বেলাশেষ গানে
কঠিন মাটির বুক চিরে
অনেক ঝরেছে
ঘাম সারাদিন
রক্ত বিন্দু বিন্দু বিলিয়েছ চিরকাল,
এবার বিশ্রাম নাও তুমি
ছড়িয়ে রয়েছে প্রান, দেখ
মাঠের প্রশান্ত ঘাসবীজে
দেখ সন্ধ্যা হোলো
ফিরেছে সকলে
শোনো পাখিদের
বেলাশেষ গান
যন্ত্রনার বহু ইতিহাস
রয়েছে ভেতরে আমাদের
রাখা আছে সব লাঙলের
আদিম ফলায়
দেখেছি দেখেছি
হালের বুটায়
যন্ত্রনার ইতিহাস নিজেই নিজের কথা বলে
কঠিন মাটির বুক চিরে বহু ফসল ফলেছে
বিন্দু বিন্দু রক্ত আর ঘামে পৃথিবীর
নদীর কিনারে
সেই কথা শুনি আমি পাখিদের বেলাশেষ গানে
অন্ন গন্ধ
সকাল থেকেই হারিয়েছি
হন্যে হয়ে খুঁজেছি নিজেকে
সমস্ত শহর অলিগলি
এমনকি বড় বড় রেস্টুরেন্টে খুঁজেছি, পাইনি
টেলিফোন তার ধরে বাড়ি বাড়ি খুঁজেছি, পাইনি
অবশেষে কাঁচা রাস্তা ধরে
মেঠো ইঁদুরের পথ বেয়ে
বুক চাপড়ানো ধান ক্ষেতে
কেঁচো গুগলির সাথে নিজেকে পেয়েছি
শুঁকে দেখি সারা গায়ে দুঃখী অন্ন গন্ধ।
বিষাদের পদচিহ্ন
শালুকের সংসারে রদ্দুরের উঠোন ছিল – গোধুলি বেলার কুয়াশার বাঁশপাতা জ্বেলে ডুবে গেছি কোন অন্ধকারে – বৃদ্ধ বটের হাতছানি ছিল – ছিল রোহিনীর বাঁশি - শিশির ভেজা শিয়াকুল – ধান শিষের দোলন – আজ হাতছানি দেয় বুড়ো পাহাড়ের কোল হতে – অক্ষম মরমী নদী ঢাল বেয়ে নেমে আসে – অসহায় উচ্ছ্বাস বিকেলের হলুদ সূর্যে ঠাকুরদার রাঙা দুটি পায়ের নকশা – নাভিঋন মেঘমালার অন্ধকারে ধমনীর ভেতর জন্মের অভিজ্ঞান আনে – ভাষাহীন মাঠে নাগরিক আলো নিভে গেলে - বিষাদের পদচিহ্নে জেগে থাকি।
অন্ন গন্ধ ও অন্যান্য কবিতা
মৃন্ময় মাজী
মৃন্ময় মাজী
মন্তব্য