দুইটি কবিতা
সুমন সৈকত
ফটোগ্রাফার
ভূগোল জন্মরহস্যে আস্তাবল থেকে বেরিয়ে
পড়েছে ‘কালো’ ঘোড়াটি।
সহস্র-কোটি আলোকবর্ষ দূরে গোপন অন্ধকারে ধ্যানমগ্ন কোন এক সৌখিন পূজারি, পাশের জঙ্গলে বৃক্ষরাজির প্রার্থনার ক্যানভাসে কোরাস করে মৃত বালিকার লাশের কৈশোরিক চপলতা।
গন্ধবণিকের সাথে কফিতে চুমুক দেয় ছদ্মবেশধারী হত্যাকারী ফটোগ্রাফার।
দিগন্তে ভেসে বেড়ায় ধূলিঝড়ের দুরন্তপনা। আহারে... কৃষ্ণ-ঘোড়া!!
নক্ষত্র- যোজনপথ এখনও বাঁকি;
অথচ
তোর খুরে রাজ্যের ক্লান্তি...
মানুষ
দাঁড়াশ সাপ তাড়া খেয়ে কও
আচমকা স্বপ্নে ঘুম ভাঙতো প্রাশয়ই, সাপের ভয় বিস্তর আতংকে কাটতো কাঠুরিয়া বউ
সংসার উপার্জন ক্ষম সোয়ামির যদি কিছু হয়! ইউসুফ নবীরে স্বপ্নের মাঝে খুঁজে বেরাতোরোজ
যদি স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলে দিতেন, দিতেন বুঝ!
বজ্রপাতে আচমকা আগুন
সুখ পোড়ালো কাঠুরিয়াবউ! বিদায় নিলো ফাগুন
কাঠপেন্সিলের মতো শুকিয়ে যাওয়া অবয়ব চৌকাঠে দাঁড়িয়ে পাহারা দ্যায় মহাকালের উৎসব
ইউসুফ নবীরে
কাঠুরিয়া বউ স্বপ্নে করে না আর খোঁজ
মানুষ সাপে বিবর্তিত হচ্ছে যে রোজ।
'তোর খুরে রাজ্যের ক্লান্তি...'/ 'মানুষ সাপে বিবর্তিত হচ্ছে যে রোজ'-- মনে গেথে গেল।
উত্তরমুছুন