১
আমাকে জল চেনাল রাত্রিগহীন
চাদরের খুঁট মেপে চাঁদশৌখিন
মেঘেদের তেষ্টা ঘেমে যায়।
ত্রিভুজ পাহাড়ের মতো কাঙ্ক্ষিত তুমি
রাত বাড়লে হয়ে ওঠো সমতল সদৃশ সমভূমি
অনুবাত অন্ধকারসহায়!
হিমের শীতল হাওয়া পাহাড়ের পাদদেশে,
শীত আর শীতকালের গল্পবলা শেষে
পাতা কিছু দিয়েছে পাহারা!
বরফের চাবি খুলে অন্য ব্রহ্মাণ্ডে
পশম পরিযায়ী যায় সৌরমণ্ডলের অন্তিম খন্ডে
আর, ঘরে আসে যারা ঘরে ফেরার...
যদি কোনোদিন এমন উপত্যকায় দেখা হয়
যদি আমাদেরও হতে থাকে গোধূলিসময়
জলের কাছে শিখে নিও স্থিতিস্থাপক প্রেম
সৌগন্ধ, তার ক্লান্তিদিনের শেষে
পায়রা এসে বসেছে কার্নিশে
পাদদেশে ফেলে গেছে ভালোবাসা-বোতল শ্যাম্পেন!
২
খোয়াই জেগেছে মেঘেদের অধস্তন শরীরে-
জাগা ভালো
হিমঘোরে যে হলুদ পেটের ট্যাক্সিড্রাইভার
অরোরা-রাস্তায় হাইওয়ে চেনাল,
চিনতে চিনতে পাতালরেল-গোবিন্দপুর-
জেলেদের ফেলে যাওয়া পাড়া!
রোজ রোজ বিকেলেসফরে জড়ো হয়
শহরের বাচ্চা-বুড়ো অলিগলিরা,
‘কমা’ বাচ্চা কিংবা ‘ফুলস্টপ’ বুড়ো
এভাবে একটা ৬ ইঞ্চির স্কেলে
জেনারেলাইস করো
গাঁটের ব্যথা বনাম ক্রিকেট খেলার ব্যথা!
আর আমাদের সম্পর্কটা- কানাগলির মোড়ে
মিশে যায় ছোট রাস্তায়।
প্রতিটা বিকেলের বুড়ো হওয়ার গন্ধ মেখে
একটা তরুণী মারুতি ভ্যান উড়ে যায়।
৩
প্রেমে পাওয়া একটা গাছের নিচে আমাদের দেখা হয় বারবার
যখন শিমুলপাতার গা বেয়ে গড়িয়ে পড়ে ক্লান্ত বিষণ্ণ অন্ধকার;
রাতের গায়ে রাতপালক লাগলে গল্প লেখে শিরীষপাতা হাওয়া।
পলাশগাছ আকাশের নীচে আমাদের মেঘ হয়ে ভেসে যাওয়া,
আলো নিভিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা, যাকে ভাবি স্তব্ধতা, ভাবি শীতপ্রেম!
সুদূর চায়ের দোকান বা টিমটিমে আলো জ্বলা অলিভ রেস্টুরেন্ট
এসবের থেকে দূরে তোমার বাড়ি না ফেরার বাহানা বেড়ে চলে।
হয়তো শহর থেকে আলোকবর্ষ পেরিয়ে, হয়তো খেলাচ্ছলেই
আমরা এসেছি , দেখেছি সম্পর্কের ঠান্ডা হাত ডানকাঁধে পেলে
অন্ধকার প্রেমিক হয়, রাত বাড়ে, কিছু ট্রাক আসে, শহরে যায়।
দূর শহরের সন্ধে মেখে গল্পেরা ফেরে তারাদের পাড়ায় পাড়ায়!
শীতমেলাঙ্কলি
ইন্দ্রজিৎ নন্দী
ইন্দ্রজিৎ নন্দী
ভাল লাগলো ইন্দ্র৷ তোর কবিতা বিন্দু পত্রিকা ছেপেছে আমরা গর্বিত৷ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ুক তোর কবিতা বিন্দুর মাধ্যমে
উত্তরমুছুন