ভুল বানানদের সাঁতার
এক-পাহাড় বাধার চূড়ায় চমৎকার একটা রিবন বাঁধা আছে যেটাতে আলো পড়লেই, রঙিন প্রজাপতি হয়ে উড়তে শুরু করে
একবার যদি তুষার-ঝড় সাঁতরে উঠে যেতে পার তাহলেই, লিলি ফুল ইজুক্যালটু অক্সিজেন
লটারির টিকিট তিনবেলাই দরজায় এসে হেঁকে যায়,ছ-টাকায় এক কোটি
জুয়াখেলা আমি মোটেই পছন্দ করি না
তাই,আমার মহাভারতে দ্যূতক্রীড়া পর্বটি নেই
যদিও,পাহাড়-পর্বত নড়ে উঠলেই মনে হয়
অন্তত,একটা সান্ত্বনা-পুরস্কারও যদি লেগে যেতো
এরকম ইচ্ছে কি শুধুমাত্র,ভুল বানানদেরই হয় ?
গ্রহ-উপগ্রহের সঙ্গে যাদের গান্ধারী-সম্পর্ক তাদের নিজের কোনো গতিপথ নেই অর্থাৎ,ব্রজ শব্দটা তাদের পায়ের চেটোয় লেখা থাকেনা।
দেখো আমি বাড়ছি মাম্মি
অথচ,মশালের ছায়ার চেয়ে কাউকেই বড়ো হয়ে উঠতে দেখি না
বিবর্তন-বিজ্ঞানে জোয়ান অব আর্ক-ই
ভবিষ্যতের পৃথিবী
টকের জ্বালা
রাতের বসন্তবাহার রাগ দীপক হয়ে উঠতেই
স্বপ্নের করিডরে আমি একটা রিভলবার
পোষার বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। অনেকটাই পোষ্যহীন বাড়ির দরজায় বি-ওয়্যার অব
ডগের মতন অথবা, কলিংবেলে কুকুর বাঁধা
থাকলে যেমন একটা ভানুমতী-মরীচিকা তৈরি হয় কিন্তু,সবই উল্টা বুঝলি রাম
আপাতত,ঘুমের পরিখায় আসপাশের
পরিদের আনাগোনা বন্ধ হয়ে গেছে
এমনকি, খরগোশের কাছে
দরজার দুব্বোঘাসও ল্যান্ড মাইন
টকের জ্বালায় পালিয়ে এসে
তেঁতুলতলায় বাস ।
ইদানিং,প্রতিরাতেই
ছেনোমস্তান এসে হানা দেয়
নিয়ন্ত্রিত পরমাণুশক্তিও যে ন্যাংটোকালী
হয়ে উঠতে পারে তা বোধহয়, শিবের
বাবাও জানতেন না
টিভি সিরিয়ালগুলো প্রতিমুহূর্তে
রক্তবীজের ক্লোন হয়ে উঠেছে
আর,দুনিয়াময় ভায়োলেন্স যেন
দ্রৌপদীর শাড়ি
সম্রাট শাহরিয়ারকে টলিউডের কেচ্ছা
শোনাচ্ছেন শেহেরেযাদ
উত্তরাধিকার
উত্তরাধিকার সূত্রে আমি একটা
গ্র্যান্ডফাদারক্লক উপহার
পেয়েছিলাম ।
পুরানোদিনের
সেই আশ্চর্য ঘড়িটাতে কোনো
কাঁটাই ছিলনা
কাঁটার বদলে সবসময় ঘুরে বেড়াত
বিশ্রামহীন একটা উড়ন্ত পাখি
তার ডানার থেকে পালক ঝরে পড়লেই,
কখনো-কখনো তৈরি হত মেঘ-বৃষ্টি
কখনোবা,হিম-তুষারঝড়
একটা ডানার থেকে ঘন অন্ধকার ঝরে পড়লেই
বিপরীত ডানার পালক থেকে তৈরি হত
নতুন সকাল,যার আলোয়
শুধুমাত্র,পক্ষীরাজঘোড়া নয়,
হাতুড়ি আর,গাইতি-র গল্পও থাকত
সোনার গোঁদলের চেয়েও
মুড়ি-চিড়া-ই ছিল তাদের অক্সিজেন
কোনো কোনো সাউন্ডপ্রুফ-দেয়াল
এবং ঘড়ির কাঁটা আমাদের শিখিয়েছিল
ফার্স্টবেঞ্চ চিরকালই কাঁধের নিঃশ্বাসের
নাট-বল্টু চিবায়
তিনটি কবিতা
দেবব্রত রায়
দেবব্রত রায়
মন্তব্য