অ|লিখিত জলের মাদল
এবং রাজকীয় এপ্রোন পরা প্রস্থান নিয়ে কার প্রচ্ছদ আঁক?
কাহারবা ও কার বা যাবতীয় শয্যা-কলা অঙ্গে নিতম্বে ষদুষ্ণ জলসঙ্গম
কালোতিতিরের কম্পিত কোরাস স্বাক্ষর রাখছে নগ্ন ও হিমমগ্ন সমুদ্রের
অ|লিখিত জলের মাদল
শ্বেত বামনের শ্যাডো। দৃশ্যরা জমানো ঝিনুকফুল! তরঙ্গতত্ত্ব শুনতে পাচ্ছো কী!
শরীরের ভাগ ও ভূ গোল
যে ভূগোলে পর্যটকের মতো বেড়াতে গিয়েছো রেলিং দেওয়া গ্যালারিতে।
পোশাক ফেটে বেরিয়ে পড়া খাঁজ কাটা ভাঁজ ও ভাস্কর্য
যেখানে তরতাজা শব্দের ঝংকার
আনত বিনত আদ্র স্থানের ঘাসের ডগায় ঠোঁটোগ্রাফ আঁকে চর বিজয়!!
বিয়োগফুল
কহাকহির নামতা উড়ে গেলে সব ঠোঁট বিয়োগচিহ্ন।
যেসব ড্রইংরুম এককে যৌথ— যেন তারা নিঃসঙ্গ কফিন পেয়ালা।
প্রপিতার ব্যক্তিগত হাসপাতাল
বিছানায়
সকল নামের বিয়োগচিহ্ন
যোগ হয়—
প্রত্যেক নাম ফোটায় বিয়োগফুল।
সম্পর্ক,
বাগানের চিবুক থেকে খসে পড়ে লালের চিহ্ন।
মানুষ,
জন্ম থেকেই নিঃশেষ-বিভাজিত বিয়োগজীবী।
নীরবের ঘুমঘুঙুর
রাত একথালা নেশাতুর নিশিবাদ্য
বাজছে খলবলিয়ে কিন্তু শব্দ হচ্ছে না
নীরবতা; সব কান্নায় চোখের জল জরুরি নয়...
অভিমানে ফেটে পড়ে আঙুরের ঘুমঘুঙুর নাতিদীর্ঘশ্বাস
দ্রবীভূত কুয়াশার ঘ্রাণ থেকে ঝরছে ওচানের জরায়ু
জলে কোন জল থাকেনা যেমন পায়ে থাকে না পা
এমন পাহীন রাতের দরজা খুলতেই চোখেরা সটান দাঁড়িয়ে যেন ওয়াচডগ
দেহদিনের রোদমুদ্রণ
হসন্তেরা খুলছে দিন ও দেহের যত অ-মুদ্রিত রোদবিস্ময়!
লীলায়িত নৃত্যভঙ্গিতে ডিম্পল অফ ভেনাস; প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয় মদ, মধু, সর্ষের পরিভাষা। ভাষার গহীনে বিলুপ্ত লিলিথের মিথ হয়ে ভেসে থাকা সারস হয়েছি।
কুসুম যেমন ১ান্তে গন্ধ ছড়ায়...
যে চোখ দেহপসারিণীর, সে চোখের আগুন ও উন্মাদনায় পুড়ে ছাই ব্যর্থ হ্যামলেট ; যেভাবে উড়ে যায় ওথেলোর স্খলিত শিশিরসঙ্গম।
শরীর মৌবন হলে তুমিও রাশিয়ান সেক্স কয়েন, যে কোন আসনই অর্থবহ, অর্গাজম নিয়ে বাড়ি ফেরা যাচ্ছে।
ট্রামরেস আয়ুরেখাপথ
অঙ্কের গাড়ি—ধরো ১/ ২ /৩—তাদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে যে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স, তার বাঁশি ও ধোঁয়াশাতোলপাড় রেসের মধ্যে একজোড়া চোখ।
একটি চোখ, ভাগীরথী
একটি চোখ, অলকানন্দা
দূর-সম্পর্কে বোন হয় তারা।
আর এক জীবনানন্দ মনখারাপের ট্রামের নিচে আইসবার্গের মতো নিজেরই ভঙ্গুর মাথা ফেলে রেখে তিতিক্ষায় আছেন।
তিনশত ষাট ডিগ্রী ঘুরে এসে ফের-আবার দেখা দিলো নিজের ডেডবডি। ওখানে কলির কৃষ্ণ, তার বাঁশি ও সুরসঙ্গমে বিভোর হলে, বসন্ত অধরাই রয়ে যাচ্ছে আজ!
দশা এই—দীর্ঘশ্বাসে জড়ানো বিষাদের নখে-বুকে রক্তের দাগ! দহন ও দংশন হতে পারে মৃত্যুর যথার্থ বিকল্প সঙ্গীত
কৃষ্ণের বাঁশিটি হাতে ধরে ফিরে যাচ্ছিলাম হাতের মসৃণ আয়ুরেখা ধরে। আর কোন বিকল্প মানচিত্র থাকলে বলো।
ঢেউ গোনার পর
নাচবা?
নাচ পা...
নাচো নীরবতা!
ঢেউবাজনের শর খোলো অথবা ফানাফিল্লাহ বাজাও নুনহাসি;
আমি সাঁই গাছ ___
দূরাহত জনসভায় বসে গুনছি সামুদ্রিক হাসির নাদ
শুঁড়িখানার জলজ ঢেউ
কোথাও থাকে না কেউ,
যেখানে যেখানে পায়ের ছাপ রেখে এসেছো,
সেখানে ফের গেলে মাজার বানাবো;
নাম দেবো ফসিলমাজার
বাজাও নীরবতা! নীরবতা নাচো!
ত্যাগ-মঙ্গল
ঝিঁঝি। ব্যাঙ। বৃষ্টি।
থ্রিসাম সন্ধ্যা।
অথবা অ-সাম জৈব সারগাম ভরা মরশুমে
প্রমিত প্রেমের সঙ্গীত শোনায় অপরাপর।
শুনছি ক্ষুধার্তের ত্রাহী চিৎকার—
এই যারা শীল নির্দেশক সমাজ
তাদের কান কি তরঙ্গ সঞ্চারি?
ওই উহারা
উন্নাসিক খিদের চিৎকারে সোল্লাসে মুতে দিলো
আহা যৌগ! তার যথার্থ রাসায়নিক সংকেত জানাও।
সারকথাও জানালো, নিদেনপক্ষে মরবে না পানিশূন্যতায়।
গিটারিস্ট আঙুলের ইশারা
জলাশ্রিত মাংসাংশ ১তারা, কাছেপিঠে সীমান্ত ওপাড় তবু পড়া যাচ্ছে জলজ ঝুমঝুমি!
এমন তরলায়িত রাতে দূরের ল্যামপোস্ট খুলছে নুনের স্বাদ, সমদ্বিবাহু ত্রিভূজ তখনও খোলে নি আগ্নেয় লাভার বেডরুম!
গিটারিস্ট পঞ্চম আঙুলের ইশারায় ঘামেরা খুলছে ৬৪কলার এই মহাবিদ্যালয়!
লাভা ও লালার সুতোমিশ্রিত আমাজন বনজপত্রী একটা ম্যাচবক্স ও ড্রপআউট ক্যাচের অভাবে ভুখা রয়ে যাচ্ছে আজও...
দশমিক-ভর্তি শরীর
দশমিক-ভর্তি শরীর উড়ছে হুকখোলা শূন্যের দিকে।
জ্যোৎস্না-গন্ধায় কোন ঐকিক নিয়ম থাকে না
শরীর বগিহীন ট্রেন -
ক্ষিতিজ রেখা বরাবর হুইসেল বাজিয়ে আগমনী সংকেত
জানিয়ে স্টেশনে ঢুকে পড়ছে আরও একটি বিদেহী ট্রেন।
বিষতুতো স্টেশনে নেমে পড়বো – ব্রাকেটে বন্দী -
পরজীবী জীবনে তালা আর মরচে ধরা চাবিও মরীচিকা
বাউল শরীর নিয়ে ফিরবো উৎসে অবগুণ্ঠিত গুহামুখে।
পলাতক প্রত্নতত্ত্ব
একটি লাল কাঁকড়ার আতুড়ঘর ঘুরে এসে উত্তর-পূর্বজন্ম খুলে রেখে নগ্নতা আঁকছি...
উত্তরাধিকারসূত্রে বিনামূল্যে পাওয়া স্বর ও শরীরের পোশাককে ত্রিশূলে গেঁথে স্তনে মাখছি বালি ও নিস্তব্ধ শৈবালের আদর
বালি ও নুনগন্ধা যোনি দৃশ্য জমাচ্ছে
নগ্নমেলায় রসে বসে কষে শারীরিক উপপাদ্য বাজাচ্ছে দুই তারা(দোতারা)
এখানে নগ্নতা এনেছি সিল্কি বাতাসের বোতলে...
হাসুন.. খেলুন... খুলুন...
ধিন তাক তাক ধিন তাল ও বেতাল সমুদ্র সারস
হে পোশাক ও বীজবিদ্যার জনক
শুনুন নগ্ন কমলা ও তবলার টাংটুং রাঙলাই
স্তন কেন ভৌগোলিক উপত্যকা হবে না বলো!
প্রচ্ছদশিল্পীঃ আর. করিম
দামঃ মলাটমূল্য (২০০) টাকা
প্রকাশনীঃ বাউণ্ডুলে প্রকাশনী, ঢাকা
অন্যস্বাদ, অন্যভঙ্গি,, অনবদ্য, অসাধারণ
উত্তরমুছুন