মেঘেদের স্তব্ধতার ভেতর সংঘর্ষ আগুনেতাহাদের ছায়া নামে তাপদগ্ধ নিহিলের বনে...
একদিকে আধুনিক মনন চিত্রকল্প, হতাশাবিধৃত সাম্প্রতিক কাল, অপরদিকে প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশের প্রতি গভীর অনুরাগ ফুটে ওঠে সৈয়দ সাখাওয়াৎ-এর কবিতায়। সমস্ত মানুষের সুখ-দুঃখ থেকে নিজের সুখ-দুঃখকে আলাদা করে নয়, বরং একসঙ্গে বেদনার কথা সহজাত ভঙ্গিমায় বিবৃত করেন এই কবি। যেখানে অনুভব ধ্বণি হয়ে ওঠে সেখানেই তাঁর কবিতা।
তীব্র বেদনায় তিনি কখনো সোচ্চার, কখনো বা দেশ ও সমাজের বিবর্তন তাঁর কবিতায় অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকে। ছন্দে দখল, বক্তব্যে, গঠনরীতিতে, সাবলীলতা তাঁর কবিতার প্রাণ। ব্যক্তিগত আনন্দ-বেদনা থেকে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ঘটনাবলীকে সৈয়দ সাখাওয়াৎ প্রতীকের ব্যাঞ্জনায় ভূষিত করেছেন।
একজন নিভৃতচারী কবি যখন মূলত লিটল ম্যাগাজিনকে আশ্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে লিখেন, লিখে চলেন, কোনরকম পুরস্কার বা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির তোয়াক্কা না করে, তখন একটি লিটল ম্যাগাজিনেরই দায় বর্তায় তাঁকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের।
নিজ কাব্যগুণে বিশিষ্ট এই কবির কাব্যসত্তার অন্তর্জগত অবলোকন, উন্মোচন ও মূল্যায়নের ইচ্ছা থেকে ‘বিন্দু’র (অনলাইন সংস্করণ) বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আগামীতেও বিন্দুর ব্যক্তিমূল্যায়ন সংখ্যা প্রকাশের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা চেষ্টা করছি এমন লেখককে নিয়ে বিশেষ আয়োজন করতে যিনি নিজ সাহিত্যগুণে এই আয়োজন ডিজার্ভ করেন, কিন্তু সাহিত্যের নানান পলিটিক্সের কারণে আড়ালে রয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমান সংখ্যার আয়োজনকে পূর্ণতা দিতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করলাম। এই আয়োজনে সকল লেখক, যাঁরা লেখা দিয়ে নিঃসন্দেহে সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করলেন, তাঁদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বরাবরের মতোই প্রচ্ছদে রাজীব দত্ত এবং আরো নানাভাবে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
পাঠক, হ্যাপি রিডিং! জলদি পড়ুন, বাইরে লোডশেডিং!
মন্তব্য