ড
মাটির আড়াল থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছ কারা! ধানের চারা, ধানের শিশু। অবাধ্য শিশুর মতো, কৃষকের, হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে বীজতলা সাজিয়ে তুলবে এই শিশুরা, ধানের। সেজে ওঠা বীজতলা দেখে তলে তলে নিজতলায় আহবানী গান গাইবে জলাসক্ত জমি। ছেলেধরার মতো কালের কৃষাণ, জল আর কাদার লোভ দেখিয়ে এই ধান শিশুদের নিয়ে যাবে কাদাভূমিতে। ভ্রম ভাঙবার আগেই এইসব শিশুরা, ধানের, পোষ মেনে বেড়ে উঠবে ধান গাছ হয়ে। বর হিসেবে জমির কাছে চারাধরা চাষি পাবে ধান। যে ধানে লুকিয়ে থাকে ধান শিশুদের কচি প্রাণ।
ঢ
চাষির শৈশব খড়ের গাদায় লুপ্ত। বিলুপ্তপ্রায় শালিকের পাহারায় লুকিয়ে ছিল চাষি। শালিকের সাথে সখ্য গড়ে তুলে, চাষি ছিল ঠিক নিজেকে ভুলে। চাষির ধানের পাহাড় আর পাহাড় জুড়ে পদচিহ্ন আঁকা। পায়ের পূণ্যে পাহাড় যেত ধ্বসে, চাষি ছিল ধান পাহাড়ে বসে। ধানের পাহাড় চাষির শৈশব, ধানের শিশুরা চাষির ভাই-বোন। চাষিরা গোপনে ধানের আত্মীয়। ধানেরা গোপনে সব ভুলে থাকে তাই।
ণ
চাষিবউ ঘেমে যায়, ঘামে সোনাধান। উনুনের আগুনে বাড়ে সিদ্ধ ধানের ঘ্রাণ। ধানসিদ্ধ, বউসিদ্ধ,আর সিদ্ধ কারা! সিদ্ধ ধানের গন্ধে মাতাল চাষির পুরো পাড়া। পুড়ে যায় পাড়া জুড়ে ধানের শুকনো নাড়া। ধানসিদ্ধ, বউসিদ্ধ, উনুন খাড়া খাড়া। খড়ের গাদায় চাষি ঝিমায়, শিশু ঝিমায় কোলে। চাষিবউ জাগে শুধু, ধান ঝিমায় উনুনে।
ধানসূত্র
আহমেদ মওদুদ
আহমেদ মওদুদ
ধানসূত্র সিরিজ খুব ভাল হচ্ছে কবি৷ এগিয়ে চলুন
উত্তরমুছুন