এখন বিপজ্জনক গলি ছেড়ে রাজপথ
ক্লাসের ফরাসি বিপ্লব তখন ঠান্ডা হয়নি, মাথার ভিতর নিজেকে দৌড় করিয়েছি আরো একশো মাইল, এ সময় সঠিক সময় নয়। তুমি অধীন হতে চাইবে আমি অযথা স্বাধীনতার লোভ দেখাবো। এখন বিপজ্জনক গলি ছেয়ে রাজপথ। এ থুতু গিলতেও তো ঘেন্না লাগবে। ঠোঁটের লালা মুঝতেও ঘেন্না লাগবে। চিনি তোমায়, পাঁচটা শরীরে মুখস্ত ক্ষত আবৃত্তি করিনি। এ শরীর তোমাকে শুধু ভালোবাসার কথা ভাবলেও কুকুর সেজে ভোগ করেছে। পায়ের নখ মুক্তি চাইলেও, ভুল বোঝার শর্ত পূরণ হবে। আমি বেরিয়ে যাবো তোমার গর্ভের মত সতীত্ব শরীর ছেড়ে, স্মৃতি ছেড়ে। না এসব আমার ভাবতেও ভয় হয়। শরীরের লুকানো চিঠি পৃষ্ঠায় আসেনি। আসেনি মুখে। এ গোপন রহস্য আজীবন আমি বুকের ভিতর লুকাবো। বাষ্প করো আমাকে। মৃত্যু থেকে শুরু কর আরেকবার। ছেড়ে যাওয়ার আগে তাকিয়ে আছে সে ঘর যেমনটা কালো অন্ধকারে পূর্বের ঝড়টাকে এগিয়ে আসতে দেখছিল সমুদ্র। সে কোথাও যায়নি। শুধু অপেক্ষায় শরীর স্থির করেছে। এ স্তনের আকার অনেকটা পুরনো প্রেমিকার মত, তাকে আমি গ্রেফতার করেছি মস্তিষ্কের কারাগারে। এখন তুমি কি বন্দি হবে? না, না। চোখ দুটোকে রক্ত দিতে হবে। প্রত্যেকটা নরম নখের ছোয়া আমার শরীরে বিস্ফোরনের তীব্র আগুন হয়ে ফাটছে, আমি মরছি, তোমার কাছে। এসে। হ্যাঁ আমি মরছি কখনো তোমার কাছে না এসে। সবটা শেষ হয়ে গেল। আমি বাবার জন্য কেঁদেছিলাম কবে ভুলেছি, আমি মায়ের সাথে অভিনয় করতে শিখেছি। তুমি না থাকলে, এ হস্তমৈথুনের গোয়াল ঘরে আমি শয়তানের কাছে ধরা দেবো। সে চলে গেলো! কিছুই তো জানালো না! কবে আসবে না আসবে। কিছুই না। শুধু চলে গেলো। শুধু ফিরে না আসার জন্য। সে চলে গেলো। আমি কেনো চলে গেল তা নিয়ে বিজ্ঞাপন বানাচ্ছি মাসের পর মাস। এ স্মৃতির ব্যবসা কি সে সবার সাথেই করে? আমার আজ জানতে ইচ্ছা করে।
আমি যেন এক হিংস্র পশু
আহা দেবতা তুমি আমাকে এভাবে খোলা ছেড়ে দিও না
এই আদিম সমাজের ভিড়ে মানুষের মতই দেখতে
লাখ লাখ হিংস্র হিংস্র
কুকুরের ভিড়ে;
আমাকে তুমি কোনো খাঁচায় বন্দি করো।
দাও একখানি দামি– ব্র্যান্ডের সিগারেট।
দাও, সামান্য খেতে রক্ত।
ওহে বোকাচোদা দেবতা আমার কথা শোনা–
এভাবে শূন্য হাতে
এ শহরের মাঝে
ভেজা খালি পায়ে
ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করো।
নাহলে তোমার নীল লুঙ্গি তুলে ফর্সা পোদে
প্রতিবাদীছবিএঁকেদেবেআমাদেরতীব্রআন্দোলনকারীরা।
আমি না বলে-কোয়ে বান্ধবীর সদ্য ফুলে ওঠা
ভারী বুকে চোখ সেকেছি কতকোটি বার
তার কোনো হিসাব রাখিনি।
আমি তো এমন ছিলাম না–
কি হলো হঠাৎ করে?
শুনেছি এই পৃথিবীর কবিদের নাকি জন্ডিস ধরেছে।
তাই বসন্ত হোক কিংবা বীর্য;
সবেতেই শুধু রোমান্টিকতা জাগে।
আমার বাড়িতে কাজ করা অল্প বয়সী মেয়েটা
যখন নিচু হয়ে ঘর মোছে তখন আমারও রোমান্টিকতা জাগে;
ওহে ঢ্যমনা কবি ওটাকে কাম কহে!
আমি তা মানি না।
যদি ওটা কাম হয় তাহলে রোজ রাতে
বাথরুমে লুকিয়ে লুকিয়ে
গোটা দেশ যেটা করে সেটা কী?
আমি কদিন আগেও এমন ছিলাম না।
কিন্তু আজকাল আমি কবি,
একথা আমার শহরের কুকুরটাও জেনে গেছে–,
তাই পুলিশ দেখলে
আমি
বোমা ভর্তি স্কুল
ব্যাগটাকে জাপটে ধরে
প্রেমিকার বাড়ির দিকে ছুটে পালাই।
সত্যি বলছি, দাদা আগে আমি এমনটা ছিলাম না।
পাউরুটিতে ঝোলা গুড় লাগিয়ে খেতাম
আর হস্তমৈথুনের বীর্য বাথরুমে ফেলে
তা কল ছেড়ে ধুয়ে দিতাম।
আগে আমি একদমই এমনটা ছিলাম না।
দেবতা আমাকে তুমি (শক্ত)
লোহার খাঁচায় বন্দি করো।
আমার চোখে আজকাল নগ্ন সমাজ
খালি হাত দিয়ে ঢেকে রাখে
তলপেট–
স্তন–
যোনি–
আহা তুমি আদেশ দাও!
তুমি আমাকে বন্দি করো!
আমাকে বন্দি করো তুমি!!!!
আমার প্রেমিকার–
মুখে যেদিন
আমি প্রথম পুরুষাঙ্গ
দিয়েছিলাম সেদিন আমি
মর্তে দাঁড়িয়ে স্বর্গ সুখ
অনুভব– করেছিলাম।
আমি হঠাৎ করে খুব অশ্লীলললল!!
কথা বার্তায় পাণ্ডুলিপি ভরিয়ে ফেলছি
কিন্তু আমি কোনো প্রতিবাদী কবি নই,
নই কোনো প্রতিষ্ঠান বিরোধী।
তাহলে আমার হঠাৎ
কী হলো?
কী হলো
তাহলে হঠাৎ আমার?
প্রতিবাদীদের নিয়ে আমার
একটাই সমস্যা তারা প্রতিবাদ
কখন শেষ হয়ে গেছে? বোঝেন না।
আরআন্দোলনশেষহওয়ারপর
আমার মতই এক সাধারণ―??
বেকার
হয়ে
রাস্তায় রাস্তায়
ভ্যা ভ্যা
করে ঘুরে বেড়ান।
মোড়কে মড়ক লাগে কবিদের ক্ষুধার্ত কবিতায়–
আমার সাথে সম্পর্কবিচ্ছেদ করা মেয়েটির
আজকে একটা জাত মাতালের সাথে বিয়ে লেগেছে–
আর যে বেশ্যা আমাকে কবিতার বদলে
তার শরীর ছুঁতে দেয়নি সে যোনির ক্যান্সার নিয়ে মরেছে–
শুধু আমি
তেতলার ছাদে চানাচুর হাতে পা দুলিয়ে
এসব দেখেছি হাসি মুখে;
আসলে আমি–
কোনোদিনও
এরকম ছিলাম না।
দেবতা তুমি আমাকে এক্ষুনি জরুরী
পদক্ষেপে শক্ত খাঁচায় বন্দি করো।
'এ শরীর তোমাকে শুধু ভালোবাসার কথা ভাবলেও কুকুর সেজে ভোগ করেছে।'-- মস্তিস্কের শ্বেতদন্ডে কাঁঠাল আঠায় আটকে যাওয়া বাস্তবকল্প।
উত্তরমুছুন