১
ঘোর পংক্তিমালায় অসহযোগ চলছে, পালাচ্ছে বনের কিটের দল
মাটির জাগতিক ইচ্ছা তিমিসার চক্রে আবর্তন,রাত হলে মরা হাতিদের
দলে প্রতিনিয়ত দাবানল জ্বলে। শুকিয়ে যাওয়া জলে মাছেদের আর্তনাদ
পংক্তিমালায় ভাবের প্রয়োজন ফুরিয়েছে ,ক্ষমতার মনে অক্ষমতা জেগেছে।
অন্ধকারময় মধুবনে কালো ফড়িঙটির বিষাদগ্রস্থ প্রলাপ,
প্রতিরাতে লিখে দেয় বিলুপ্ত পূর্বজনের আখ্যান।
২
মধ্যরাতে দাঁড়কাকদের অবিরত প্রলাপে ভীতগ্রস্থ জোনাকিরা,
অন্ধ-আলোয় কিশোরীর কাঁপা বুকে কামুক চাহনি
বেটা ছেলের লোলুপ চোখ,অজ্ঞানতায় জৌলুসে
প্রলাপের ঘড়ি দেখে নেড়ি কুকুরের কাঁপনি
জেগে উঠে কালো ফড়িঙের দল, ঘুম পালায়।
রাজপথে কাঁটা হাড়ের তালিকা জমছে,
ক্ষুধার তাড়নায় শ্মশান জ্বলে কাঠের ভেলায়
দাঁড়কাকদের তীব্র চিৎকারে মধুবনে
ম্যাগনেস রাখাল বেরিয়ে পড়ে লাঠি হাতে
তাঁর লোহার জুতোর শব্দে ভেড়ার দল চলে পেছনে।
৩
মেঘের কারাদণ্ডে বৃষ্টিরা আবদ্ধ, তখনি আস্তর জমে
বালির নোনা গন্ধে ঘাস গজায়,মানুষের পদচারনে মাটির
দলা পাকাতে থাকে। মাটিও পচতে থাকে, আর তার গন্ধে
ম্যাগনাস রাখালের ভেড়ার দল শুঁকে শুঁকে ঘাস খায়, মধুবনে
ঘাসের সাথে মাটি কুন্ডুলি পেঁচিয়ে কিশোরীর রক্তাক্ত জামা
কারাদণ্ড ভেঙে পড়ে, প্রচণ্ড বৃষ্টি স্রোতে জামার রক্ত পরিস্কার হয়ে যায়।
জামাটা তুলে লাঠির আগায় বেঁধে ম্যাগনেস রাখাল ভেড়াদের আগে যেতে থাকে।
৪
কখনো রাত্রির ঘোর অন্ধকারে ঘুমহীন বিষাদ মন নিয়ে আসলে
থামাঘড়ির ঠকঠক শব্দ আরো বেশি জোরালো লাগে যেরূপে
মধুবনে ঘুমহীন কীটেরা নিদ্রা ভুলে গানে মেতে উঠে।
নগরের সমস্ত আবর্জনা স্তূপ হয় নিদ্রাহীন মেথরের ঘাড়ে,
চৌরাস্তার ল্যাম্পপোস্ট সারাটা রাত সোডিয়াম আলোয়
নিদ্রাময় ঘোর আকাশ জল আগামির শিশুর কান্নায়
থামাঘড়ি ঠকঠক ঠকঠক…
৫
মধুবনে তাঁবু খাটিয়ে কুয়াশা ভরা আকাশ খুলেছিল পূর্ণিমার রাত
ভাঙা নৌকার পাটাতনের উপর শরীর দুলিয়ে প্রেমের হাত,
তাঁবুর ভেতর ছোট্ট ঘরের একক অনুভূতি বিলিয়ে দেয় মুহূর্তমাখা বিকেল
আর জলে খেলা যখন আয়নায় গল্প হয়ে উঠে বিশাল তৃণক্ষেত্রে,
ম্যাগনেস রাখালের পায়ের ছন্দে বেজে উঠে পাতাল শারীরিক আন্দোলন।
মধুবনের আখ্যান
দেবাশীষ ধর
দেবাশীষ ধর
মোটামুটি
উত্তরমুছুনধন্যবাদ অনেক
মুছুনধন্যবাদ অনেক
মুছুন