দুইটি মুক্তগদ্য
অভিজিৎ বসু
সূর্যের ছায়া
কতোদিন ঘুমিয়েছিলাম জানি না। আজ বিস্ময়ে হঠাৎই লক্ষ করলাম গাছের ছায়া ঢুকেছে টেবিলের তলায়। মুক্তির স্বাদে পাগল হয়ে যাব।ঝলমলে পথ দিয়ে নেমে এলাম ঘাসের বুকে। সূর্যের ছায়া যাতে ঘাসের শরীর স্পর্শ করতে না পারে তাই নিজেকে ঢেকে নিলাম ছায়ার গভীরে। ছায়া ছাড়া শরীরে কিছু নেই।
আঙুলের ছাপে মর্গের যৌনতা
দুলকি চালে চান ঝুলে পড়ে। পেচ্ছাপ ক্রিয়ায় পেটের ভেতর চিৎকার।
ঘর। ঘর। জাতিস্মরের অমায়িক খচ্চর।
ভ্রূণের পরিবর্তন। বিট কয়েনের তামাশায় তদন্ত কমিশন। কবিতা কবি পাবলিশার। স্বপ্নজালের বাড়ি জুড়ে রাত যাপন।
শুরু হলো রেপিস্ট সংক্রান্ত ছবি।
..অন্ধকার। অন্ধকার।
টিকটিকির লেজ তুলে নাচন।
কতকিছু বলে মানুষ। নেতারা বলে আমি তোমাদের লোক। মেয়েমানুষের ঠোঁটে চুম্বন। রোদ নেই। আলো নেই।ঠেক নেই।কামিনী ফুল ঝট করে ওঠে।
বেঁচে থাকা। মরে যাওয়া। চুষে চুষে খাওয়া।
দোতারার সুর। হরিবোলের কীর্তন। মনোযোগ দিয়ে রক্তের স্কেচ। আঙুলের ছাপে মর্গের যৌনতা।
বলো হরি। হরিবোল। শিপনের শাড়ি।
ভাতের জন্য ডুবজল।
মাতাল। মাতাল।
পাগলি বলে রাত রাত। সবাই মিলে আত্মহত্যা। জম্পেশ ঘোড়া দৌড়। তবে ভালোবাসা মাছ আর লুকানো ছুরি।
নারদ। নারদ। ঝিনুকের খোলস।
মুখে আগুন দিতে দিতে কলিজায় চাপ। দরজায় টোকা। পুরস্কার।
বাড়ন্ত ভাতে নোনা কাঁপন। শিল-পাটায় মশলা বাটা।
যায় ঘুম। আসে ঘুম। মরে যাই। মরে যাই। বিছানা রেডি। আঙুল গুলোতে ভর করেছে নরকের ইঙ্গিত। অবাক উদ্ধত চোখ গিলে নেয় সব।
মাতাল। মাতাল।
কবিতা
উত্তরমুছুন