দুইটি কবিতা
সব্যসাচী মজুমদার
যৌথরাগ
মান্ধাতার যৌথরাগ
যৌথরাগ খুব ঘোরায়
রাস্তাঘাট ঢ্যামনা দাগ পক্ষীছাল মাংসতে
ভনভনাই ভনভনাই
সুপ্ত চিল গুপ্ত ঝিল লুপ্ত রিল
সব ওঠে সব চলে কায়নাদে
হে শামুক, তোর পামুক পড়ছি না
বললে কী ভুল হবে!
তীর ধনুক পীর বনুক পীর বনুক লুব্ধকের
ভনভনাই ভনভনাই
নুন জড়াই মাংসহীন চর্বিতে
নুন পোড়া উত্তাপে এ ধরার প্রত্নাতীত
যৌনস্বাদ...
যৌথরাগ যৌথরাগ
আশ্বিনের চাঁদ ডোবে
দ্রংষ্ট্রা চাই লিঙ্গ চাই
নিঃসহায় তক্ষকের
গন্ধ চাই স্বপ্ন চাই
গর্ভীনি সন্তানের
সারঙ
এই যে নদীটি যায় মিথোজীবিতায়
পরিত্যক্ত চর যেন শরীর সহায়
ভস্ম মোছে নাভি মোছে সধবা সন্ন্যাসী
শনি মূর্তি গড়ে তবে তার কাছে আসি
এত কিছু রেখে ফুল ভিজতে গেলো গ্রামে
এই কায়নাদ সেই দ্বীনকিসসা জানে
তবুও গিয়েছো তুমি পিণ্ডতামরস
কাঁধের উপরে বসে সম্পৃক্ত সারস
দীর্ঘপথে মৃগশিরা নিরপেক্ষ থাকে
আগুন প্রণত জ্বলে জন্মহতবাকে
তবে যে পোকার খিদে রজঃক্ষরা হয়
তুমি তা জেনেও ফের রুক্ষস্তনদ্বয়
মেলেছো রোদের দিকে মফসসলি মেয়ে
মৃতদেহ মৃগ হয় সারঙের দেহে...
দুটো কবিতাই ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন