মঙ্গা
‘একটি মানবিক সংখ্যা’
প্রকাশক: হতশ্রী দরিদ্র সংঘ
প্রকাশকাল ও সময়: একুশ শতকের বটতলায়
সম্পাদনা: টোকাই গোষ্ঠি
প্রচ্ছদ: বিষন্ন দাস গুপ্ত
মূদ্রণে: বন্ধকী বিবেক প্রেস
মুঠোফোন: শূণ্য শূণ্য শূণ্য শূণ্য 0000
ই-মেইল: হাহাকার@অশ্রু.কম
প্রাপ্তিস্থান: ৭/১ ক্রীতদাসলেন, বোল প্রাঙ্গন ( আটচালা আড্ডা, আলুহাটি)
উৎসর্গ: আত্মাভিমানী ক্যাভিন কার্টার, আপনার আত্মহুতিকে স্যালুট।
শীত
ছিন্নমূল মানুষের আয়ুষ্কাল
ঝরে পড়ে ক্ষণে ক্ষণে
অঝোর ধারায়,
কি!
গ
ভী
র
হৃদ্যতায়
শান্তাহার জংশনে...
চুম্বন
তখন অস্তগামী সূর্য নিমগ্ন ছিলো গোধূলির ওষ্ঠে
অভিলাষের পানপাত্রে চুমু দিয়েই জেনেছি
শীতলক্ষ্যার দীর্ঘশ্বাস বয়ে নিয়ে; সন্ধ্যা মেয়ের ঘরে ফেরা।
ধ্রুপদী জোসনায় ভাসবে বলে, হয়তো তুমিও
কেঁদেছিলে সেদিন।
বি
ব
র্ণ হৃ
তা দ
য় য়
যেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত টাইগ্রিস স্রোতস্বিনী।
আর মাদক সন্ধ্যায় ,
তোমার ঠোঁট প্রকম্পিত তখন
অঙ্ক শেখার ভুল ধারাপাতে...
সুবর্ণা
হয়তো পৌষের কোন এক রাতে
শিশির স্নাত কুয়াশায় জবুথবু সকালে
‘সুবর্ণা’ একদিন ভুল করে ভালোবাসতো
কিংবা ভালোবেসেছিল; এখন তাচ্ছিল্যের
আগুন যতো
পোড়া মুখে সে ভীষণ ঘৃণা করে অবিরত
ঠিক তোরই মতো...
হয়তো ট্রেনের হুইসেল এঁকে দিতো তার মন
সবুজ ক্ষেত আঁকা বাঁকা পথ; চা বাগান সারি সারি
গোঁধূলি মাখানো জলপাই রঙের অভিমান,
হয়তো ট্রেন হুইসেল এঁকে দিতো তার পরান
ঘরে ফেরা পাখির তুমুল কলরব,
রাখাল বালকের গরুর পাল ফেলে
ডাহুকের পিছু পিছু ছুটে চলা অবিরাম,
হেঁসেলে কৃষাণীর আবির রাঙা মুখ
হয়তো ট্রেন হুইসেল এঁকে দিতো তার
মনের কোঠরে বেঁধেছিলো যত সুখ!
মতিহারের সবুজ চত্বর, আনমনে বসে কোন একদিন
দ্বাদশী চান্দের ঐশ্বর্য্য বুঝি এঁকেছিলো দুরুদুরু বুকে
প্যারিস রোড হাতে হাত স্মিত হাসি ছিলো মুখে
চোখে কাজল
হলুদ খামে ভরেছিলো শত অভিমানের আচল
হয়তো সুবর্ণা, ভালোবাসার নামে সংগোপনে সাজিয়ে ছিলো করুণার ফুলদানি, যতো
তাই বুঝি স্বপ্নঘোরে দেখি রোজ,
অবহেলা পান্ডুলিপি করে খোঁজ
তাচ্ছিল্যের বিষাদভরা মুখখানি, ঠিক তোরই মতো...
আমার পৃথিবী জুড়ে যখন সন্ধ্যা নামে, নিকষ কালো রাত; কুপির আগুনে সুবর্ণার ‘আগুনপাখি’ মুখ হয়তো আকাশে আকাশে ভাসে,
নারিকেল দ্বীপ; হয়তো ডালে ডালে তার
হাসনাহেনা হাসে
বার বার আলো আঁধারের লুকোচুরির মাঝে
সুবর্ণা ফিরে আসে, আসে ফিরে হলুদ ব্যথার নিঃশব্দ নিঃশ্বাসে
ঠিক যেন তোর আবছায়া মুখ
বাদাম তোলা নৌকা নিয়ে দূর দ্বীপ ভাসে
সুবর্ণা একদিন ভুল করে ভালোবাসতো কিংবা
ভালোবেসেছিল; এখন তাচ্ছিল্যের আগুন যতো
পোড়া মুখে সে ভীষণ ঘৃণা করে অবিরত
ঠিক তোরই মতো...
টিকফা-ট্রানজিট ও সিরাজ
আগুন বিদ্যার জঠোরে বেড়ে ওঠে আগামী প্রত্যুষের লাল মোরগের ডাক
সিরাজের চোয়াল চুয়ে গড়ে পড়ে সূর্যাস্তের লাল রশ্মি
আমার প্র- পিতামহের ললাটে অঙ্কুরিত হয়,
রক্তাম্বরের নীল ঠোঁটের অট্টোহাঁসি
বিদ্রোহের পাঠ পড়ে পড়ে, আমার শরীর কোষে বেড়ে ওঠে
‘অস্বীকারের ধ্রুপদী কবিতা’
ঘুম জড়ানো চোখ, তন্দ্রার মাঝে ছুটে চলে সতের অশ্বারোহীর দল
ফেলে যায় অজস্র পদচিহ্ন...
লবণজলে সোনালি ঘাম, দূর নীলিমার গতরে আজ কৃষাণীর বিষন্ন গীত উৎসব...
বর্গী আসছে...... বর্গী আসছে.......
রঙিন লিফলেটে ভরে যায় গ্রাম, শহর, আটচালা, চা-স্টল
সূর্যাস্তের বিষন্নতায় নিমগ্ন তবু আমি
‘প্র- পিতামহের করোটি হাতে গৃহস্থালির ধ্যানে’
সমুদ্রের শাদা ফেনায় ভাসে সখিনা বুবুর আতংকিত হৃদপিন্ডের উৎপিড়নের ক্ষত চিহ্ন
সখিনা বুবু!
কসম, গোলামির শরাব খেয়ে কণ্ঠ হবে আজ নীল,
রক্ত আর বারুদের উল্লাসে জাহান্নামের জাকুম বিষ- বৃক্ষ ভরে উঠবে পত্রপল্লবে
জলের আর্তনাদে কলিজা হবে চৌচির
অথচ হেমন্তে কুয়াশায় মুখ লুকিয়ে আমি দিব্যি হেঁটে বেড়াব কাশ্মিরী গোলাপ হাতে!
আহা মানচিত্র,
হায় স্বাধীনতা,
হাহ্ মুক্তি
মাতাম করে করে একদিন শুধু ইতিহাস নগরেই কাঁদবে!
শীত, চুম্বন ও অন্যান্য কবিতা
সুমন সৈকত
সুমন সৈকত
সুমন সৈকত ভাইয়ের কবিতাগুলো অসাধার।
উত্তরমুছুনসুবর্ণা একদিন ভুল করে ভালোবাসতো কিংবা
উত্তরমুছুনভালোবেসেছিল; এখন তাচ্ছিল্যের আগুন যতো
পোড়া মুখে সে ভীষণ ঘৃণা করে অবিরত
ঠিক তোরই মতো...
রাজনৈতিক কবিতা এখন কম পাই৷ ভাল লাগলো
উত্তরমুছুন