প্রথমত আমাদের প্রশ্ন হতে পারে, একটা উপন্যাসের বাস্তবতা বলতে আদতে কী বোঝায়? উপন্যাস তো আসলে লেখকের মনোজগতের কল্পনা ভিন্ন কিছু নয়। লেখকের মনোজগতের কাল্পনিক চরিত্র এবং ঘটনাপ্রবাহের আক্ষরিক বর্ণণাই যদি উপন্যাস হয়, তবে উপন্যাসেরও বাস্তবতা বলে কোনো কিছু হতে পারে কি? এক্ষেত্রে কাল্পনিক চরিত্রগুলোর মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতাকেই আমরা নির্দ্বিধায় উপন্যাসের বাস্তবতা বলতে পারি। এই উত্তরাধুনিক সময়ে এসে বিশ্বসাহিত্যে আমরা উপন্যাসের নানান রকম বাস্তবতা উপভোগ করে থাকি। তাত্ত্বিকভাবে এই বাস্তবতাগুলোকেও আমরা নানান জনরায় ভাগ করে নিতে পারি। কখনো প্যারানরমাল, কখনো সুররিয়াল, কখনো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, আবার কখনো থ্রিলার এরকম নানান নামে আমরা এই বাস্তবতাকে তাত্ত্বিকভাবে সংজ্ঞায়িত করে থাকি।
বাংলাসাহিত্যের এক অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। বাংলাসাহিত্যকে তিনি ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন। ২০২২ সালের ১৫ আগষ্ট ছিল তাঁর জন্মশতবার্ষিকী। রাজনৈতিক উন্নাসিকতায় হয়তো আমরা একটু বেশিই বিস্মৃতিপরায়ণ হয়ে গেছি। তবু এখনও তাঁর লেখা ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। কেন তিনি এখনও প্রাসঙ্গিক? এই প্রাসঙ্গিকতার প্রধান কারণ হচ্ছে, তাঁর রচিত উপন্যাসগুলোর বাস্তবতা। মনঃসমীক্ষণধর্মী লেখায় তিনি ঘটিয়েছেন চেতনার ঝর্ণাপ্রবাহ। যেমনটা দস্তয়ভস্কি, জেমস জয়েস কিংবা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বসাহিত্যে ঘটিয়েছিলেন; ঠিক একই রকম বর্ণর্ণাধর্মী বিন্যাসে তিনি মুসলিম সমাজে মানুষের বাস্তবতার চিত্রকে তুলে ধরেছেন।
১
তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস 'কাঁদো নদী কাঁদো'। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত। এই উপন্যাসটি হচ্ছে একটি শহরের নিজস্ব গল্প। অবশ্য লেখকের বর্ণণায় যাকে শহর বলা হয়েছে, তাকে আমরা শহর না বলে মফস্বল এলাকা কিংবা নিদেনপক্ষে শহরতলি বলতে পারি। তো এই উপন্যাসের গল্প শুরু হয় একটি নদীর বুকে ভাসমান স্টিমারে যাত্রারত একজন আড্ডাবাজ যাত্রীর কথকতার মধ্য দিয়ে। সেই আড্ডাবাজ যাত্রীর নাম তবারক ভূঁইয়া। এছাড়া গল্পের আরেকজন কথক উত্তমপুরুষে লেখক নিজেই। তবারক ভূঁইয়া এবং লেখকের স্মৃতিবিজড়িত অতীতের ঘটনাকেই বাঙালের বিশেষ চরিত্রগত আড্ডার ঢঙে গল্পের আবহ সৃষ্টি করেছেন লেখক। তবারক ভূঁইয়া বলেন একটা নদী এবং সেই নদীতীরবর্তী শহরতলীর গল্প। যে শহরতলীর মানুষেরা একসময় হঠাৎই নদীর কান্না শুনতে পায়। "মানুষের জীবনের মতো নদীর জীবনও নশ্বর"। এটিই ছিল গল্পের বাস্তবতা। যা আমরা আজকের এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময়ে এসে খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারি। বাংলাদেশ হলো নদীমাতৃক দেশ। আর মানুষের কঠোর শাসনে প্রকৃতি কীভাবে বিরুপ হয়ে উঠেছে তা এখন আর বর্ণণা করে বলার কোনো প্রয়োজন বোধ করছি না। তা আমরা যেকোনো শহরের উপনিবেশে অবস্থিত নদীর দিকে তাকালেই এর স্বরূপ বুঝতে পারবো।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণে দেখলে নদীর সেই অর্থে প্রাণ নেই। নদী কাঁদতেও পারে না। তবে নদীকে কেন্দ্র করে যে জীববৈচিত্র্য আমরা দেখতে পাই, তাকেই আমরা নদীর জীবনও বলতে পারি। আর এই জীববৈচিত্র্য যদি সংকটাপন্ন হয় তবে অবশ্যই নদীও সেই ঘটনার থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। সেই অর্থে এই প্যারানরমাল ঘটনাপ্রবাহকে আমরা মানুষের বুকের ভিতরের চেতনার সংকটাবস্থাকেই কল্পনা করতে পারি। যা আদতে লেখক তার লেখার মধ্য দিয়ে একটি ভীষণ বাস্তবতায় রূপ দিয়েছেন। এই পর্যায়ে আমরা উপন্যাস থেকে কয়েকটা উদ্ধৃত অংশের স্মরণাপন্ন হতে পারি।
ক) "সে জানে, মানুষের দুই-মুখ-- একটি বাইরের অন্যটি ভিতরের। বাইরের-টি সমাজ-ধর্মের নির্দেশ মাফিক বানানো, ভেতরটি নির্ভেজাল স্বার্থে তৈরি, সর্ব মহৎ উদ্দেশ্যবর্জিত।"
খ) "মান-ইজ্জত কীভাবে যায় সে বিষয়ে প্রত্যেক মানুষ তার নিজস্ব মতামত পোষণ করে থাকে। তহবিল-তছরূপ করেছে-- এমন অভিযোগে যে মানুষ বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় না, সে আবার অধার্মিকতার অভিযোগে গভীরভাবে আহত হয়। যে মানুষ চরিত্রহীনতার অপবাদে অবিচল থাকে সে-ই আবার মিথ্যাবাদের অভিযোগে ক্রোধে অপমানে আত্মহারা হয়ে পড়ে।"
গ) "জীবনসমুদ্র পার হতে হলে মুষ্টিমেয় কয়েকটি সহজবোধ বিশ্বাসই কি যথেষ্ট নয়? দাঁড়-হাল-পাল এবং একটি ধ্রুবতারা থাকলেই গহিন রাতে সমুদ্র পার হয়ে যাওয়া যায়।"
ঘ) "তাদের নেতৃত্বে জুমাবারে শহরের মসজিদে এত নামাজির সমাগম হয় যে উঠানেও জায়গা হয় না।"
উদ্ধৃত অংশগুলো যেমন এই উপন্যাসের বাস্তবতা, ঠিক একই রকম ভাবে বাংলাদেশেরও বাস্তবতা। যেন তাঁর লেখার মধ্যে আয়নার মতন প্রতিফলিত হয়েছে বাংলাদেশের পশ্চাদপদ সমাজ। মানুষের নিরেট চরিত্রের মনোজাগতিক বাস্তবতাই হয়ে উঠেছে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র গল্পের নিয়তি। মানুষের ভিতরের কুটিলতা আর মুখোশে ঢাকা মুখের ন্যায়পরায়ণতাই তাঁর গল্পের ট্রাজেডি। তিনি তাঁর লেখনীতে ভীষণ বিচক্ষণতার সাথে তুলে ধরেছেন সমাজের সংস্কার, কুসংস্কার, বিশ্বাস, অপ-বিশ্বাস, রিউমার এবং চেতনার অবিরাম ঝর্ণাধারাকে। যা পাঠককে বারবার চ্যালেঞ্জ করতে পারে। উপন্যাস পড়ে পাঠক অবশ্যই বিচলিত হতে বাধ্য। অস্তিত্ববাদী দর্শন হয়ে উঠেছে ওয়ালীউল্লাহ'র লেখনীর মূল উপজীব্য।
২
১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয় 'চাঁদের অমাবস্যা'। যারা দস্তয়েভস্কি'র 'ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট' পড়েছেন, তাদের জন্য 'চাঁদের অমাবস্যা'র মানসিক দ্বন্দ্বকে উপলব্ধি করা-টা খুবই সহজ। যদিও সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র গল্পটা দস্তয়েভস্কি'র থেকে একেবারেই ভিন্ন। তবে তাদের দুইজনেরই গল্পের মানসিক অভিজ্ঞতাটা যেন একই সুতায় বাঁধা। মানুষের মনের গহিনের অপরাধবোধ। প্রত্যেক মানুষের মনেই হয়তো চেতনে কিংবা অবচেতনে লুকিয়ে আছে অপরাধবোধ। প্রত্যক্ষভাবে কোনো অপরাধ না করেও মানুষ নিজের মাঝে ভুগতে পারে অপরাধবোধে। কখনো কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপচাপ থেকে নিজের স্বার্থ হাসিল করাও মানুষের মনের গহিনে ঘটাতে পারে অন্তর্দ্বন্দ্ব। আর লেখক সেই সূক্ষ্ম অনুভূতিকেই গল্পের ভিতর পাঁকা হাতে বুনন করেছেন। এই গল্পটা একজন গ্রামীণ দরিদ্র স্কুল-শিক্ষকের মানসিক দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। শিক্ষকের নাম আরেফ আলী। গল্পের শুরুতেই স্কুল শিক্ষক গভীর রাতে বাঁশঝাড়ের আড়ালে একটা লাশ খুঁজে পায়। অর্ধনগ্ন অপরিচিত মহিলার মৃতদেহ। আর এখান থেকেই মানুষ হিসেবে স্কুল-শিক্ষকের মনের গহিনে অপরাধবোধ জমতে শুরু করে। আরেফ আলী স্কুল-কমিটির সভাপতি'র বাড়িতে আশ্রিত থাকে। আশ্রয়ের বিনিময়ে বাড়ির বাচ্চাগুলোকে টিউশন পড়ায়। একেবারে সাধারণ একজন দরিদ্র যুবকের দৈনন্দিন একঘেয়ে জীবনে অপ্রত্যাশিত অন্ধকার নেমে আসে। হত্যাকান্ডটির প্রত্যক্ষ সাক্ষী না হয়েও আরেফ আলী জড়িয়ে যায় ঘটনার মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বে। তার মাঝে সঞ্চারিত হয় চেতনার ফল্গুধারা। নিশ্চিত না জানলেও স্কুল-শিক্ষক অনুমান করতে পারে, এই হত্যাকান্ডের পেছনের কুশীলব একমাত্র কাদের'ই হতে পারে। কাদের হচ্ছে প্রভাবশালী সভাপতির ভাই।
একটা অপরাধকে ঘটতে দেখলে কিংবা নিদেনপক্ষে অপরাধটি সম্পর্কে যদি কোনো গোপন তথ্য কেউ জেনে ফেলে, তবে সেই গোপন-কথা কীভাবে মনের উপর প্রভাব ফেলে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে পারে; তা-ই বর্ণিত হয়েছে এই উপন্যাসে। তবে লেখক এই অন্তর্দ্বন্দ্বকে যে অপ্রত্যাশিত নিয়তির দিকে প্রবাহিত করেছেন, তা বাস্তবিক পৃথিবীতে খুব কমই ঘটে। চেতনার এই যে অবিরাম ঝর্ণাধারা, তা 'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাসের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা শুরু করলেও লেখক তাঁর দার্শনিক বিচক্ষণতার বিশেষ পরিচয় দিয়েছেন 'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসে। মানব-মনের ধারণা, বিশ্বাস, যুক্তি আর মূল্যবোধ থেকে কীভাবে মনোবীক্ষণ ঘটে; আর কীভাবেই বা মানুষ এই নিরন্তর সংঘাতে জড়িয়ে যায়, সেই মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা-ই হয়ে উঠেছে 'চাঁদের অমাবস্যা'র গল্প-গাথা। আমরা কতকগুলো উদ্ধৃত অংশ এখানে আলোচনায় রাখতে পারি।
ক) "অজ্ঞানতায় রহস্য রূপ কথার জন্ম হয়।"
খ) "জীবন অতি ভঙ্গুর! জীবন দুর্বল সুতায় বাঁধা। সামান্য অসাবধানতায় জীবনাবসান হতে পারে।"
গ) "স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে কথা বললে, এবং তার জন্য শাস্তি লাভ করলে, তাকে তারা নির্বোধই বলবে।"
ঘ) "তাছাড়া যে সংগ্রাম পরের বিরুদ্ধে মনে হলেও আসলে নিজেরই বিরুদ্ধে ছিল, সে-সংগ্রামে সে জয়লাভ করেছে।"
গল্পে দার্শনিকতার অন্বেষণে এই কথাগুলো যেন শেষ নিয়তি। আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে 'সংঘাত' চোখ রাঙায়। আমাদের বুদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ করে।
৩
১৯৪৮ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাসের নাম 'লালসালু'। ধর্মীয় ভাবাবেগকে পুঁজি করে ধর্ম-ব্যবসায়ীরা সমাজের উপর কীভাবে প্রভাব বিস্তার করে, সাধারণ মানুষের অজ্ঞানতাকে কীভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে; এইসব কিছুরই একটি দালিলিক উপাখ্যান এই 'লালসালু'। বাংলার আপামর গরিব-মুসলমানের অজ্ঞানতা, কুসংস্কার, ভাবাবেগ আর ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই হয়ে উঠেছে এই উপন্যাসের মূল ভিত্তি। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহেব তাঁর গল্পগাথায় যা কিছু বলে গিয়েছেন, সেই সকল প্রেক্ষাপটের তেমন কোনো পরিবর্তন আজ অবধি ঘটে নাই। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই দেশের মাটির মানুষদের মনস্তাত্ত্বিক অবকাঠামোকে। তিনি একেবারে নিরেট অবস্থানে থেকে চেতনার ভিতর দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেই-সব চতুর ধর্ম-ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে। একেবারেই সাধারণ মজিদ নামের একটা লোক গল্পের মাঝে ধীরে ধীরে 'ধর্মের লেবাসে' কীভাবে হয়ে উঠে পরাক্রমশালী এক ব্যক্তিত্বে; তারই একটি নিখুঁত চিত্রায়ণ এই 'লালসালু'। লেখক যে ভীষণ সাহসী ব্যক্তি, তা এই 'লালসালু'র মধ্য দিয়েই তিনি জানান দিয়েছিলেন। এবং একই সাথে এটাও জানান দিয়েছিলেন বাংলা-সাহিত্যে তিনি স্থায়ী আসন গ্রহণ করতেই অবতরণ করেছেন।
‘লালসালু’ উপন্যাস থেকেই আমরা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে সক্ষম, কেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এখনও প্রাসঙ্গিক। আমাদের দেশে প্রতিটি গ্রামের দিকে তাকালে, প্রতিটি শহরের দিকে তাকালে আমরা 'লালসালু'র মজিদ চরিত্রটিকে দেখতে পাবো। শীতের মৌসুম এলেই গ্রামে গ্রামে এই যে এত এত ওয়াজ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়; সেইসব পর্যালোচনা করলেই আমরা বুঝে যাবো সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কেন প্রাসঙ্গিক। বাঙালি মুসলমানের যে আত্মিক এবং মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে লেখক তাঁর লেখনীর মধ্য দিয়ে একটি বিশেষ দার্শনিক প্রশ্নের উত্থাপন করে গিয়েছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মুসলমানের মননে প্রবিষ্ট হতে পারেনি। ধর্ম আসলে কী? ধর্মের কাজ কী? এরকম সাধারণ প্রশ্নই লেখকের দার্শনিক জিজ্ঞাসা। গল্পের বক-ধার্মিক মজিদ পানি-পড়া নামক তস্কর-পদ্ধতির উছিলায় যখন আমেনা-বিবিকে কামনা করে, তখনই একটা সুমধুর দার্শনিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। মানুষের নগ্ন প্রতিরূপ ধরা পড়ে। এই উপন্যাসের শুধু একটাই উদ্ধৃতি থেকে আমরা জীবনের বাস্তবতাকে বুঝতে পারি।
কলমা জানো মিঞা?খোদাকে হয়তো সে জানে। কিন্তু জ্বলন্ত পেটের মধ্যে সবকিছু যেন বাষ্প হয়ে মিলিয়ে যায়। ভেতরে গনগনে আগুন, সব উড়ে যায়, পুড়ে যায়।
এখনও বাঙালের চারিত্রিক এবং দার্শনিক অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটে নাই। প্রতিটি গ্রাম-মহল্লা-শহরতলি এমন কি শহরেও ঠিক একইরকম ঘটনার সন্ধান মেলে। প্রতিনিয়তই আমরা নিজস্ব উপলব্ধিতে কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, দারিদ্র, হীনতা আর অশিক্ষার করাল ছায়ার অস্তিত্ব খুঁজে পাই। আর এই সব কারণেই ওয়ালীউল্লাহ এখনও প্রাসঙ্গিক। তিনি তাঁর লেখায় যেভাবে ফ্রয়েডীয় ভাবধারা'কে আত্মস্থ করেছেন, তা বিশেষ প্রশংসনীয়। বাংলাসাহিত্যে তিনি একজন মায়েস্ত্রো হয়েই থাকবেন। বাঙালি তাদের দার্শনিক জিজ্ঞাসায় যুগে যুগে মায়েস্ত্রোকে স্মরণ করে যাবে।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কেন এখনও প্রাসঙ্গিক?
অসীম নন্দন
অসীম নন্দন
মন্তব্য