কবি শাহেদ শাফায়েত পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্বাস আলী ও মাতা মোছাঃ রওশনারা বেগম। তিনি দেবীগঞ্জ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, নৃপেন্দ্র নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে এসএসসি, দেবীগঞ্জ মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে এইচএসসি, হবিবুল্লাহ বাহার কলেজ থেকে ১৯৯০ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
শাহেদ শাফায়েতের বই |
তাঁর প্রথম কাব্য 'কোরপাটেলিক শিল্পতরু প্রকাশনী থেকে ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় কাব্য ‘তোমার জৌলুসমাধা প্রতিটি ভোরের গান’ ফ্রি স্কুল স্ট্রিট প্রকাশনী থেকে ২০০১ সালে প্রকাশিত হয়। তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘বালিঘর ও প্রতিটি ভোরের গান’ উলুখড় প্রকাশনা থেকে ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালে বইমেলায় উড়কি প্রকাশনী থেকে তার ‘কোরপাটেলিক’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ বের হয়। ২০২১ সালে আমার বাড়ি ফাউন্ডেশন থেকে ‘চরকা কাটার গান’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তাঁর সম্পাদিত ছোটকাগজ ‘পূর্ণদৈর্ঘ’, ‘রংতুলি’ (ছাড়পত্র), ‘করাত’ (কবিতাপত্র) ‘বৈশাখে’ (নতুনদের কবিতাপত্র)। জীবনের শেষদিকে তিনি দেবীগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (বুধবার) দুপুর ১২টার দিকে পঞ্চগড়ের নিজ বাড়িতে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কবি শাহেদ শাফায়েত |
কবির মৃত্যুর খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন তাঁর ভাগ্নে শাহরিয়ার সম্পদ। ঐদিন দুপুরে তিনি জানান, “মামা একেবারেই সুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে একটু বমি হলেও আজ সকালে নাস্তা করেছেন, সবার সাথে ঠিকঠাক কথা বলেছেন। নিজের ঘরেই শুয়ে ছিলেন। ১২টার দিকে তাকে ডাকলে সারা না দিলে ঘরে গিয়ে তাকে মৃত পাওয়া যায়। কেউ কিছু বুঝতেই পারে নাই।”
ব্যক্তি জীবনে অকৃতদার এই কবি পঞ্চগড় দেবীগঞ্জে নিজ বাড়িতেই জীবনের শেষ সময়গুলো কাটিয়েছেন।
আব্দুর রহমান ও শাহজামালের হাতে ‘চরকা কাটার গান’ তুলে দিচ্ছেন কবি |
‘চরকা কাটার গান’ কাব্য হাতে শাহেদ শাফায়েত |
লেখকবন্ধুদের সাথে শাহেদ শাফায়েত |
মন্তব্য