ভার্জিন ও বক্ররেখার তুলসী পাতা
ভার্জিন বক্ররেখার পাশে একদিন ঈশ্বরের আস্তিন পরা অঙ্গানু গুলো সুরলোক হয়ে তুলে ফেলবে রজনীগন্ধার চতুর্থ স্তবকদের , বিষাক্ত পাখি বলে কিছু নেই মহাভারত পৃষ্ঠায়
ব্যাসদেব সোনালী রঙের পাখিটিকে অহেতুক নৈমিত্তিক ধুতি কাপড় পরিয়ে রচনা করেছিলেন আমাদের জ্যা অধ্যুষিত মাংসাশী পুরুষের অবয়ব
আজ এই নিরাকার কঙ্কালের কাছে দাঁড়িয়ে আমার মা ও ভুল করে খেয়েছিল গার্হস্থ্য শুক্রাণুর জটিল তলদেশ , নোনাশাক দিয়ে
তারপর আমিও কখন নিমফুলের এসরাজ বাজাতে-বাজাতে কৌপিন খুলে জগদ্বন্ধু বিষয়ক যোগ শব্দের কাল্পনিক রুপ ভাবি
তৃতীয় সনাতন নেত্র তলায় , দুই আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে ঢেকে রাখি একটি সাপের বিষাক্ত সিলেন্টেরন ,
আমি যার ভৌগোলিক উপদেশ খুঁজে পাইনা জনন চিহ্নের দ্রাব্যতা মিশিয়ে ও , মিশরীয় নারীটি পাজামায় বিষথলি লুকিয়ে রাখে
আমার ডান নাসিকায় ' হ ' শব্দের সূর্য এসে চন্দ্রাতপ বুলিয়ে যায় চাঁদের ক্লোরোফরম আঁচল দিয়ে ,
নিরাময় নারীরা ব্যবচ্ছেদ ঘরে আমাকেই ফালাফালা করে রক্ত চুষে উড়িয়ে দেবেন জটিল স্নানঘরের নিচে, আমি তখনো স্নান সেরে উঠে আসা পিচ্ছিল মৃত মানুষের পায়ের তলায় মৃত পিঁপড়ের সংখ্যা গুনে নেব পার্মুটেশন সূত্র দিয়ে
ঈশ্বর ও কামিজ আলিঙ্গনগুলো
আমি ঈশ্বরের দিকে দুটো কালো রঙের পা করে দাঁড়িয়ে দেখব আমার গলা ধরা বিকেলের ফেরোমেন সন্ধ্যার কামিজ গ্রন্থিগুলো , কতবার দেখেছি লিউকোরিয়া নারীটির পেছনে একটি আলপথের কানশিরার ক্ষতচিহ্নের দাগ আছে ,অগ্নাশয় পাচনকে কাঁকড়া বিছের মতো প্রশাখা হীন সাগরেরা অলিখিত আলিঙ্গন করে
গণিত শিক্ষক ভূগোলের গ্রস্ত উপত্যকা শেখাচ্ছেন ফর্মালিন ক্যালকুলাস দিয়ে , মা বটপাতার জরায়ু দেখিয়েছিলেন নিষিদ্ধ দিনে ,
অম্রিতাক্ষর নিয়মিত প্রতিফলন আলোক বিন্যাসে আমি কেমন স্থিতি সম্বন্ধীয় গমরুটি চক্রের কালো দাগ মেখে খাই মধ্যরাত ঘাসেদের পরজীবী গন্ধের সাথে ,
স্টিল থালার সুদর্শন চক্রটিই আসল ঘাতক , এন্টাসিড ময়ূরীটি একাই দৌড়াতে থাকে পশ্চিম গোলার্ধের ডিওডোরান্ট মেখে
আমি সুক্রোজ সন্ধ্যাকে নিয়ে গোপন অন্ধকার ছায়াতলে নেমে নচিকেতার সাথে মৃত্যুর স্নান দৃশ্যে মেতে উঠি , নক্ষত্রদেরা অন্ত্যেষ্টির পূর্ববর্তী রক্তের নির্গমন দেখে মৃদু গমনের ইঙ্গিত দেয়
আমার শরীর কোন বদ্বীপ চিহ্নিত নয় বাবা শুধু শুক্রাশয় রেখে গেছে
শিকড়হীন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ও মোম চিহ্ন
যোজ্যতাহীন চিহ্নের বৃহন্নলা নারীর কাছে স্নান পরবর্তী মৃদু গন্ধ উড়ে আসে আতর চন্দনকাঠ ঘি ও মধু গঙ্গাজলের ,
আমাদের প্রাগৈতিহাসিক কথা ঈশ্বর ধীরে ধীরে পড়ে ফেলবেন গুঁড়ো গুঁড়ো ভগ্নাংশ দিয়ে , সাইনোকোবালামিন একটি কংক্রিট রাস্তার নাম
আবারো ছোট কম্পাসের মৃদু বিন্দুর ভেতর একটি ফেব্রিক পাথর ঈশ্বরে পরিণত হবেন ব্রাহ্ম-মুহূর্তের আগে ,
আনারস ধুপগন্ধটিকে উদোম করবেন দ্রৌপদী রন্ধনশালায়
রাত্রির মতো এতো বড়ো দীর্ঘ ব্যঞ্জনবর্ণ গুলো আমার বিছানার তলায় নেই , আমি লেপ্টে থাকা দীর্ঘ ( ঈ ) চিহ্নটিকে আনফ্রেন্ড কর্টিকোস্টেরয়েড ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টগুলো ঝাউ পাতার লালাভ সন্ধি বিচ্ছেদ একাই খায়
আমি ও নিরাভরণ সালফিউরিক খাই , শিকড়হীন পোস্ট অফিসের ঠিকানা লিখে ফেলি ভূর্জপত্রের উপর , কোনদিন সূর্পনখার ক্যানাইন দাঁতের হিসাব করে দেখিনি ঘনত্ব কাকে বলে
আমি এসকরবিক ফ্লোটিং পাথরের এক কোণে দাঁড়িয়ে আমার কোমরে থাকা পিশাচ বিরোধী তাবিজের মোম খুলে দেখি ভৌতিক নারীটির আদল
পশ্চিম মুখে যে মানুষেরা ক্রমাগত হাঁটছে তার শরীর কালো উষ্ণতম লোমশ পোশাকে ঢাকা ,
সব শেকড়েই পরজীবীর গন্ধ আছে উদ্বায়ী তেজপাত মহাপুরুষেরা আদল ছায়া রেখেই বিচিত্র বীর্য হয়ে যায়
বাল্মিকী একা একা পারলৌকিক ক্রিয়া সমাধান করেন আমরা ক্রমশ ধ্বনিময় সংগীত বুকে রেখে ধ্যানস্থ হই শুক্র গ্রহের প্রার্থনা মন্ত্রে
বাবা একবার যান্ত্রিক শক্তি নিয়ে পুরোহিত হবেন
অসাধারণ অনুভববেদ্যময় কবিতা। কবিকে কুর্নিশ।
উত্তরমুছুন