পৃথিবীর কাছাকাছি
সবুজ খেত চোখে নিয়ে
যখন তোমার খুব কাছে
জোড়া শালিক পাশে বসে
সেই সময়, দেখেছি
ঘুম ভাঙা ঘাস ধরে
হেঁটে যেতে, পৃথিবীকে
তবুও বিশালতা নিয়ে
আম গাছ ছায়া দিয়ে যায়
শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত
হৃদয় ছুঁয়ে চুঁইয়ে পড়ে
ফোঁটা ফোঁটা, অমরতা
অযথা যেও না দূরে
চলো, ভাঙি নীরবতা
যেভাবে আকাশ ভাঙে
আষাঢ় পাখির কবিতায়
এসো
খুব কাছে এসে দেখি
ঝাপসা লাগছে
তোমার শান্ত পাড়ার মাঠ
নক্ষত্র পর্যন্ত যে পথ, সেখানে
চায়ের পেয়ালা হাতে, দাঁড়িয়ে
মন খারাপের বেড়াল খুঁজছো?
আমি বোধহয় সত্যি
কোনো ছোট পাখি, রোজকার বিরক্তি
ঠিক যেমন দাম বাড়লে হয়
কথা ফুরিয়ে গেছে, সময়ও
শীতলতা কিংবা উষ্ণতা
যেখানে আবার ফিরে আসা যায়
২৪ এপ্রিল ২০১৩
এক এক সাত পাঁচ
একহাজারএকশতপঁচাত্তর
এক এক তিন নয় পেরিয়ে
পেয়েছি
শুধু সংখ্যা নয়
মৃতদেহ!
গলিত-অর্ধ গলিত-বিভৎস
অথবা গোলাপ কুঁড়ির মতো
মা-বাবার স্বপ্নের স্তম্ভগুলো
একে একে ভাঙচুর হলো
কতো সহজে, মুহূর্তে
ভালোবাসার কি চমৎকার শোক
দু-চোখ, বুকের গভীরে জল খুঁজে পায় না
দমকল বাহিনীও না, আমিও না
আষাঢ়ের মেঘ কিবা সমুদ্র
জীবনের সাত-প্যাঁচে বন্দি হাত-পা
এক এক সাত পাঁচে আটকা পরে
ব্রহ্মপুত্র তিস্তা যমুনার মতো
রক্ত শুকিয়ে স্মৃতি চরের ধূলো হয়ে
উড়ে চলে সংখ্যা পীঠে
কারখানার হুইসেল যাঁদের
জীবনের মর্ম বুঝিয়ে
নিয়ে গেছে
অসম্ভব অন্ধকার রোদ্দুরে
পায়ে-পায়ে
পথে-পথে
হেঁটে-হেঁটে...
পৃথিবীর কাছাকাছি ও অন্যান্য কবিতা
রাশেদুন্নবী সবুজ
রাশেদুন্নবী সবুজ
তৃতীয় কবিতাটি ভাল্লাগলো
উত্তরমুছুন