অনুসন্ধান
কি খুঁজছে না জেনেই সে বেরিয়ে পড়ে পথে
যেন কাশফুলগুলো বাঁচাবে তাকে আজ
নানা রকম হেলে পড়া দুলুনি, শোরগোলের মাঝে
একটা ডাঁটা আছে লুকোনো, একটু লজ্জা লজ্জা, সঙ্কোচ,
তুমি নাকি পড়াশোনায় ভাল শুনেছি,
তারই কাছে সঙ্কেত।
অথবা সে হয়তো কিছুই খুঁজছে না
আমারই ভুল
সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত, এক ধরনের
ভুলে থাকার তাঁবু ফেলেছে সর্বাঙ্গে
জেগে থেকেও সাষ্টাঙ্গ, নরম তুলতুলে
স্লিপিং ব্যাগের ঘোরে।
খানিকটা হেরে যাওয়ার জন্যে
তার প্রস্তুতি দেখি চলতেই থাকে, আসল গল্পটা এরকমই অস্থির,
কিন্তু জয়ন্ত এসে বলল, দেখলাম তোর বান্ধবীকে,
একেবারে নীল হিরে, সম্পূর্ণ অরক্ষিত, রোদে মেলেছিল
হৃদয় তার দক্ষিণের কাশবনের কোলে।
খোলামকুচি
জল পেতে চায় তাকে আঁকড়ে, আঁচড়ে-কামড়ে অথবা
পাথরের গায়ে ভালবাসা দাগ, লালচুমু – সে কিন্তু
ছন্দ পেয়েছে আজ, সেই খোলামকুচি, একবার জলকে
ছুঁয়েই ফের লাফ, যেমন বেণী তার তেমনি রবে, আহ্বানে বা
কেলেঙ্কারিতে সে সাজবে শুকনো তুম্বক।
ক্ষণকালের ছন্দ খুঁজছে
সেই মেয়ে, ড্যান্সফ্লোর থেকে ড্যান্সফ্লোর, এক রাত্রির
আলিঙ্গন, এইভাবে মালা গাঁথা হয় মুক্তোর, পলকা ভঙ্গুর।
একটা নতুন শব্দ বা নদী গাঁথব লোভে আমিও দস্যুবৃত্তি করি
সারা সকাল, পিকাসোর মতন বাচ্ছা ছেলের স্টাইলে পোঁচ
অথবা নাদের আলি আমি আর কত বড় হব, অথচ
কেউ তাকে একটা ভুলশিক্ষা দিয়েছিল, বেড়ে ওঠার সময়
যখন মন থাকে ঝকঝকে স্লেট, চকখড়ি দিয়ে
ভুল নির্দেশ দিয়েছিল রমণীকে, আসলেই সে আর
সহজ কথা বলবে না কোনদিন, মুখ খুলবে না
সংগোপনে বা রহস্যে, শুধু শব্দগুলো বিজোড়ে গেঁথে
এক অসঙ্গতির প্যারাডাইস বানাবে সেই নৃত্যরতা
খোলামকুচি।
দুইটি কবিতা
অমিত চক্রবর্তী
অমিত চক্রবর্তী
মন্তব্য