বহুতল দেয়ালে তখনো স্পাইডারম্যান। উড়ে যাচ্ছে সোনাঝুরি গাছের পাতা। ভবঘুরে চোখে অস্থির প্রজাপতি বা সরল সুদকষা। মাকড়শা হাতের জালে তখনো আটকে আছে শেষরাতের একটি তারা। বাকি সব ভেসে গেছে জলে। ভেসে যায় কোপাইয়ের হাট উদাস বাউল। বাউল বোষ্টমী খোঁজে। বোষ্টমী ছিন্নপত্র...
যেসব রাস্তা বেঁকে গেছে ঠাকুরবাড়ির দিকে, আমি তারই কোনো একটাতে ঢুকতে গিয়ে গোলকধাঁধায় পড়ি। প্রেমিকার বয়সী মেয়েরা উড়ে যায় রাবীন্দ্রিক সাইকেলে। আমি তাদের উড়ে যাওয়ার প্রতিটি মুদ্রা তুলে রাখি ভিন্টেজ ক্যামেরায়। গলি বেঁকলেই ভাতের হোটেল চিচিং ফাঁক। প্রেমের ঊর্দ্ধে উঠে দেখি জীবনপাত্র উপছে পড়ছে জ্যোৎস্না। উপছে পড়ছে ধ্রুপদ...
তবু কারা যেন লন্ঠন হাতে হেঁটে গেল দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে। তেজস্ক্রিয় মাকড়শার কামড়ে লাল হয়ে উঠলো শরীর। ছটফট ছটফট। শুশ্রূষার ভাষা আমি জানিনা। আরোগ্য বাতিল শব্দ। পুরনো দিনের মেঘে একা ভেজে প্রাচীন বন্দর। হাইওয়ে মিশে যায় মেঘে। একটু পরেই হয়তো বৃষ্টির উপন্যাস বা বাইশে শ্রাবণ। দেয়াল থেকে নেমে এলে জাল গুটিয়ে হুইস্কি ভায়োলিন।
‘ভালো আছো?’, ‘এই চলে যাচ্ছে যেমন যায়’... শীর্ষক ওয়েটিং রুম। পিটার পার্কারের হাতে উঠে আসে একতারা, প্রেমিকার মুখ। ট্রমা বা চুম্বন যেন কোন স্বতঃসিদ্ধ হাঁড়িকাঠ।
এখন নষ্ট ফ্রেম আর আমিও কবেকার ভ্রাম্যমাণ প্রেমিক...
নষ্ট ফ্রেম
নিলয় নন্দী
নিলয় নন্দী
অপূর্ব!!
উত্তরমুছুন