ঙ
বৃষ্টি-শব্দ ছন্দে-ছন্দে প্রায়শই কিছুক্ষণ হাঁটি
দৃশ্যমান তারাগুলো ক্লান্তিহীন চন্দ্রের আঁধারে
জল শুঁকে যমুনার বুকে শত-শত হিম জমে
বেদনার প্রত্যুত্তরে যেন কিছু মীনস্বপ্ন জাগে
অজস্র স্মৃতির ঘুমে কেউ একা ভয়ে ভয়ে ফেরে
সারারাত বাতাসের সুসমাচারের ব্যবধান
দুঃখহীন, ঘুমহীন দিক ভ্রষ্ট শুধু অনুভবে
নম্র কোনো জোনাকদি, বিষাদের কোলঘেঁষে কাঁদে
চারপাশে নিশ্চয়তা দ্বন্দ্বের সভ্যতা, প্রিয়তমা
উষ্ণ কিছু ভুলে ভরে নির্জন আলোর প্রশ্নোত্তরে
মুহূর্তেয় চন্দ্র-সূর্যে ফুটে ওঠে গোপন সৌন্দর্যে
সবচেয়ে অনুতপ্ত হেমন্তের প্রণয় হাওয়া
ফুল-খসা শস্যে শুধু ব্যক্তিগত যোগাযোগ বাড়ে
চিত্রাকাশে বারংবার মৌন দেখি প্রকৃতি রক্তিম।
চ
ফসলের রক্তবীজে জমে শুধু মাটির বিলাপ
গোলাপের বাক্যহীন আয়োজন আঁধারে অদৃশ্য
স্বচ্ছ কিছু হৃদজলে যত্রতত্র প্রণয় গোঙানি
নীলের স্মৃতির মাঝে ঘৃণা নয়, অজান্তে নির্ভর
প্রশ্বাসের অনুরণে সবটা ভোলে না অনুভূতি
বুঝি বেঁকে বসে স্বতঃস্ফূর্ত অনন্তের আওয়াজ
নীলিমায় আধফোঁটা দৃশ্য দেখে ক্লান্ত স্বপ্নরেখা
মর্মের প্রাপক হৃদে জেগে রয় বায়ু শূন্যতায়
বহু দূর থেকে ধীর পায়ে হাঁটে শীত-নীহারিকা
ভীষণ স্থবির গ্রাম ঘেঁষে ছুঁই ছুঁই চন্দ্রালোক
চুপচাপ কাছে আসে দীর্ঘ কৌতূহলী পিপাসায়
পাতাখসা মৃদু শব্দে জলে ভাসে আলো-নিরীহতা
ঘুম সৌন্দর্যেয় তোমার দেহের ক্ষণিক উচ্ছ্বাস
উজ্জ্বলতা ঘোরাফেরা ক’রে ঋতু-পরাগে জড়ায়।
নৈসর্গিক সুহৃদ হৃদয়
চঞ্চল নাঈম
চঞ্চল নাঈম
দারুণ কবিতা।
উত্তরমুছুন