পথের রঙে তুলির রাস্তা
অনেকটা দৌড়ে এসে পুরোপুরি ঘুরে গেলে একটা সমগ্র বাঁশবাগান, গুঁড়িপানার ছোট্ট ডোবা অর্থাৎ যেখানে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রথম মনে হয় দৌড়ানো নেই বলে ঘুমিয়ে আছে মাংসের শরীর ------- দেখা যায় আস্ত একটা সকাল। ভেলার পাশে ঢেউ খেলিয়ে শুয়ে আছে বেশ কয়েক লাইনের একটা দুটো তিনটে গান। মনে পড়ে কিছু খাওয়া এখনও বাকি, ভুলিয়ে ভালিয়ে রাজ্যের লোক জুটিয়ে ছুটে গেছে পৌষ মাস ----- এসবই চোখে ভাসে গানের শরীরের গলিঘুঁজিতে। পথের রঙে তুলির রাস্তা ভুলে গেলে পায়ের সংখ্যা নির্ভুল মনে পড়ে।
একটা ওষুধ
একটা তাল, পায়ের ওপর পা নাচতে নাচতে হাওয়ার ভেতর দিয়ে যে কাপড় উড়ে যাচ্ছে তাতে মাংস না থেকে এমন কিছু একটা গান যে মাখা থাকতে পারে তা জলের সম্পাদ্য উপপাদ্যের স্বপ্নে অভ্যস্ত না হলে মনের কোণে এসে বাসা বাঁধবে না কোনো ভবঘুরের ফুটপাত। মাথাটা হঠাৎ করে ঘুরে যাওয়াটাও একটা ওষুধ।
উঁচু জানলার কাহিনী
রাস্তা থেকে দেখা যায় এমন একটা উঁচু জানলার কাহিনীর মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেক মিথ্যে প্রচার। সমতলের এবং মালভূমির রাগের মধ্যে যে কোনো পার্থক্য থাকতে পারে না এটুকু বুঝতে বুঝতেই রেগে উঠলো শত শত চোখ। রাগ মানে তো হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাওয়া কিছু জানলা আবার জানলা দিয়ে আসা কুয়াশা ভাঙা মুহূর্তের রোদ ---- আসলে সাদা পাতায় বাক্যের ভেতরের শব্দগুলো পুতুল পুতুল সাজানো জামা শাড়ি ছেড়ে হাঁটুধুলো মেখে খুব দ্রুত ঘুরে যাচ্ছে।
একটা ওষুধ ও অন্যান্য কবিতা
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
সুন্দর কবিতা। ভালো লাগলো দাদা।
উত্তরমুছুন