মায়া
মৃতের শিয়রে কোটি উচ্চারণ কেন?
যে যার ঘনিষ্ঠ দিন ডেকে ডেকে অন্যকে দেখিয়ে
স্মরণের লীলা আঁকছে; এখন এমনই
শোকাচার।
মৃদু বলতে শিশুচক্ষু, মৃদু বলতে
তার মুখে ফুল। ফুলের জগতে কোনো
উচ্চকিত ধ্বনি নেই। মৃতের শিয়রে শব্দ নেই।
যে-যার ঘনিষ্ঠ দিন লঘু ক’রে শেষে
কাঁধের জিয়ল মর্ম শবের তলায় রেখে আগুনে হারাল।
আগুনের মধ্যে কিছু মৃদু নেই? দাহ মৃদু নয়?
ধোঁয়ার কোমর বেঁকে ক্রমশ ওপরে যাচ্ছে;
নীচে গ্রহ—গতি, স্বাভাবিক।
এক ফুল শেষ ক’রে অন্য ফুলে মাড়ি দিল শিশু।
যে গাছে ঘটেছে এই আত্মসাৎ,
আজ তার কাম
অবশিষ্ট আয়ু থেকে কিছু দূরে জ্বলে যাচ্ছে। ধীরে...
আন্তিগোনে
না, আর সম্মতি নেই; স্বীকৃতি ত্যাগের বস্ত্র;
সৎকার যেভাবে হোক, হবে।
ভয়ের আধিক্যে ভয় খসে গেল। সর্বনাশ
এভাবেই শিং, শিশ্ন তুলে
এসেছে, ক্রেয়ন! দ্যাখো, আমাদের ঘৃণা, শব্দ
তার মেদে পুষ্ঠ হবে ক্রমে।
না, আর সিদ্ধান্ত থেকে দূরে ভেঙে যাওয়া নেই;
দ্রোহের কুকুর কোলে গেঁথে
বুঝেছি বিশ্বস্ত থাকা হত্যা ঘরে আনা, তবু
যুদ্ধে, প্রেমে এমনই নিয়ম।
নির্বাসিত অন্ধ মূর্তি আমারই তো উৎস ছিল,
অজাচার শেষ সত্য বুঝি।
আর দেখি বশ্যতায় অন্ধকার নাড়ি কাটে;
ক্রেয়ন! নাড়ির হত্যা শোনো।
শুনেছ? এ-ধ্বনি থেকে ছিটকে আসা স্তব্ধতাই
আজ ‘ক্ষয়’ নামে অভিহিত।
এই তীক্ষ্ণ দেশে শুধু নিজস্ব হত্যার পাশে
ধ্যানের সরল কাঙ্ক্ষা ঋত।
দুইটি কবিতা
তমোঘ্ন মুখোপাধ্যায়
তমোঘ্ন মুখোপাধ্যায়
অসাধারণ
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো
উত্তরমুছুনঅসাধারণ লেখা
উত্তরমুছুন