শব্দের ভিতর দিয়াই
আমার ভিতর কোনো কথার পাহাড় জমতেছে কিনা, বুঝি না তো।
চোখ বন্ধ কইরা ভাবি। কই?
কথাদের নয়নতারা তো ফোটে নাই এখনো। কেন ফোটে নাই?
শব্দের ভিতর দিয়াই তো একটা জীবন জন্ম লয়। তাই নাকি?
জীবনের প্রতি হতাশ হইতে তো চাইতেছি না। চাইতেছি দশদিক থিকা আলো আসুক।
উচ্ছ্বল হয়া উঠুক দুনিয়ার রেস্তোরাঁগুলা।
দুনিয়াডা তো আদতে একটা রেস্তোরাঁই বটে।
আলতো ছোঁয়াতে ধইরা রাখা জীবনটা আমার স্বতঃস্ফূর্ত হয়া উঠুক।
তবু কেন সকালগুলাতেই এইরকম লাগে?
কেন মনে হয় এইটা একটা বালের জীবন? প্রশ্নের নানান রূপের পাখপাখালি নিয়া দিন শুরু করি।
আর ধীরে ধীরে জীবনডারে সহ্য করার শক্তি সঞ্চিত হয়।
সঞ্চিত হয় কথাটা আসলে কতটা সঠিক?
হায়রে আমার প্রশ্ন! কনফিউশান! অবিশ্বাস! অপ্রেম!
প্রশ্নের সাথে বিরাট একটা বক্ররেখা উত্তরদিক থিকা পশ্চিম হয়া দক্ষিণ দিকে পূবের আলোয় শিশুদের হাসির মতো উজ্জ্বল থেকে অতি উত্তাল হয়।
আরে শব্দের ভিতর দিয়াই তো নতুন একটা জীবন জন্ম লয়।
প্রেমিকার মুখ ধীরে ধীরে এক অতল ছায়ার মাঝে মিথ্যার মতো খচখচ করে।
নাই। এইখানে আর বিশেষ কোনো স্বপ্নের বিষাদ নাই।
এখন চারদিকে একটা নিরাবেগ কোলাহল লেগে গেছে।
এখন রক্তের ভিতর সবাই বিশ্বাসঘাতক।
এখন তো চারদিকে খালি আনন্দ।
এখন নয়নতারার রঙ ফুটে আছে আমাদের পথে পথে।
এখন মৃত্যুর রঙ আকাশের মতো মেঘেদের ছবি আঁকে।
অবাস্তব রিয়ালিটি
ধরো কাল থেকে তুমি যদি আমায় আর দেখতেই না পাও।
মানে আমারে হয়তো কোনো এন্টি-পার্টি গুম কইরা ফেললো।
হয়তো আমার নামে হুলিয়া বের হইলো।
ধরো আমার নামে একটা গ্যালাক্সি পাওয়া গেল।
মানে সেইখানে সবাই হয়তো আমারেই খোদা মানে।
ধরো আকাশের তারা হয়া আমি ব্ল্যাকহোলেই ঢুকে গেলাম।
হইতেও তো পারে এইরকম অবাস্তব রিয়ালিটি।
মন্তব্য