জ
হেটে যেতে হবে বহুদূর। বহু ধানক্ষেত দিতে হবে পাড়ি। ওপারে কৃষাণকন্যার বসেছে মেলা। কন্যাদ্বয়, কন্যাত্রয়, কন্যাবহু বাহু প্রসারিত করে আছে। ঋতুভেদি কন্যা তারা সবে। কবে কোন ধানের সাথে জন্ম নিল তারা,ঋতুবতী হলো কোন ঋতুতে আবার, হলো কবে ষোড়শী সবাই, জানাবে মেলায়। মেলাতো জানার জন্য, মেলাতো মিলন। দূর থেকে হেঁটে আসাই মেলার মূলে। মূলত পৃথিবী মেলাময়। তবু এই পৃথিবীর মেলা থেকে দূরে, ধানের মাঠের ওপারে বসেছে মেলা এক কৃষাণকন্যার। তারা বাহু প্রসারিত করে আছে, প্রসস্ত মেলার মন্ডপ থেকে।
ঝ
ঘাঘট নদীর তীরে যে কৃষাণ বুনেছিল ধান, বানের পানির সাথে সে কৃষাণ ভেসে গিয়েছিল, ধানের সাথে। সাথে তার আরো অনেকেই ভেসে যাওয়ার ভান করেছিল। গ্রামের মোড়ল আর মৌসুমি নেতাটি ছিলো। থাকতে চেয়েছে আরো অনেকেই। কাউকেই রাখেনি কৃষাণ। কারণ তারা কেউ কখনো রাখেনি কৃষাণকে তাদের পাশে। ফলে সে কৃষাণ, ঘাঘট পারের, ভেসে গিয়েছিল একটি মাত্র ধানের বোঝাকে জড়িয়ে, গড়িয়ে, ভাটির দিকে। ফিকে হওয়ার আগে, কৃষাণের ছবি, ফিরে এসেছিল সেই মোড়ল আর মৌসুমি নেতা। ফিরেনি কৃষাণ আর ধানের দেশেই।
ধানসূত্র
আহমেদ মওদুদ
আহমেদ মওদুদ
অন্যরকম ভাবনায় ভাবালো।
উত্তরমুছুনদুর্দান্ত
উত্তরমুছুন