কাজলরেখা
পূবেতে উঠিল ঝড় গর্জিয়া উঠে দেওয়া।এই সাগরের কুল নাই ঘাটে নাই খেওয়া।।ডুবুক ডুবুক ডুবুক নাও আর বা কত দূর।ডুইব্যা দেখি কতদুরে আছে পাতালপুর।।”-মলুয়া / ময়মনসিংহ গীতিকা
পৃথিবীর অক্ষয় অন্ধকারে
ধান ছুঁয়ে দাঁড়িয়েছি কতবার তোমার দুয়ারে
এ শস্য আমার নয়, তুমিও আমার নও জানি।
ধ্রুপদী স্বপ্নগুলো চিরকালই ক্ষয়ে ঝরে যায়
দোল খায় শবে নীল ঢেউগুলো নদীটির পা’য়।
তোমার খোঁজেই হৃদয়ের তীব্র কানাকানি
চিরকাল, কাজলরেখা।
আকাশের শেষ তারা নিভে গেলে গাঢ় কৃষ্ণখাদে
আমাদের ঠিক দেখা হবে
তোমার দুয়ারে এসে, আবারও আনন্দ সংবাদে
জেনে নেব এই শস্য মানুষের, তুমিও নেই বেদখল
মৃত রাজপুত্র পাবে তোমার অঞ্জলি থেকে প্রতীক্ষার প্রিয় অশ্রুজল।
শিকড়
লিখব কী আর, লিখতে পারি না তো
মাটি আর ঘাস বন পাহাড়ের ক্ষত
আমার বুকে আমার হাড়ের ভেতর।
লিখব ভাবি নদীর সাথে ঘুরে
রামপ্রসাদের বেড়া বাঁধার সুরে
ভাষা আমার হয়নি জাতিস্মর।
ভারতচন্দ্র কৃত্তিবাসের ছন্দে
চন্দ্রানী আর ময়নামতির গন্ধে
বুকের ভেতর শেকড় ডাকে আয়।
যাব এবার ধূলোর পথে পথে
চড়ার স্বপ্ন রাখিনি তাই রথে
স্বদেশ স্বদেশ প্রবল কবিতায়!
দুইটি কবিতা
মাটির কাছে হাজার বছর পড়ে আছে
মৃন্ময় চক্রবর্তী
মাটির কাছে হাজার বছর পড়ে আছে
মৃন্ময় চক্রবর্তী
মন্তব্য