কবিতা এক ধরনের নিমগ্নতা। কবিতায় ব্যবহার উপযোগী শব্দকে দৃষ্টিতে ধারন করার ক্ষমতা সকল কবির থাকে না। তবে কারো কারো থাকে। কবি নানা শব্দ ও দৃশ্যের মধ্যে পরিভ্রমণ করে মানুষের মতো ক্লান্ত না হয়ে প্রতিনিয়তই ভ্রমণের স্বাদ গ্রহণ করেন। কবির কাজ কি তাহলে এমন?-যা সময়ের সঙ্গে সমকালীন অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিকে সঙ্গ দেয়? কালপরম্পরায়, সময়ের সাথে-সাথে তা কবিকেই বুঝে নিতে হয়। সেইহেতু, অমিতাভ পালের কবিতার ভাষার আবহ, শব্দ চলন, কথনভঙ্গি সাবলীলভাবে হেঁটে চলে। অর্থাৎ শুরুতেই অমিতাভ পালের কবিতাকে আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়। অমিতাভ পাল নিজস্ব চিন্তার আবহে সমসাময়িক কবিতার পরিচয়ে সাবলীল। পক্ষান্তরে, কবিতা কবির অভিজ্ঞতালব্ধ ভাবসত্যের সামাজিক বস্তুজগৎ ও চৈতন্যের মনোজগজের শিল্পসম্মত সচেতন প্রকাশ।
অমিতাভ পালের জন্ম ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬২ সালের ময়মনসিংহ শহরে। তিনি সুইডেন থেকে কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তবে বেশি একটা সময় পাননি সাহিত্য-চর্চায়। কিন্তু এখন পযর্ন্ত তাঁর প্রকাশিত লেখাগুলো বাংলা সাহিত্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অমিতাভ পালের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা এগারটি। তার মধ্যে কবিতার বই নতুন বাল্বের আলো [১৯৮৯], আলোর আলোচনা [১৯৯২], আমার আত্মীয়-স্বজন [১৯৯৮], শ্রীমতি কবিতা [২০০৪], গণবেদনার গাথা [২০০৪], পশুপাখিশিলারত্নগ্যাস [২০১০], পুনর্নির্বাচিত আমি [২০১১], অ্যাপসগুলি [২০১৯] এবং গল্পের বই দু’টি রাতপঞ্জি [২০০৪], অসচরাচর [২০১৬] ও একশ ফোঁটা বৃষ্টিবিন্দু নামের একটি গদ্যগ্রন্থ ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে। অমিতাভ পাল ১৩ অক্টোবর, ২০২১ প্রাণ ত্যাগ করার আগ পযর্ন্ত একের পর এক কাজ পরিবর্তন করে গেছেন। কখনো বা কর্মহীনও থেকেছেন। সর্বশেষ তিনি একাত্তর টেলিভিশনে যুগ্ম বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন।
কবিতার সঙ্গে অমিতাভ পালের সম্পর্কটা সুগভীর। সেই সম্পর্ক সমাজের বৈধতা প্রমাণের সম্পর্ক না। একটা বৈধতার দৃষ্টিভঙ্গি, নিজস্ব যাপন সম্পর্ক। হয়তো এ-বিষয়ে কিছু ধাঁধার মগ্নতা থেকে যায় কি? তবে এই অনিশ্চয়তার মাঝে অনুভব করি, সাহিত্যের সঙ্গে অমিতাভ পালের সম্পর্কের বন্ধনটা সম্ভবত ধ্যানস্থ প্রণয়ের বৈধতা কিন্তু অনিবার্য। সে-কারণেই হয়তো তাঁর কবিতার আনন্দ-অনুভূতিতে কোনো অভ্যাসজাত শব্দ প্রয়োগ কিংবা ব্যবহারজনিত স্বল্পতা নেই। তাই সকল বৃত্তের বাহিরে এসে তিনি দৈনন্দিন জীবনের কলহ কবিতার বিষয় করেন। কিন্তু বিষয়ের সম্মোহনের এই তীব্রতাকে হৃদয়ের আকুতি ও যাপন-প্রণয়ের সূক্ষ্মতায় দৃশ্যমান, সেই অমিতাভ পাল তাঁর যাপিত জীবন নিরূপণের ভার নিয়ে পাঠকের সামনে অকপটে তুলে ধরেন-
ডেঅফের দিন আমি হাজারটা কাজ করিবাকি ছয়দিনের দাসত্বের জীবনেআমার এতে কাজই থাকে নামুক্তির অনেক দায়(ডেঅফ)
কবিতার এই পঙক্তিগুলো স্পষ্ট ভাষায় যাপিত জীবনচিত্র। অমিতাভ পাল বাংলা কবিতার ষাটের আধুনিকতাকে গ্রহণ ও বর্জন করলেও, আশির আধুনিকতাকে গ্রহণ করে নিজের হৃদয়ের ভাষা ও ঐতিহ্যকে কোনোভাবেই বর্জন করেননি। নিজস্ব ঐতিহ্যকে বরং কবিতার শৈলী হিসেবে ব্যবহার করেন। অমিতাভ পাল কথ্যরূপকে কবিতায় নিজের মতো করে প্রয়োগ করেন। কথ্যভঙ্গিতে শব্দে পর শব্দ গেঁথে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন, কখনো আবার নিজের মতো করে নাগরিক ডেঅফের সীমানা ভাঙেন। প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে পেশাগত দৈনন্দিন দাসত্বের কথা। অমিতাভ পাল চলমান জীবনের ঘটনাকে কবিতায় সাবলীলভাবে দৃশ্যায়ন করতে পারেন। আমার তো মনে হয়, তিনি পড়ে থাকা খড়-কুটোর বেদনাকেও সফল কবিতা বানাতে পারতেন। সেইসাথে কবিতাকে অনেক বেশি কমিউনিকেটিভ করে তোলেন। পাঠকের অন্তর্ভুক্ত দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তাঁর কবিতার কিছু লাইন তুলে ধরা হলো,
স্টপেজে বাসের পাশে হাঁটছে কন্ডাক্টরআর মাঝেমাঝে চাপড় দিচ্ছে বাসের শরীরেহাতির পাশে হাঁটতে থাকা মাহুতের মতোবাসের পেটে হাতির খাবারের মতো আমরা হজম হচ্ছিআমাদের শক্তিতে বাস চলছে(সাফারি)
কবিতায় জটিলতা নয়, বরং কবিতার পাঠোদ্ধারের মধ্য দিয়ে সমসাময়িক ঘটনা-রহস্যের ব্যাপকতা তৈরি করেছেন। বিচিত্র সম্ভাবনার কারণেই হয়তো দিগন্ত নির্ভরতা মনে আসে, জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’, শামসুর রাহমানের ‘মাতাল ঋত্বিক’, আল মাহমুদের ‘সোনালী কাবিন’, শহীদ কাদরীর ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’ কাব্যগ্রন্থগুলোর কবিতা সমূহের প্রভাব আজ অবধি সাহিত্য-জগতে বহমান। এই কাব্যগ্রন্থ সমূহে সময় সচেতন কবিতার স্বভাব সম্ভাবনায় নিহিত ছিল। ঐতিহাসিক ভাবে পারিপার্শ্বিক সক্রিয়তা যে কোন কবির সার্থকতাকে সমন্বয় করতে পারে। অমিতাভ পাল বাস্তবতার সাথে সামাজিক জীবন প্রবাহে কবিতার গতি জীবন-উপলব্ধিতে প্রকাশ করেছেন-
একটি চমৎকার বাড়ির অভ্যন্তরে ঝকঝকে একটি ঘরেগোপনে শুয়ে আছে একটি অসুস্থ খাট(খাট)
কবিতার শব্দবন্দির চেয়ে সরল বিষয়ের প্রভাব সহস্র অধিক বলে মনে হয়। তবে সুখ-দুঃখ-সম্ভোগের কথা জীবনের সাথে চিরন্তন জমে আছে, কিন্তু মৃত্যুর প্রসঙ্গ যে কোন মানুষের জন্যই দগ্ধ দীর্ঘ পথ। আর বরং যাপিত জীবনের নানা অনুষঙ্গ হন তিনি নিজেই এবং এই যাপনের ভেতর থেকেই অত্যন্ত সচেতনভাবে কবিতার শরীর তৈরি করেন। সকল বেদনা-বোধ যেন উষ্কো-খুষ্কো। মনে হতে পারে একটি জীবনই হয়তো খাট হয়ে শুয়ে আছে।
তবে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে, অমিতাভ পাল কেন তাঁর সমসাময়িক কবিদের থেকে কিছুটা আলাদা? ভাষার প্রয়োগের ভিন্নতা? নাকি অতীতের সাহিত্য দর্শন ভাঙা কিম্বা কবিতার ভাষাবিষয়ক চিন্তাভাবনাগুলো অন্যভাবে প্রয়োগের পারদর্শিতা? কি সেই উজ্জীবিত রূপ? আর কোন বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে অমিতাভ পাল আধুনিক সময়ের কাব্যভাষা তৈরির একজন? এই সকল উত্তরপত্র খুঁজি, তাঁর কবিতার পঙক্তিগুলোর ভেতর। কিন্তু কারণে বা অকারণে তাঁর কবিতার বিষয়বস্তুর প্রবণতাগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করলে সহজেই বোঝা যায়। তাঁর কবিতার ভিন্নতা কোথায়? সেইহেতু, লক্ষ্য করি, ভাষা চলনেও তাঁর কবিতার ভিন্নতা চোখে পড়ে। শুধু যে ভাষার চলনের ভিন্নতা অমিতাভ পালের কবিতার এক মাত্র বৈশিষ্ট্য, ঠিক তাও না। এটুকু বললে বরং ভুল হবে হয়তো, পাঠক ভুল বুঝে অভিমান করবেন। তবে তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু উপস্থাপনেও অন্যদের থেকেও আলাদা। পাঠকের সামনে দৈনন্দিন সরল ব্যবহৃত বিষয়-আশয় কবিতায় উপস্থাপন করেন। তবে তাঁর কবিতা পড়লে পাঠক ধাঁধায় পড়ে না। বরং পাঠকের দৃষ্টি-সীমানা ক্রমাগত বাড়ে। চারপাশে দৃশ্যমান বিষয়গুলোকে কবিতার উপাদান হিসাবে ব্যবহার করেন সাবলীলভাবে। তাই কবিতার পঙক্তিগুলো প্রকৃত উদাহরণ-
একটিই দৃশ্যযেমন একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে হাত ধরাধরি করে হাঁটেঅথবা একটি মলিন শিশু ও একটি কালো স্তনের হুড়াহুড়িঅথবা একটি সুখী পরিবার ও একটি বিদেশী কুকুরঅথবা একজন গৃহহীন মানুষ ও একটি আয়নার বন্ধুত্ব(মৌল)
অভিজ্ঞতাকে জীবন-তৃষ্ণার তাৎক্ষণিক পরিনামে অবয়ব ধারণ না করে, প্রকাশের গোপনতা থেকে কবিতাকে মুক্ত করেছেন। এখানে কবিতায় ব্যবহৃত বন্ধুত্ব শব্দটি ক্রমাগত প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পের সৌন্দর্য ও শ্রেণীহীন সমাজের দৃশ্যপট। তিরিশ উত্তর বাংলা কবিতায় ষাটের দশকের কবিদের হাতে সামাজিক-রাজনৈতিক নানা বিষয় দৃশ্যমানের পর, নতুন কাব্যভাষা তৈরিতে আশি দশকের কবিরা অগ্রণী ভ‚মিকা রেখেছেন। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলা কবিতার নতুন আঙ্গিক তৈরি খুব একটা সহজ ছিল না, তবে সেই কাজটি করেছেন আশির অধিকাংশ কবিরা। তারই ধারাবাহিকতায় অমিতাভ পাল অনেকটা আলাদা। নিজস্ব চিন্তা-চেতনায় কবিতার রূপ ও অবয়ব দিয়েছেন। সমাজের নানা ক্রান্তির কথা সহজেই বলেছেন,
আমাদের রাস্তা দিয়ে নির্বিকার মিলিটারি কনভয়ের মতোতুমি চলে গেলে পিছনে মিছিল দাঁড়িয়ে পড়েস্লোগানের শব্দ তখন পাকস্থলীতে জীর্ণ হচ্ছে বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়তোমার নাম স্বৈরাচার(স্বৈরাচার)
অমিতাভ পালের কবিতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো অনুভূতির ভাব প্রকাশের পরিমিতি বোধ। এমনকি নিজ জনগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতা থেকে ভাষার মানবিকতা আহরণ করা। চারপাশের মানুষের বিপর্যয়ের চিত্রায়ণ করেছেন। কবিতার সঙ্গে সমাজের মতবিনিময়ের প্রত্যাশা নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাঠকের মনোজগোতের ব্যাপারটিই প্রাধান্য দিয়েছেন। কিন্তু কখনো আবার কবিতার বিষয়ের ভিন্নতাও চোখে পড়ার মতো-
খাদ্যসামগ্রী ভর্তি প্লেটকিংবা হাত মোছার একটি স্বরচিত বাগানের মতো টাওয়েলবিপর্যস্ত ক্ষুধা(মাঠের বর্ণনা)
কবিতার অভিজ্ঞান থেকেই কবি নিজেকে রহস্যময়ভাবে নিমজ্জিত করেছেন। তাই দুঃসময়ের স্বরচিত প্রবল চিৎকার বিস্তর হয়। এই কবিস্বভাব ও কাব্যদৃষ্টির প্রতিনিধিত্বশীল উপলব্ধি পরস্পরের নিকটবর্তী হয় অমিতাভ পালের কবিতার শুশ্রুষা, কেবলই মগ্নতার দূরত্বের তৃষ্ণাই আনন্দ-আবহ বিস্তৃত করে। তাই জীবনানন্দ দাশের কবিতার ছিটেফুঁটা আবহও অমিতাভ পাল সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন। এমনকি তাঁর কবিতার চিন্তা-ভাবনাগুলো অন্যরকম প্রাণ সৃষ্টি করে। তাইতো অমিতাভ পাল নিজস্ব চৈতন্যে খুব সহজেই বলতে পারেন,
যুদ্ধ সবচেয়ে প্রাচীন গণজমায়েত।
কবিতার পঙক্তিগুলো পাঠ করলে স্পষ্টতই বোঝা যায়, তাঁর কবিতার কলা-কৌশল। তাঁর সর্বশেষ কবিতার বই ‘অ্যাপসগুলি’ প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। অমিতাভ পাল তাঁর লাস্ট বইটির ফ্ল্যাপে লিখেছেন,
সবচেয়ে শেষ মুহূর্তটাকে নিয়ে কবিতা লেখাটাই নতুন কবিতা লেখা- কারণ সবচেয়ে শেষ মুহূর্তটাই নতুন। এই মুহূর্তটা গঠিত হয় বিগত সময়ের যা কিছু টিকে গেছে এবং আসন্ন যা কিছু জন্মসংগীতে মুখর- তারই দ্বৈত প্রেরণায়।
কবিতার মুহূর্ত কীভাবে ধরতে হয়, তা তিনি হাড়ে-হাড়ে বুঝতেন। যে কোন মুহূর্তে চট করে একটা কবিতা কীভাবে লিখতে হয়, সেই সমস্ত দক্ষতা ভালো ভাবেই আয়ত্ত করেন। কবিতাকে যাপনের অংশ করে তোলেন। তবে তাঁর কবিতার লাইন টু লাইন গোছালো। অমিতাভ পালের তেমনই রোমান্টিকতা মৃত্যুর মতো আহ্বান করেন। উচ্চারণে উজ্জ্বল হয় এক ধরনের বিরহদহন বা রোমান্টিকতার অনন্ত অসুখ। তাইতো আমরা তাঁর কবিতার অন্তরগূঢ় রূপ লক্ষ করি-
আমাদের গ্রামের অরুণ বৃষ্টি হলে ছাতি মাথায় দিয়ে হাঁটেতখন অজস্র মেঘের মতো পুঞ্জীভূত ছাতির আড়ালেঅরুণের মুখ ঢাকা থাকে এবংসেইসময় আমরা এক মলিন আলোর মধ্যে বাস করিবৃষ্টিহীন দিনে অরুণের মুখ খুব উজ্জ্বল ও বিকশিত হয়(অরুণ)
চেতনার ভঙ্গির বৈপরীত্য কবিতার পঙক্তিগুলো ভিন্ন স্বাদ দেয়। অমিতাভ পাল জীবনের যাবতীয় বেদনা-বিহ্বলতাকে ধারণ করে, সমাজের সমগ্রতাকে উপস্থিত করেছেন। কিন্তু এই চারপাশের সবকিছুর মধ্যে নিজের যাপনচিত্রকে প্রগাঢ় ভাবে ছাপ রেখেছেন। অবশেষে মানুষের নিকটে তিনি ফিরেছেন, সেইসাথে মানুষের চলমান জীবনের ক্ষত, তাঁর কবিতায় মৃত্যুর পরম্পরায় উল্লেখিত-
তারপর কেটে ধুয়ে পরিচ্ছন্ন করেমিশিয়ে পছন্দমাফিক নির্দিষ্ট মশলাএখন একটি যান্ত্রিক ভোজ তোমার ক্ষুন্নিবৃত্তি করেআমি এই মৃত্যু ভালবাসি?(আমার মৃত্যু)
সরলভাবে মৃত্যুকে ভালোবাসেন। এই তীব্র বেদনার মনোভঙ্গি অমিতাভ পালের অনেক কবিতায় ছায়ার মতো পিছু-পিছু আছে। তবে শিল্পিত বিষয় কবিতার ভাষাকে করেছে দৃশ্যময়, দৃশ্যকল্পগুলো শব্দময় উজ্জ্বল। কোথাও বা তুলে এনেছেন খাঁ-খাঁ শূন্যতা। যান্ত্রিক জীবনের নানা বন্যতা বেড়িয়ে আসে। তবে মৃত্যুকে ভালোবাসার মতো সাহস তাঁর হৃদয়ে বহমান। তাই তাঁর মৃত্যুর বহু আগে ‘আমার মৃত্যু’ শিরোনামে কবিতা লিখেছেন। কবিতায় যেসব ভাব ও দৃশ্য মগ্নতায় নিজের স্বীকারোক্তির কথা বলেন, এই সবকিছুই যেন তাঁর কবিতার বিচিত্র অবয়ব এবং স্বচ্ছ বর্ণনা তাঁর কবিতার প্রধানতম বৈশিষ্ট্য। তাই মনে হয়, অমিতাভ পালের কবিতার পাঠক দিনদিন বাড়বে।
অমিতাভ পালের কবিতা
অনুভূতির পরম্পরা
চঞ্চল নাঈম
অনুভূতির পরম্পরা
চঞ্চল নাঈম
অমিতাভদার জীবনকে দেখার ও দেখানোর দৃষ্টিকোণ একেবারে আলাদা। আর আপনিও সেটা আপনার এই সুন্দর প্রবন্ধে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। শুভ কামনা।
উত্তরমুছুনরিপন সালেহ/ অমিতাভ পালকে নিয়ে খুব কম কাজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাজ হয়নি বললেই চলে। চঞ্চল নাঈমের এই প্রবন্ধ অমিতাভ পাল সম্পর্কে জানতে বা বুঝতে সাহায্য করবে। ভালো একটা লেখা প্রকাশ করেছে বিন্দু।
উত্তরমুছুন