বন থেকে ঘাট
ম্যানগ্রোভ বনের ভেতরে গোলপাতা ভেসে বেড়ায়! কোথাও হলুদ পাখি ডেকে উঠে আচমকা। এরি মাঝে মৌমাছির চাক ভেঙে দিয়েছে। ভ্রু ভ্রু করে ছুটে চলা আমায় ঘিরে। ভুল করে ঘাসে হাত কেটে যায়। তৈয়বেরুন, রক্তের ঝর্ণা! খাল কেটে কুমির আনার মতো করে আপনার সঙসারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। ম্যানগ্রোভ বনে জেগে উঠা কোন গাছের ডালে রাত কাটানো। শঙ্কা—
বসতি নেই! গাছতলায়
আজ ঘর সাজিয়ে তুলুন।
ঘোর রাত্রিতে টগরফুল
আপনার জন্য অভিলাষ!
হলুদ পাখির গান শুনে
শরীরপোকখিয়ও ঘুণ—
বন উজাড়ের বিরোধী;
বেঁচে থাকুক দুপুরসীমা।
খাল-নদী-সমুদ্র-পাহাড়
চির নক্ষত্র ছুঁয়েছে বুক!
কিশোরীর কন্ঠে ঘুম ভাঙার গান। চোখ খুলুন। শরীর ডুবে যাচ্ছে চোরাবালিতে। সব সত্য যে। কোথায় গেল? এখন কি ভোর? আবার ঝাপসা হয়ে আসে। কোথায় যাচ্ছি? ভীষণ অন্ধকার; ফিরে দেখা পঞ্চমীর ঘাট—
হাওয়া বদল
ছাতিম গাছের ডালে
লতাগৃহ জেগে উঠে,
ঘুমের ঘোরে উড়ছে
হলুদ পাখির ঝাঁক—
হাওয়া বদলে গেছে,
বাজে সংক্রান্তির ঢাক।
কল্পিত পুরুষ
বনের 'পারে উপত্যকায়
কোন পুরুষ, যার ইন্দ্রিয়
হাওয়ার পথ ধরে হাঁটে—
পোড়া গন্ধের ভিতর চোখ
নাক জলে, কানে বালুচর
শঙ্খ লয়ে ঠোঁটের কাঁপন:
উপত্যকা ভুলে জনপদে—
সঙ্গম..সঙ্গম.., বুনোফুল
সাগরের বুকে ভেসে গেল।
জাগ্রত দুপুরের কল্পনা।
ত্রিভুজের তিন বাহু ঘিরে
দর্শন ও কবিতার জন্ম।
আষাঢ়ী তিথির সন্ধিকাল।
চাঁদতত্ত্ব পাতায় পাতায়—
কবে ধূলোঝড়ে উবে যাবে!
কোন পুরুষ, যার ইন্দ্রিয়
হাওয়ার পথ ধরে হাঁটে—
কানের বালু, নাকের জল
সন্ধির কী রূপ চোরাবালি;
সঙ্গম..সঙ্গম.., বুনোফুল
সাগরের বুকে ভেসে গেল।
বন থেকে ঘাট ও অন্যান্য কবিতা
ইহসান মাজ
ইহসান মাজ
মোটামুটি
উত্তরমুছুন