পৃথিবীর মানুষ
চলাচলরত মানুষ দেখি
সবাই এরা পৃথিবীর মানুষ
কেউ কেউ থমকে দাড়ায়
আবার চলে...
থমকে দাড়ানো মানুষ আমি আরও দেখেছি রাস্তায় যখন গাড়ি চলে যায় প্রায় গা ঘেঁষে
আবার গতিশীল পিপড়াও কিন্তু থামে
পিপড়ার সাথে পিপড়া যখন মুখোমুখি হয়
আমি মানুষের খুটিনাটি দেখি
দেখতে ভালো লাগে...
যেহেতু পৃথিবীতে এখন
কেবলই মানুষ আসে মানুষের ভেতর থেকে
প্রথম মানুষের মতো আর
পরস্পর কনারা মিলেমিশে মানুষ হয়ে ওঠে না
তাই এসব হয়ে যাওয়া মানুষের
ভ্রু চোখ বুক শ্রোণিদেশ দেখি আমি
দেখে নিতে ভালো লাগে
যেভাবে খুব ফড়িং দেখে থাকি ...
সন্ধ্যার গাছ
সন্ধ্যায় সব কলপ করা গাছ
সারাদিন ক্রমশ বৃদ্ধ থেকে থেকে
তরুণ হয়ে ওঠে...
তারপর দেখা যায় না আর
ঘুরে চলে কোন্ দিকে...
অন্ধকার
দাও ফোঁটা ফোঁটা স্তব্ধতা...
চারদিকে শব্দচূর্ণ ধূধূ মরুভূমি
মলমের মতো
দেয়ালের ক্ষতে লেগে আছে কিছু অন্ধকার
আমি ভাবি এমন উপশম
আমি ভাবি এসব অন্ধকার
আকাশের অন্ধকারের সাথে যথেষ্ট মিল আছে
বিন্দু..বিন্দু..অনেক অন্ধকারে গড়ে ওঠে
এসব অন্ধকার
ফড়িং
ভুলে যাবো,সবকিছু ভুলে যাবো বলেই
অক্লান্ত ভেসে চলেছি
ঢেউয়ের দখলে এই মৃত ফড়িংয়ের মতো
এই ধলেশ্বরী— সিড়ি —শিলা—
চোখে নিয়ে এই পৃথিবীর স্বাদ
আর শুকনো পাতার কন্ঠস্বর
ভুলে যাবো, সবকিছু ভুলে যাবো বলেই
রোহিঙ্গা বিষয়ে মিয়ানমার
যেহেতু পাহাড় কোনো গাছ নয়
যেহেতু মেঘের কোনো ঠোঁট নেই
যেহেতু মেঘের কোনো নখ নেই
আর খড়কুটো বয়ে নিতে পারে না
সেহেতু মেঘের কোনো ঘর নেই
আমরা মেঘের ঘর নিয়ে মাথা ঘামাবো না
রুচি
বৃষ্টি হচ্ছে...
ভিজতে থাকা বেঞ্চটাকে একা-একা লাগে
মানুষেরও এরকম হয়
অর্থাৎ একা একা....
গাছে আর রুচি নেই যাবো শিকড়ের কাছে...
ঘাসগুলোর মুখে মুখে তর্জনী
দাগ
জলেরও অসুখ জলবসন্ত
বৃষ্টি এলে দেখি (পুকুরে)
জলের চামড়া সেকি ফোস্কাময়!
অথচ কি সহজ মিশে যায়
জলে থাকে না কোনো ফোস্কার দাগ---
পৃথিবীর পথে, অন্ধকার ও অন্যান্য কবিতা
ফেরদৌস লিপি
ফেরদৌস লিপি
brilliant poems
উত্তরমুছুনবিন্দুর প্রিন্ট সংক্যায় এই কবির প্রথম কবিতা পড়েছিলাম অনেকগুলো৷ তকনই নজর কেড়েছিল৷ এবারও ভাল লাগলো৷ শুভকামনা নিরন্তর
উত্তরমুছুনভালো লাগল,,অসাধারণ লিখেছেন
উত্তরমুছুন