দুইটি কবিতা
অহনা সরকার
কনসাশ!
অন্ধকার ঘর একটি চেয়ার সেখানে আমি বসানো বা বসেই। অন্ধকার দ্য কোর অফ ডার্ক বা কনসাশ অফ ডার্ক এ ঘরে সেটা কোথায়? কোন পজিশনে? চেয়ার ঘরের একদম মাঝে পয়েন্ট অফ বিন্দুতে রাখা।
খেয়াল করি তিনটে ফ্যানের হাওয়া বাইরের ঠান্ডা সত্ত্বেও ঘাম ফুটছে নাকের দুপাশ থুতনি কপাল - কেন?
অন্ধকার ভেতরের চেয়ারে বসানো আমি আমার মাথা বা কনসাশ নিজেকে এই ঘর পাখার শব্দ বাইরের বাতাস আরো সব কিছু ছেড়ে ওখানেই ফেলেছে নিয়ে
দ্য কোর অফ ডার্ক বা সেন্টার অফ রুম আই ফিল অর ভেবে নিচ্ছি নিলাম এটাই এ ঘরে থাকা অন্ধকারের কোর চেয়ার আমি বসানো
কপালের ঠিক মাঝখানে বা মাথার মাঝ ধরি যদি আলোর বৃত্ত রেখা যার মুখ আছে ঠোঁট। অন্ধকারের স্পর্শ কেমন? অন্ধকার তো আছে আছেই এ ঘরের সর্বত্র কিন্তু তার ভেতর বা কোর এ ঢুকিনি এখনো আলোর ওই বৃত্ত কাটছে অন্ধকারকে
বিন্দু সাদা আলোর বিন্দু স্পর্শ কাটছে অন্ধকারের, এই ঘর ঘরেরমাঝ চেয়ারে বসানো আমি আলো ছড়াবে যত অন্ধকার স্পষ্ট আরাম বোধ ভেতরের সাদা আলোর ন্তিম ফেটে বেরিয়ে ভরছো তুমি এসময় নিজেকে খুলে দেওয়া সম্পূর্ণ সমস্ত পাপড়ি পদ্মর ভেতরের দানাগুলো সে দানার চলাচল বীজ তাদের আস্থাপন ঊঃ সব সব কিছু
মাঠে পড়লাম যেখানে আধ হাঁটু জলে লুঙ্গি গুটিয়ে পদ্মের চারা দুহাতে আলগুছি মাটির ভেতর জলে মাটিও হা করে নিজের খোলা মুখের ভেতর ও কে আমরা রাখি রাখলাম
বেরিয়ে আসি এখন ঘর শব্দের নানাত্ব তার সাথে দেখায় আছে কিছু আগের স্পষ্টতাও। এখানে দাঁড়িয়ে দেখলে ও লহমা আলাদা। এখানে বাহির আমির সবকিছু সমস্তই
উদারণ্য
তাহাতে আমি না ধরিলে এ বিম্বে কোথাওই নহে। ঠাঁই খালি পাতা পরতের জন রাতের শিহিরে ভিজে চপ চপে নিখন্ড পুস্তকখানি একায় দুপাতা কাল পড়েছিলুম
ওই বন যেখানে শেষের পর প্রান্তের অ নৈতিক দাল কিছু মানুষের ছিলো ও পথই একমাত্র তারা কুড়াল বাছল সন্ধ্যের পর সান্ধ্য অচিন সুখ লাভে বদ মিষায় নাও ভাসাইয়া মেঘ হে মেঘা ডাকে দখোন চারিত
রাতের ফলমূল আলাদায় রাখা, এ বেলা মুখ ওটুকুই সায়াহ্ন সাথ যাবে জেনেই প্রতি আজানে ওই টুকরো পাথরের পা নিজ মনেই দেওয়ায় বাতাসের লাভ বস্ত্রাণুর
গমি হাওয়ার ভাসা শব্দ যত তাদের
মন্তব্য