বিপরীত বিন্যাসে
কতটা অশ্রু জমেছে ভোরের দূর্বাঘাসে
ঘাসফড়িঙের ঠোঁটে সেসব শব্দলেখা—
জমছে, মোহন শব্দে;
যতটা সকাল থাকে চোখে—
তারচেয়েও কঠিন বিপরীত ঘরের বিন্যাসে।
সেসব স্মৃতি গুল্মের ভেতর, পাথরের আধারে
লুকিয়ে থাকে শতাব্দী,
খননের হাত ধরে ফিরে।
উনত্রিশে এসে বুঝি দাঁড়িয়ে থাকে পাথরসম—
সময়ের সেইসব বস্তুভার...
কেউ এসে বলবে না ফুলের পরাগরেণু ওড়ে
পরাগায়নের দিন খুব কাছ থেকে ভালোবেসে...
না-মানুষের ভীড়ে
নতুন দিন ফুটেছে, তুমি ছিঁড়ে নিলে খেলাচ্ছলে!
যেন কিছুই হয়নি—সন্ধ্যামুখে সমাধি মন্দিরে
ধাতুফলকের মাঝে সংঘর্ষে তীব্র চমকালে—
যেনবা আকাশপথে মুত্যু নেমে আসে—নির্বিচারে
পথে পথে তাই যেন না-মানুষের বিছানা পাতা
আলিঙ্গনে—প্রেতরূপ সে’ দৃশ্যের চেনা পরম্পরা
বিছানায় ছড়িয়েছে ফুলহীন যে অযৌন লতা
যেন তার হাত ধরে উড়ে গ্যাছে দৃশ্যহীন বার্তা
অথচ প্রভাতফেরি থেকে শিখে গেল নামগীত
মোহময় গান, প্রাণী ও উদ্ভিদের সৃষ্টি রহস্য
যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবেই নেমে আসে শীত
আদতে পুড়ছে সব—মানুষ—স্মৃতির ছাইভস্ম
নতুন ধানের দিন, সাথে নিও চাপালিস নাও
জলের আড়াল ভেঙো, বুকে রেখো প্রতিবেশি শ্বাস
কখনো থামলে পথে আগুনের গান গেয়ে যাও
সীমানা প্রাচীর থেকে মুক্তি পাক অনুঢ়ার লাশ!
সম্পর্ক
পাঠ অনুবাদ ছেড়ে কে তুমি ফোটাও দৃশ্যফুল
ভ্রমণের গানগুলি ভুলসুরে গেয়ে ওঠো কেন
মঞ্চ আলোকিত হলে, চোখের আস্তিন থেকে চুল-
সরিয়ে বলে উঠছো ভালবাসি ভালবাসি যেন
মেঘেরাও ভুল করে উড়ে গিয়েছিল বাড়ি—দূরে
সেইসব স্মৃতিময় দিন গুণছে ব্যথার গান
পাতার পতন স্বর শুনছে অনালোকিত ভোরে
তাই বুঝি রোদে পুড়ে হৃদয়ে ডাকছে সেই বান
কোথাও সমান্তরাল সম্পর্কের আদিঅন্ত চাষ
কোথাও ভাঙনগল্প উঁচুনিচু পথ ধরে হাঁটা
এসব নিয়ম ফের নিস্তরঙ্গ বনসাই বাস
দেয়ালের উষ্ণতায় আলিঙ্গনে জেগে থাকে কাঁটা
বিপরীত বিন্যাসে ও অন্যান্য কবিতা
সৈয়দ সাখাওয়াৎ
সৈয়দ সাখাওয়াৎ
মন্তব্য