পাটিগণিত ও জন্মদিনের অক্ষর
শিব চতুর্দশীতে যাদের খুব ঠান্ডা জন্মদিন থাকে তাদের পাঁজরের কাছে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট কবিতাগুলো হামাগুড়ি দিয়ে ।
এই পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে তাকিয়ে থাকা গভীর রাত্রি কালের নির্বোধ নক্ষত্রদের পাটিগণিত আলাদা,
বিষুবক্ষেত্রের ক্রুতু ও পুলস্ত বায়বীয় চাঁদ নামক একটি অলৌকিক ও অবিনশ্বর বস্তুকে দেখার পর সকলেই মৃত্যুর সূচকের গণিতের খাতায় নেমে যায় ধুতি আলগা করে,
এখন অলৌকিক সন্ন্যাসিনীরা তাদের হাতের চেটোর উল্টো দিকে থাকা রক্তক্ষরণকে রাখে বাড়ির নৈঋত কোণে ঝুলিয়ে পুরুষেরা মৃত্যুর জন্য নিজের গামছার এক কোণে দরজাটি খুলে রাখে নদীর নাব্যতা মাপার জন্য
কতবার দেখেছি গভীর রাতের অন্ধকারে জানালার পাশে থাকা ছায়ার মতো তিনি সারা ঘরময় ঘুরে বেড়ায় তিন ফুট উচ্চতার, একটি মৃত্যু গায়ে থাকে সবুজ রঙ, সোনালী কাপড় আমি তার ঠোঁটে কখনোই অনুচক্রিকার গন্ধ পাইনি, সারা ঘর কুয়াশায় ভরে গেছে- জলপ্রপাত ঠোঁটে নিয়ে ভূমিক্ষয়ের ধারাপাত পড়ছে
আমি কখনো যৌন গন্ধকে স্পর্শ করার পর ঘোড়াটি নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, লোমশ শরীরটি সর্বদা কলঙ্কমুক্ত
অন্ধকারময় বিছানা ও লোরাজিপাম
মৃত্যুবরণ করার পর যারা নেমে আসবে কলঙ্কহীন বাঁশ গাছের নিচে, তারা এখানে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যাকে ক্যালকুলাস দিয়ে ঢেকে ফেলার সমীকরণ তৈরি করবে তাদের আকুতিময় মন খারাপ গুলো অভিমান হয়ে উল্টোদিকে স্তন রেখে কাঠের বিছানায় ঘুমানোর চেষ্টা করবে, অথচ লোরাজিপাম ঘুম পাড়াতে পারেনা কোন মতেই
কখনো ঘোড়াটি খেয়ে ফেলবে এই বৃহৎ উদ্যানের সবুজ পর্ণমোচী শাখা, শাখা মৃগ ও নিজের শরীরে গজিয়ে ওঠা স্বপরাগী শুক্রাশয়ের গভীরতা আমাদের রাত্রের সহবাসকে বড় কঠিন করে তুলেছে
উদ্ভ্রান্ত রোগীটি কখনোই জ্যামিতিকে বিন্দুকে খুঁজে পায়না সে নিজের পোশাকের মলিন ঘরের বোতাম বৃত্তগুলোকে সর্বদা হারিয়ে ফেলে লিটমাসের নীলাভ রঙ দিয়ে
বাড়ির দরজাটি খোলা থাকে সারা রাত্রি, আঁশটে গন্ধ ছাড়ার পর আবারও এক অন্ধকারের ভেতর দিয়ে কাকেরা নেমে যেতে পারে মৃতপ্রায় ঈশ্বরের বারান্দায়
আমি তাকে আজ গভীর রাতে চুমু খাওয়ার পাঠ পরিকল্পনা করেছি
আত্মহত্যা বৈষ্ণব তিলকের মত চওড়া
আমি আবারো একবার তৃতীয় প্রহরে মৃতপ্রায় ঈশ্বরের কথা ভাবি, বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পূর্বজন্মের বক্ষ বিদীর্ণ কারী সংগীতের সৃষ্টি করছেন ঐরাবত নামক বিষধর সাপ, জংঘা ঈশ্বরই কল্পনা করেন কতগুলো জবাকুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিং নাভি ছেদনের মন্ত্র পাঠ করে
বালিয়াড়ি থেকে উঠে আসা ত্রিশূলকে মেলে দেয় কাপড়ের পাশে
কে যেন এখনও বৈষ্ণব তিলকের মতো আমাকে স্নান করিয়ে দেয় গভীর রাত্রিকালে, আমি কি তবে প্রতিদিন রান্নাঘর থেকে হাঁটতে হাঁটতে আমি চৌখাটে এসে হোঁচট খেয়ে যাই অন্তঃস্থ অশরীরের জন্য
মা আমাকে কোনদিন বিশ্বাস নিয়ে আত্মহত্যার কথা বলেনি, আসলে আমার বাবার ঔরসের শুক্রাণু গার্হস্থ্য, বড়ো কঠিন বলেই আমি কেমন অপ্রকৃতিস্থ হয়ে বসে আছি একাই জলের নিচে
কংক্রিট রাস্তা ধরে আমার রাত্রিকালীন ধারাপাতের শিশুটি সবেমাত্র জন্মালো, তার গায়ে কোন মাতৃসদনের ছায়া দাগ নেই, তার গায়ে কিছু ঘামের দাগ দেখে আঁতকে উঠি ,শুধু পরমাত্মার অবিনশ্বর রোদনের উপর স্থল পদ্ম রোপণ করেন
আমাদের একদিন জন্ম হবে এই মাতৃসদনে নীল করিডোরের নিচে, সাদা দিদিমনিরা চেয়ে থাকবে ওই অযোগ্য বাহ বর্ণের খোলস গুলোর দিকে
আত্মহত্যা বৈষ্ণব তিলকের মত চওড়া ও অন্যান্য কবিতা
নিমাই জানা
নিমাই জানা
মন্তব্য