ছায়া কেবিন
টেবিলের এক কোণে তোমার শুকনো ভালোবাসা
মিয়ানো, বিস্বাদ। গল্প করতে করতে রাত হয়ে গেলে
পশুর রোমে লুকিয়ে রাখি রক্তকমল। মেঘলা বিকেলের
খাঁজে খাঁজে ভরে রাখি যুদ্ধস্তব। চা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে
ঢেলে রাখি গোধূলির টিপটে।
টেবিলে অন্ধকার নামবে এইবার, ক্রিস্পি হয়ে উঠবে
সুস্বাদু ভালোবাসারা...
বিয়ের কার্ড
গাছকৌটো রাখি রক্তাক্ত অক্ষরের সমীপে
হলুদ প্রজাপতির ডানায় বেঁধে রাখি মানতের ফুল,
তেলসিঁদুরের আভাস। চতুর্দোলায় আলো পড়লে
শঙ্খ এঁকে দিই নহবতে। সুখের মধ্যমবর্গে নিমগ্ন
বিসমিল্লা। শাখায় ফুল যদি নাও আসে, বসুধারা
দেগে দিই বিবর্ণ বাকলে। প্রত্যয়ে বেড়ে ওঠে বৃক্ষ।
মন্বন্তরের ডালায় মঙ্গলঘট রেখে যায় এয়োস্ত্রীরা।
তোমায় চিঠি লিখবো বলে আচমনের শান্তিজলে
বইয়ে দিই খরস্রোতা নদী!
ইটভাটার মেয়েটি
দূর থেকে দেখেছি, স্তনের গভীরে লুকিয়ে রাখা
শীতল দোপাটি। অসুখের আতিশয্যে লক্ষহীরার
পাহাড়। আগুনের লালসায় পাতালপ্রবণ বিস্তারের
ভেতর ধূসর ভাটির ধোঁয়া। কে যেন, কারা যেন
লরিভর্তি বসন্ত উড়িয়ে দিয়ে যায় অস্তরাগের বারান্দায়।
কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে আমার।
নিশি
সূর্য অস্ত গেলে কালনাগিনী জলঢোরা হয়ে যাবে, জানি
তবুও সবুজ এই জলজ বসবাস,
স্যাঁতসেঁতে এই নিয়মের চলাচল।
পাতা খসে গেলে বদ্বীপ মুড়ে যায় রাঙতার চাদরে
মিশকালো মেঘ হাতছানি দিয়ে ডাকে
ঘাটে নেমে যাই, ছাতিমফুলের গন্ধে!
সূত্র
তোমার ঘর থেকে পাওয়া গেছে
একটা সবুজাভ দলিল,
উইলে ধ্বস্তাধস্তির হস্তাক্ষর,
নিভে যাওয়া দেউটিতে কাজলমাখা সলতে
মেঝেতে সোনালী নিবের ঝর্ণাকলম,
আলুথালু বিছানা আর
একটা নলিকাটা লাশ...
সত্যসন্ধানী বলে গেল,
সূত্র পাওয়া গেছে!
ছায়া কেবিন ও অন্যান্য কবিতা
কৌশিক সেন
কৌশিক সেন
কবিতাগুলো ছোট হলেও গভীরতা আছে৷ নিমন্তর এগিয়ে যাও কবি
উত্তরমুছুনঅনুভূতি দারুণ
উত্তরমুছুন