প্রচুর ঘুমের পর
প্রচুর ঘুমের পর জেগেছে চোখের পাতা— আম মুকুলের;
কেননা ফাগুন মাস এসে ছুঁয়েছে গাছের কাণ্ডত্বক
বহু নিদ্রার জড়তা ভেঙে তারপর আমের মুকুল
দ্রুত গুছিয়ে নিয়েছে ট্রাভেল ব্যাগের মালপত্র
ফাগুনের প্রতিটি তারিখে মুকুল যাত্রার শুরু হলো
পেয়েছো নিশ্চয় তুমি আশীর্বাদ— ঘনঘোর কুয়াশার
সেইসব সুপ্ত আগ্নেয়গিরির ভেতর উত্তপ্ত লাভা আছে
সকল লাভার সব অগ্নি ও আগুন মিলে
প্রবেশ করেছে শান্ত মুকুল দেহের পরম আত্মায়;
কতো স্বপ্ন কতো মোড় ঘুরে ভাসমান পৃথিবীতে
অন্তত একটি আমের মুকুল আছে, পথহারা পথ আছে
তাতে অচেনার মতো বন্ধু আছে, রস ও রহস্য আছে
ফের মুকুল যাত্রায় ফের কোলাহল আমাদের ভালো লাগে
পুরনো ফাগুন বন্ধু, পথ ভুলে কড়া নাড়ে বয়ঃসন্ধি বালিকার
ছাইকণা শান্তি
নদীকূলে মাস মাস বসবাস নিরীহ শ্মশান
কুলকুল জলধ্বনি, —জলের আকারে আছে তার নিরাকার অশ্রু
মৃত লোকটিকে শুনিয়েছে গান সুগায়ক অগ্নি
যেহেতু মৃতের আগমনে চিতার আগুন বেঁচে ওঠে
সঙ্গীতের ঘনরসে সিক্ত হলো মৃত লোকটির চোখ
বিদগ্ধ শ্মশান জুড়ে দেহাবশেষ— অশেষ ছাইকণা
তবু ছাইকণার ভেতর খুঁজে পাবে তুমি— তোমার হারানো জুতো
নিখিল জুতোর মাপে লেখা রবে যতো চরাচর পদচিহ্ন
মঙ্গল নদীর পাড় ধরে বহিতেছে অমর জলের স্রোত
জল খুব ভালো, —পিপাসার বার্তা হুবহু পড়তে পারে
মৃতের জননী, যে কিনা অনেক আগেই হয়েছে ছাই
বিদেহী ছাইকণার মাপে চলেছে নদীর কুলকুল জলধারা
রে চলেছে যতো পিপাসা, বিলোক; দু’পায়ের প্রাণ
অমৃত শ্মশানে শুয়ে আছে ছাইলিপি, নিরীহতা— শান্তি
দুইটি কবিতা
নাভিল মানদার
নাভিল মানদার
আহা
উত্তরমুছুন