ডানা
সিসিফাসের পাথর উড়ে যাচ্ছে ডানা মেলে
ঈশ্বরীর বাসনারুদ্ধ জগৎ
পাখির গান তৈরি করে অপূর্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষা।
জীবনে জীবন যোগ করার স্পৃহা নিয়ে মানুষ ছুটছে দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে। জৈব ইচ্ছারা ঘুঁটি সাজায় পরতে পরতে। জন্মান্তরের কামনা ভেসে বেড়াচ্ছে সামুদ্রিক বাতাসে।
অমর্ত্য
যাপনের মধু ঝরে যায় ক্ষণকাল পরে
থাকে শুধু সাদা ক্যানভাস
তুলির আঁচড় এঁকে যায় ঘর্মাক্ত বিন্দুদের;
নিভৃত সংগম শেষে রাজহাঁস ঝেড়ে ফেলে জল।
রক্তাক্ত মুহূর্ত পেরিয়ে অমর্ত্য দাবির ঠিকানা খুঁজে ফেরে অকিঞ্চিকর মানুষ।
ছায়া
বুদবুদের ছায়া দীর্ঘতর
ভাটিকান থেকে প্রচারিত ধর্মকথার
গায়ে মানবতার ছাপ। মৌন আবেগ
নিঃসৃত হচ্ছে গোলাপ গাছ থেকে।
কথকতার সুরে হারিয়ে যাচ্ছে
পুরনো বিকেল। নিখাদ
জলতরঙ্গ বাজিয়ে যায় মেষপালকেরা।
ব্যালকনি
ব্যালকনি থেকে সব তারাই অনেক দূরে।
গান বাঁধি তাদের জন্য। সমস্ত উষ্ণতার
নৌকো বেয়ে কথা আসে অবিরাম। উচ্চকিত
আলো পথহারা। শব্দ জোড়া দিয়ে তৈরি করি সাঁকো।
নিষ্ঠুর রাত এসে মুছে দেয় দিনের যাবতীয় হলুদ গন্ধ !
ফেরা
হিমেল হাওয়ার স্পর্শ গাঁথে প্রেম। পাহাড়ের
বাঁকে গোপন অভিসার। কবির মনকেমনের
সুর ছড়িয়ে যায় শহরতলির বুকে। বিপন্ন যৌবন
মাথা কোটে প্রেমের দরজায়। দিনান্তের সূর্য
কথা বলে পেলব ভাষায়। হারানো অনুভূতিরা
ফিরে আসে কবিতার হাত ধরে।
ব্যালকনি ও অন্যান্য কবিতা
শর্বরী চৌধুরী
শর্বরী চৌধুরী
কবিতাগুলো পড়তে পড়তে মনে হয় ইমেজ তৈরি কবিতার জন্য কবিতাকে মনের সম্মুখে মেলে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় ঠিকই কিন্তু কেবল ইমেজ এর পাশে ইমেজ কি আর আমাদের কবিতা তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম? আমাদের তো এইসব ইমেজ ঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতার স্বাদও চাই। সবগুলো কবিতা ভালো লেগেছে। শুভ কামনা রইলো।
উত্তরমুছুন