১
এক বিঘত দুই অথবা x=y এর ভেতর ডুবতে গিয়ে ভেসে উঠলাম। সেদিনের নৌকোয় জন্মক্ষণ ছিল। তীব্র যন্ত্রণায় মায়ের মুখ এই তো ছুঁয়ে দিলাম। নরম আলোর মতো একজোড়া চোখ অপলক চেয়ে। তুমি গুনে ফেলতে পারো মন খারাপ, অভিমান, দু-তিন মিনিটের কষ্টও। আমার চোখের জলে নিজেই ভেসে থাকি। কেবল মনে হয় সকালের ধোঁয়া ওঠা উঠোন সঙ্গে আঁচলের গিটে আদুরে গন্ধ। হরলিক্সের কাপে সকালের সূর্য তখন টলমল। যেমনটা হয়ে থাকে গা গরম, চোখে জল। শরীরের নরম রোঁয়া ওঠা মখমল তখনও জনসন পাউডারের গন্ধে মাতোয়ারা। হেলান দিয়ে বাবা নামক গাছ বেশ উজ্জ্বল। পুঁতে রাখছে শিউলি চারা। কেবল এক একটা প্রহর কেটে যায়। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে নীরব হতে থাকি আমি। দেখি বাবার মতো শক্ত, মায়ের মতো নরম, ভাইয়ের মতো অভিমান নিয়ে গোটা আমিটাই পরিবার হয়ে গেছি।
২
শব্দের গতিবেগ হারালে আমি হাত পেতে বসি। ওদিকে কফি কাপে ফুটন্ত জীবন। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে দু কড়ি সুখ। এসব ভাবতে বসলেই দিদা’র সেই দেশ ভাগের গল্পের কথা মনে পড়ে। একটা ফুলের গাড়ি তখন টংলিং টংলিং করতে করতে চকলেট দাদুর বাড়ির পাশ দিয়ে অনেক দূর। মাঝপথে আমিও বড়ো হয়ে যাই। হা পিত্যেশ করে থাকি মায়ের ফোনের। বিদেশ বিভূঁইয়ে অভিমান করে থাকা মানা, লেখা ছিল কোথাও। তার উপর মন খারাপের রোগ ফিসফিস হাসির কারণ। স্বপ্নের দৌড় ধুলো ওড়াতে ওড়াতে হাঁসফাঁস। এবার জন্মদিন এলে নাইতে যাবো, এ শহর শুধু দিন জানে, রাতের গল্পে ডুবে থাকে আধ ভাঙা এক চাঁদ।
চিৎকার করে বলি মনে হয়, মঁশিয়ে ‘পৃথিবীর গাড়িটা থামাও... আমি নেমে যাবো’।
৩
বুকের ভেতর ব্যথা হলে আগুন জ্বালাই খর রোদ্দুরেও। কেমন শীত করে আসে সময় জুড়ে। লীনতাপহীন মুক্ত বিহঙ্গের ডানায় শেকল বাঁধা থাকে। আসল নকল সবই জুড়ে যায় এক সাথে, এক লগ্নে।
মুক্ত শূন্যস্থান
বৈশাখী নার্গিস
বৈশাখী নার্গিস
নার্গিসের মুক্তগদ্য সুস্বাদু
উত্তরমুছুনবাহ্ ব্যতিক্রম গদ্য
উত্তরমুছুন