চুমু
আকাশে মেঘ জমতেছে,
বৃষ্টির ঘ্রাণ ভাসতেছে বুকের জমিনে;
দ্যাখো,
চোখের দরজা ভাইঙা যাইতেছে কারো অভিমানে।
মরণ,
অভিযোগ নিয়া ফিরা যায় খোদার কাছে;
জীবন হাসে,
যদিও অনেক সুখের খবর হারায়া গেছে।
তাও তো, আমার আছে স্মৃতির কাফন,
তোমার ভিতর নিজেরে করছি দাফন।
তুমি ছাড়া ব্যস্ততা নাই।
তুমি ছাড়া অবসর নাই।
তুমি ছাড়া...
জমিনে শুইয়া থাকে আকাশ,
বাতাসে ভাসে ঠোঁটের ফিসফাস।
গতরভর্তি গোলাপের যেই ঘ্রাণ,
তার লেইগা শহরের সব জঙ্গল ধুলায় মিশা যায়।
শুধু খোদায় জানলো না-
চুমুর থিকা অধিক শক্তি নাই কোনো প্রার্থনায়।
বিয়োগের যোগফল
এতো এতো দায় নিয়ে
এ জীবন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
কোথায় গেলে একটুকরো প্রশান্তি এসে
বলবে, 'অনেক হয়েছে, এবার বিশ্রাম নাও'?
আমি আর কতোকাল
এভাবে
এমন করে
নিজেকে নিজের ভেতর খুন হতে দেখবো?
আমার হাতের ভেতর
যে হাতটা লুকিয়ে থাকতে চায়,
তাকে আর কতদিন অপেক্ষার কাঁটা বিদ্ধ করবে?
এক
দুই
তিন...
অনন্ত যুগ নিদ্রাহীন,
ঘুমের পালক গুজে রেখেছি বালিশের ভেতর।
তবু,
অনন্ত নির্ঘুম রাত্রিগুলো
ধীরে
ধীরে
আরো ধীরে
প্রসবের বেদনার মতোন
আমার মাথার ভেতর হামাগুড়ি দিয়ে বেড়ায়।
আমি নেই
অথবা আছি-
এই দ্বিধা নিয়ে বিশ্বাস করুন প্রভু মরে গেছি
অজস্র প্রশ্নের রোষানলে।
দুইটি কবিতা
অয়ন আবদুল্লাহ
অয়ন আবদুল্লাহ
মোটামুটি মানের কবিতা৷ এধরনের কবিতা ৮০ দশক পর্যন্ত অনেক লেখা হয়েছে৷ এসব নতুন করে আর লেখার দরকার নাই৷ সময়ের অপচয়৷
উত্তরমুছুন