স্কটিশ কবি রবার্ট বার্নস ১৭৯১ সালে স্কটল্যান্ডের দুন নদীর পাড়ে বসে লেখেন ‘ইয়ে ব্যাঙ্কস অ্যাণ্ড ব্রিজ’ নামের প্রকৃতি পর্যায়ের এই গানটি। বাঙালীর কাছে এই গানের আবেদন অন্যরকম! কারণ, এই গানটি থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখেন তাঁর বিখ্যাত ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে’ গানটি। সবচাইতে নান্দনিক বিষয়টি হলো রবীন্দ্রনাথ মূল স্কটিশ গানের ষোলটি বাক্যকে কীভাবে মাত্র চারটি বাক্যে প্রকাশ করেছেন।
মূল স্কটিশ থেকে ভাবানুবাদ করেছেন অরূপ ব্যানার্জী।
এই অপূর্ব দুন নদীর ঢালু তটে,
এতো উজ্জ্বল সতেজ পুষ্প কীভাবে ফোটে?
কীভাবে বিহঙ্গম অপূর্ব গান গায়?
লালিত্যে যেন তার, জীবন ক্লান্তিময়!
হৃদয় চূর্ণ হয় মোর, ওই পাখির কূজনে,
ফুলের কাঁটার মাঝে ওদের বিচরণেঃ
স্মরিয়া দিতেছে মোরে বিগত প্রণয়
চলে গেছে- কভু আর ফিরবেনা, হায়!
অপরূপ দুন এর পাশে নিত্য আমি আসি,
দেখি লতানো বুনোফুল গোলাপের পাশাপাশি;
প্রতিটি পাখি গায় ভালোবাসার গান তার,
অনুরক্ত হই আমি নিজেই আমার।
উদ্বেল হৃদয়ে আমি গোলাপের কাছে যাই,
কাঁটাভরা গাছ থেকে মধুর পূর্ণতা পাই!
আমার মিথ্যা প্রণয়িনী গোলাপটা নিয়ে গেছে,
আহা! আমার জন্য শুধু কন্টক রেখেছে!
বনি দুন (সুন্দর দুন)
মূল: রবার্ট বার্নস
অনুবাদ: অরূপ ব্যানার্জী
মূল: রবার্ট বার্নস
অনুবাদ: অরূপ ব্যানার্জী
🌼🌼
উত্তরমুছুন