়ী নিগ্রহের দৃঢ় ভিত্তিক ভয় থাকলে তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো যায় না।
মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যাবসন সব সময় স্বেচ্ছা প্রণোদিত হতে হবে।কিন্তু যখন উৎস রাষ্ট্রতে পরিস্হিতি যথেষ্ট মাত্রায় পরিবর্তিত ও স্বাভাবিক হয়ে আসে আশ্রয়দাতা রাষ্ট্র মনে করলে শরণার্থী মর্যাদার ইতি ঘোষণা করতে পারে।
১৯৫১-এর কনভেনশান ইয়োরোপীয় মডেলে তৈরি যা কিনা ইয়োরোপীয় শরণার্থী সমস্যায় কার্যকর।এশিয়া ও আফ্রিকার গুটি কয়েক রাষ্ট্র তখন জাতিসংঘের সভ্য।এর মূল সুর ঐতিহাসিক ও ধারণাগতভাবে ইয়োরোপী। জাতি গোষ্ঠী ভিত্তিক ধারণাকে ভিত্তি করে প্রণীত হয়।এটি বৈশ্বিক কোনও কনভেনশান হয়ে ওঠে না , যেহেতু দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার বাস্তবতা ভিন্ন।কনভেনশানের একই ধারণাগত সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভিত্তি প্রকৃতপক্ষে এশিয়ান ও আফ্রিকান রাষ্ট্রে বিরাজ করে না।
শরণার্থীর সংজ্ঞা দ্রুত পরিবর্তন হয়ে চলেছে।
এই কনভেনশান তৈরি হবার পর ষাট বছর অতিক্রান্ত।সেই সঙ্গে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ মানুষের জীবিকা ও প্রতিকুল পরিস্হিতে উদ্ভুত Displacement এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক কারণ , বিরূপ পরিস্হিতির কারণে আন্তঃ রাষ্ট্রীয় Migration ব্যাপক ও জটিল হয়েছে।
স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পর যে পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্হা বিরাজমান , এই পরিস্হিতিতে রাজনীতির বিশ্বায়ন , অর্থনীতির বিশ্বায়ন , আনবতর্জাতিক অধিকারের বিশ্বায়ন ও সার্বজনীন মানবাধিকার চেতনার বিশ্বায়ন এবং চিন্তা-ভাবনার বিশ্বায়ন পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
বিগত অর্ধ শতাব্দীর বেশী সময়কাল ব্যাপী বিশ্বে বিশেষত এশিয়ান দেশগুলিতে বল পূর্বক অভিবাসনের মাত্রা ও বৈচিত্র্য অতি প্রকার দেখা গিয়েছে।অনেক রাষ্ট্র এই জঙ্গমে শামিল হয়ে কখনও শরণার্থী উৎপাদনকারী , আবার কখনও শরণার্থী আশ্রয়দানকারী হিসেবে রাষ্ট্রকে জাহির করতে হয়েছে।
নিজ বাসভূমে অবাঞ্ছিত ও ফেরারী , রাষ্ট্রের জনমণ্ডলীর কোনও অংশকে অ নাগরিক হিসেবে বিনির্মাণ ও রাষ্ট্রের বিমানবীকরণ প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত করা হয় শরণার্থীতে ; উন্মুল- উদ্বাস্তু এই মানুষগুলোর প্রতি উদ্যত ভীতি ও শঙ্কাজনক push factor নীল দংশন করলে অতপর বিলীন হয়ে যেতে হবে নামহীন গোত্রহীন শিবিরে।
বে- নাগরিক ও শরণার্থীর মধ্যে ব্যবধান থাকে না বলে এই সকল রাষ্ট্রহীনদের নতুন পুনঃসংজ্ঞায়নে কোনও বিরোধ থাকল না বলে শরণার্থী হচ্ছেন , এমন একজন ব্যক্তি যিনি নৃগোষ্ঠী , ধর্ম , লিঙ্গ , জাতীয়তা বা জাতিতাত্বিক পরিচয়ের কারণে , কোনও নির্দিষ্ট সামাজিক গোষ্ঠির সদস্য হওয়ার জন্য বা কোনও রাজনৈতিক মতবাদের কারণে নিগৃহীত হওয়ার দৃঢ়ভিত্তিক ভয়ের কারণে তার উৎস রাষ্ট্রের বাইরে অবস্হান নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়েছেন এবং সেই দেশ কর্তৃক প্রদত্ত রক্ষণাবেক্ষণের সুযোগ গ্রহণ করতে অস্পৃশ্য বা , ভীতি সঞ্চারী হয়ে বিমুখ প্রান্তরে সমাসীন
অথবা এমন কোনএ ব্যক্তি , যিনি আগ্রাসন , দখল , বিদেশী কর্তৃত্ব , ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন বা উৎস রাষ্ট্রের সকল স্হানে বা কিয়দাংশে বিরাজমান স্বাভাবিক অবস্হা বিনষ্টকারী যে কোনও ঘটনার কারণে নিজ স্বাভকবিক বাসস্হান বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত ও বিতাড়িত হয়ে উৎস দেশের বাইরে গিয়ে জীবন ধারণ করেছেন বা আশ্রয় নিয়েছেন।শরণদাতা দেশটি নিজস্ব নয় , বরণ করতে হয় দুঃসহবাস আর হৃদয়ে লালিত থাকে কোনও এক দেশ-গ্রামের কথা যেখানে তিনি বর্ধিত ও পুষ্ট হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের দুঃখের কথা আর তো ফুরায় না।
বিশ্ব রাষ্ট্র সভার স্বীকৃতি ভিত্তিক এক রাষ্ট্রের নাগরিকগণ ভূখণ্ডহীন চলাচল করে দেশে-দেশে।অগ্নি ও বিষ্ফোরণ , রক্ত ও মৃত্যু ছাড়া স্বপ্নের ভেতর তাদের জন্য বরণ ডালা নাই।
ঠাঁই নাই , ঠাঁই নাই এই পৃথিবীতে। মহানিশা অমানিশা , --সূর্যোদয় ঘটে পূর্ব দিগন্তে , হয়তো নিয়ম মাফিক অথচ কী বিষন্ন।স্বর্গীয় ফলের মত ফেটে যায় আকাশ।
নিরাপত্তা ও জানমালের সংরক্ষণে , এমনকি অস্তিত্বের সংকটে তারা বিশ্বের একেকজন নাগরিক --দেশ নাই , ভিটা নাই বাস্তুহারা সত্তা।
অই তাদের অশ্রুহীন , দেহহীন , স্বপ্নহীন চোখ।তাদের অজস্র চোখ।তাদের কথমালা অন্ধ এবং কেবলই বিনাশ আর ধ্বংসের পর পুনরাবৃত্ত।
জিজ্ঞাসা করলাম নাম
বলল আমি
বাসস্হান
চৈতন্যে
স্হায়ী ঠিকানা
ইতিহাসে
উচ্চতা
স্বাধীনতা সমান
বর্ণ
জিগ্যেস কর মাটিকে
বিশেষ চিহ্ন
ভ্রুযুগলের মাঝখানে তৃতীয় একটি চোখ
আর গন্তব্য তোমাদের গন্তব্য আমাকে বলো
হৃদয়ে
আমি তাদের রেখে এলাম এখানে এবং ওখানে
এখন বিস্মিত হয়ে দেখি
তারা এখানেও নেই কিংবা ওখানেও
তারা সর্বত্র
এইভাবে আমরা প্রতিদিন প্রতিমাস বৎসরে যুগে যুগে শতাব্দীতে শতাব্দীতে প্রত্যক্ষ করেছি….
আমাদের একেকটি অংশের মৃত্যু।
সূত্র:
১। দর্শনকোষ/ সরদার ফজলুল করিম
২। An introduction to political theory/ Dr.Arun Bhattacharjee
৩। সৈয়দ শামসুল হক ও শহীদ কাদরীর কবিতা
৪। সভ্যসমাজে বিভাজন/সমীরণ মজুমদার
৫। রাষ্ট্র বিজ্ঞান/ অরুণ কুমার সেন ও প্রমুখ
৬। শরণার্থী সংক্রান্ত জাতীয় আইন , বাংলাদেশ প্রেক্ষিত/ রেফিউজি এণ্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট
৭। নাগরিকত্ব আইন, এন আর সি / সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস।
তাদের কথামালা অন্ধ এবং কেবলই বিনাশ আর কেবলই ধ্বংসের পর পুনরাম্ভ।
মন্তব্য