১
ঠোঁটে বসন্তের রঙ লেগে আছে
আছে কিছু বিহ্বল-সুর, আমের মুকুল
আরো কত কী! ছোট্ট খরকুটোর মতো
যা তুমি নোটিশ করোনি—অবহেলায়
এড়িয়ে গেছ সমূহ মেঘের তরঙ্গ।
২
অহেতুক বসন্তের রোদ—অসময়ে ঝড়
বিরক্ত শিশুর কান্না… এরকম টুকরো-টাকরা
শীত–মিশ্রিত সময়ের প্রবচন!
তোমার চুলের ভাঁজে
এক তোড়া সনেট গুঁজে দাও
মরা নদী ভাষা ফিরে পাবে।
৩
মাত্র আটাশ বছর গেল, অথচ
ঘুরে ঘুরে মনে হয় কয়েক শতাব্দী আগে
হারিয়ে গিয়েছিলাম ধূ ধূ রাস্তার পরে।
রাত-দিন একাকার, শহর-গঞ্জ-গ্রাম
দেখেছি সকল— পরিমিত পদক্ষেপে।
অবশেষে নিক্ষেপিত আমি নষ্ট রেস্তোরাঁয়।
৪
ভালো লেগেছিলো দুপুরের ওড়াউড়ি
ফুলের তোড়া তৈরির শব্দ।
বিব্রত গোলাপ আর রুগ্ন রজনীগন্ধা
দূর থেকে দেখি, কার জন্য সমস্ত আয়োজন?
গভীর আয়নায় শুধু ক্লান্ত দৃশ্য
এক, সামান্য দারিদ্র্য ছুঁয়ে জীবনের দুশ্চিন্তা।
৫
নামকরণের সার্থকতা নেই। একা
যেতে যেতে ভাবি, বুড়িগঙ্গায় প্রবাহিত
জীবনের সকল প্রণাম। শান্ত হয়ে
ভেসে যেতে থাকে বেকসুর কান্না।
দেখেছি কয়েকদিন, শহরতলীতে নেই বাণিজ্য বিশেষ
গীতবিতান সুদূর-পরাহত, তুমিও নিরুদ্দেশ!
৬
বিরহপার্বনের দিকে যাবতীয় অবহেলা
অপ্রকাশ্য, সুন্দরসম্ভবা।
মেদহীন ভোর দেখা হলো, ছিলো কাছাকাছি
নিখুঁত হলুদ। শোঁ শোঁ বাতাশ
ভীষণ বজ্রপাত। এমনই অনায়াস—
আনমনা, ঠোঁট কেটে গেল
অলক্ষে হাতের আঙুল!
৭
এইখানে, মশা-মাছিদের
উদার সম্মিলন! অচেনা জলের দাগ
বিকৃতবর্ণে। জমাট রক্তদানা ঘিরে
মাছিদের উল্লাস। বিশ্রীরকমের বাজে।
৮
প্রথমে জঙ্গলে যেতে চেয়েছিলাম
ক্রমান্বয়ে পাহাড় আর সমুদ্রে।
জঙ্গলে গেলে না তুমি, পোকামাকড়ের ভয়
তাহলে সমুদ্রেই চলো; পাহাড়ে
গণ্ডগোল খুব, বিষাক্ত প্রাণীদল আর
নিরাষক্ত সেনাদের ক্যাম্প।
৯
একক রোদের আশ্রয়ে
মেয়েটি, কুড়িয়ে নিচ্ছে পাতা
অনেক গাছের। অনেক স্নেহ।
নিবিড় অভিজ্ঞতা।
সরু গলি ধরে ফেরার সময়
আকাশ, দিব্যি চিৎ হয়ে
দেখে নিচ্ছে, ডানাহীন
মেয়েটির অনায়াস ওড়াউড়ি।
১০
বিশেষ ভালোবাসা ছাড়াই
হাঁটাহাঁটি করি তোমার সাথে।
অপ্রকাশ্য আঘাতেও এ মুখ
রক্তাক্ত কেমন, এই শরীর!
১১
পকেটভর্তি মানুষের মুখ।
বিপুল জ্যোৎস্নার পটভূমিতে
গলার স্বরগুলো এদিক-ওদিক
একটু পরীক্ষা করছিলাম।
বিশেষ কিছু নয়।
বিহ্বল তরঙ্গভোর
সাম্য রাইয়ান
সাম্য রাইয়ান
good poetry
উত্তরমুছুনচমৎকার লাগলো৷ বিশেষত ২, ৩ ও ৯
উত্তরমুছুনঅভিজ্ঞতা-স্নাত কবিতা,গভীর থেকে স্বচ্ছ উঠে এসেছে
উত্তরমুছুনঅসাধারণ সাম্য ভাই
উত্তরমুছুন