১.
যবে আমি মনোযোগী ছিলাম! হতাশায় অন্ধ কিছু চিল খা খা করছিল আকাশে। দুপুরের রোদে ন্যাতানো নেপিয়ার ঘাসে দেহ ক্লান্ত হয়ে কখন একটা ঢলে পড়ে।
তখন সন্ধ্যারাত, যখন আকাশে হুট করেই অগণিত মিটিমিটি তারারা আবছা হতে হতে স্পষ্ট হলো। জোনাকির ভিজ্যুয়ালে ছিল গ্রীন ল্যান্টার্ণ; আর অডিও তে সাহায্য করছিল ঝিঁঝিঁ আর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।
আমি কবে মনযোগী ছিলাম!
২.
অনেক সময় পৃষ্ঠা হারিয়ে যায়। বাতাসে উড়ে যায় অথবা সময় খেয়ে ফেলে। আফসোস লাগে; মলাট বাদ দিলে বইটাতে মাত্র একটা পৃষ্ঠা ছিল।
৩.
মহুয়ার মঙ্গল ডালে, মুনমুন করে চাঁদ হাসে। তাতে তাকে নষ্ট বলে মনে হয়।
চরকা কাটা বুড়িকে শয়তান, আর ধুরন্ধর ভাবি।
সংশয়ে শরীরে প্রেশার বাড়ে; সহসা তা লো হয় না।
হাজার বদ অভ্যেসের মধ্যে হাফ বয়েল একটা শুভ উদয় বলে মনে হয়।
তুমি গ্রীষ্মের এক তীর রোদের মতোন, গায়ে লাগার সাথে সাথে হন্যে হয়ে লেমন মিন্ট খুজি! অসহায় লাগে তখন! ডাবের জলে আমার তৃষ্ণা মেটে না। তখন ছটফট করতে করতে একটা হোমিওপ্যাথি'র দোকান পেলাম।
বললাম, ডিপ্রেশনের ওষুধ আছে? দোকানদার আমাকে বললো, মানুষের এমন কোন রোগ নেই, হোমিওপ্যাথি যার চিকিৎসা করে না।
৪.
আমাকে শুনাও অকারণগুলো; না হলে একটা গান। নিজেকে চিনতে চিনতে তুমি হয়ে উঠেছো আস্তো স্বার্থপরের গুদামঘর। আর জেগে থাকতে থাকতে রাতে ভাত খাওয়ার পর, হুতোম হুতোম ডেকেছো।
তারপরো, আমি আশাহত হই না; ভালোবাসায় সবুজ রঙের একটা দাগ টেনে দি।
৫.
তোমার মুঠোয় ঈষৎ কোন উষ্ণ রঙ থেকে থেকে ঘেমে ওঠে। আমার জল ভর্তি ক্যানভাস, তোমার মুঠোর রঙ চম্বুকের মতো তার কাছে টেনে নেয়।
অথচ কিছুক্ষণ পর, নদীর পাড়ে বসে আমি আর নিজেকে ছাড়া কাউকে দেখি না। খুব মনোযোগ দিয়ে দেখি।
ওইতো নদীর কিছু পাড় ভেঙে গেলো! আনমনে, হতচকিতে- আমি জলের মধ্যে আরেকটা আমি দেখি। নদী তখন স্থির। বইছে না।
[সম্পূর্ণ সূচি দেখুন]
পাঁচটি কবিতা
শাশ্বত শুভ
শাশ্বত শুভ
এই কবিকে আগে পড়িনি৷ সুন্দর কবিতা লিখেছে৷ অভিনন্দন
উত্তরমুছুন