জারকাঁটা
চাদরের শরীরে বিগত শীতকাল লেগে আছে
তারও নিচে শুষ্ক চামড়া ময়েশ্চারহীন, যেনবা—
মাঘের জারকাঁটায় পুরোনো সন্যাস লুকায়ে থাকে
যা একদিন চলে যাবে—
আলুক্ষেত পেরিয়ে বাসন্তিক ভাষার কারখানায়
যেখানে বিশ্রাম নেন একজন মধ্যবয়সী পুকুরঘাট।
শীতকালীন স্নানঘর
ফুটন্ত জলের আবহাওয়ায়
স্নানঘরে ঢুকে পড়ে
মেঘের স্ট্রাকচার,
মনে হবে যেন—
এগজস্ট ফ্যানের ফাঁকফোকর দিয়ে
ঘুরেঘুরে হাত ধরে উড়ে যাচ্ছে,
কিছু কুসুম গরম হাইড্রোজেন-অক্সিজেন কণা।
হলুদ পাতার অ্যাসাইলাম
মেষপালকের লাটির নিচে এক উদ্বায়ী ঋতুর চারণ
যাকে শীত নামে ডাকে কেউ কেউ,
যেখানে অসমাপিকা ক্রিয়ার মত
খানিকটা সারল্যে তুমি আসো, রেখে যাও
ঘরের ভিতর লীনতাপে তোমার উপস্থিতি।
গ্রাফপেপারে আঁকা হচ্ছে হলুদ ঘন পাতার ছাচ
কাঁটা কম্প্যাস আরও গভীর হয়ে উঠলে
রোদ পেতে বসে এক ডাহুক বেলা,
টের পাওয়া যায়
আঁচলের গিঁট খুলে দেয়ার মত করে, মর্মরে—
'সেথা পড়শী বসত করে একঘর'।
মিস্টিক ভোর
বিকেলের পোষাকে রোদ উড়ে যায়
আরও নিচে তাকালে
সন্ধ্যাসম্ভবা এক পেঁপে গাছ কেঁপে উঠে৷
অন্যমনস্ক হওয়ার আগে
খালি পায়ে লেগে যায় সবুজের কাতরতা,
ভেঙে পড়ে যৌনতার অরবিট
অথচ তখনও—
ঠোঁঠের কোণায় লেগে থাকে ভাতের জিকির।
মাঘবিহুর বিহানবেলা আরও শুষ্ক চামড়া
অতিরিক্ত ভ্যাসলিনের কণায় লেগে থাকা দুপুরের রোদে
ঝলকে ওঠে গার্হস্থ্য মেয়ের শরীর।
ধামায় মেপে মেপে সরিয়ে নেয় কেউ ভোরের কুয়াশা।
আর একটু এগুলে—
আলুক্ষেতের আইলে দেখ, আমাদের বিরহ জাগছে ধীরে।
পিছুটান
আলু তুলে নিয়ে গিয়েছে সব,
চৈতের ক্ষেতে যত ধু-ধু পড়ে ছিল
তার খানিকটা পায়ে লেপ্টে বাড়ি চলে এসেছে।
উঠোনে করমচা গাছের ছায়া পড়ে
রোদের আশ্রয়ে পাতাদের ফেটিস,
দোনামনা বিকেল পালিয়ে যায়।
ধামাইল নাচের আসর ভেঙে গেলে
আমরা কুয়াশায় ঘন হয়ে বসে থাকি,
আমাদের কেমন শরীর খারাপ করে।
ভোরের গামছায় ডালের বড়ি শুকানো হচ্ছে
গভীর আত্মীয়টি উঠে চলে গেছে—
জলকর পেরিয়ে মহিষখাঁচা ব্রিজ, আরও দূরন্তে
বাকি পথ জুড়ে ক্ষয়ে যাওয়া স্যান্ডেলে গুমগুম জিকর।
চিরুনীতে লেগে আছে তার কবেকার চুল—
সাদা হবে না আর।
একগুচ্ছ কবিতা
মারুফা মিতা
মারুফা মিতা
সুন্দর কাব্য
উত্তরমুছুনভাল লাগল
উত্তরমুছুনখানিকটা সারল্যে তুমি আসো, রেখে যাও
উত্তরমুছুনঘরের ভিতর লীনতাপে তোমার উপস্থিতি।---- ভাল লিখেছেন